মন্ত্রিসভারঅর্থনৈতিকবিষয়সংক্রান্তকমিটি

সরকার কৃষকদের কল্যাণে ২০১৯-২০র খারিফ মরশুমে সমস্ত ফসলের ওপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করেছে

Posted On: 03 JUL 2019 10:09PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,   ০৩ জুলাই,, ২০১৯

 

 

    প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটিআজ বৈঠকে বসে। বৈঠকে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৯-২০তে সমস্ত খারিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উৎপাদন ব্যয়ের দেড় গুন বৃদ্ধি করেছে।

    এরফলে সুনিশ্চিত সহায়ক মূল্যের জন্য বিনিয়োগ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

 

    বিস্তারিত

    ২০১৯-২০র খারিফ ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ

 

  • ২০১৯-২০র খারিফ মরশুমে সরকার সয়াবিনের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ৩১১ টাকা, সূর্যমুখীর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকুইন্টাল প্রতি ২৬২ টাকা, তিলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২৩৬ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ কৃষকদের আয় বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক হবে।
  • সরকার অরহর ডালের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১২৫ টাকা এবং খেসরির ডাল কুইন্টাল প্রতি ১০০ টাকা বৃদ্ধি করেছে। এরফলে ডালের মাধ্যমে বৃহৎ জনসংখ্যার পুষ্টি জনিত সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
  • জোয়ারের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১২০ টাকা এবং রাগির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২৫৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা এবং চাষাবাদ বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারত ২০১৮ সালে মিলেট জাতীয় বর্ষ উদযাপন করেছে এবং কৃষি ও খাদ্য সংগঠন- ফাও-এর পর্ষদ ২০২৩ সালকে মিলেট আন্তজাতিক বর্ষ হিসেবে পালনের ভারতের প্রস্তাবকে অনুমোদন করেছে।
  • মাঝারি আঁশের তুলা বীজের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১০৫ টাকা এবং লম্বা আঁশের তুলা বীজের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
  • এই সিদ্ধান্তের ফলে বজরা উৎপাদকরা তাদের চাষের খরচের সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ ফেরত পাবেন। খেসরির ডাল ৬৪ শতাংশ এবং অরহরের ডালের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ৬০ শতাংশ হবে।

 

২০১৯-২০তে খারিফ ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিস্তারিত তথ্য-

শস্য

ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ২০১৮-১৯

ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ২০১৯-২০

উৎপাদন ব্যয় ২০১৯-২০ (প্রতি কুইন্টাল পিছু)

বৃদ্ধির পরিমাণ

কৃষকের শতাংশের হিসেবে লাভের পরিমাণ

ধান (সাধারণ)

১৭৫০

১৮১৫

১২০৮

৬৫

৫০

ধান (গ্রেড-এ)

১৭৭০

১৮৩৫

 

৬৫

 

জোয়ার (সংকর)

২৪৩০

২৫৫০

১৬৯৮

১২০

৫০

জোয়ার (মালডান্ডি)

২৪৫০

২৫৭০

 

১২০

 

বজরা

১৯৫০

২০০০

১০৮৩

৫০

৮৫

রাগি

২৮৯৭

৩১৫০

২১০০

২৫৩

৫০

যব

১৭০০

১৭৬০

১১৭১

৬০

৫০

অরহর

৫৬৭৫

৫৮০০

৩৬৩৬

১২৫

৬০

মুগ

৬৯৭৫

৭০৫০

৪৬৯৯

৭৫

৫০

খেসরি

৫৬০০

৫৭০০

৩৪৭৭

১০০

৬৪

চিনাবাদাম

৪৮৯০

৫০৯০

৩৩৯৪

২০০

৫০

সূর্যমুখীর বীজ

৫৩৮৮

৫৬৫০

৩৭৬৭

২৬২

৫০

সয়াবিন (হলুদ)

৩৩৯৯

৩৭১০

২৪৭৩

৩১১

৫০

তিল

৬২৪৯

৬৪৮৫

৪৩২২

২৩৬

৫০

নিগার (বাঘ) বীজ

৫৮৭৭

৫৯৪০

৩৯৬০

৬৩

৫০

তুলো মাঝারি আঁশ

৫১৫০

৫২৫৫

৩৫০১

১০৫

৫০

তুলা লম্বা আঁশ

৫৪৫০

৫৫৫০

 

১০০

 

 

বাস্তবায়ন

 

বিভিন্ন রকমের বীজের ক্ষেত্রে ভারতীয় খাদ্য নিগম এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি কৃষকদের সহায়ক মূল্য প্রদান করবে। নাফেড, এসএফএসি এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি ডাল এবং তৈলবীজের ক্ষেত্রে কৃষকদের সহায়ক মূল্য প্রদান করবে। তুলোর ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব পালন করবে সিসিআই। কৃষকদের নিশ্চিত রোজগারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে সরকার উৎপাদন কেন্দ্রীক উদ্যোগের থেকে রোজগার কেন্দ্রীক ব্যবস্হাপনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি পিএম কিষানের আওতায় সব কৃষককে নিয়ে আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী অন্নদাতা আয়ের সংরক্ষণ অভিযানের আওতায় কৃষকরা যেন তাঁদের ন্যায্য মূল্য পান, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

২০১৮-১৯এ বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী খারিফ শষ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উৎপাদন ব্যয়ের দেড় গুন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

 

 

CG/CB/NS



(Release ID: 1576986) Visitor Counter : 293


Read this release in: English