ভারী শিল্প মন্ত্রক
বৈদ্যুতিক যানবাহনকে জনপ্রিয় করে তোলার উদ্যোগ
Posted On:
03 JUL 2019 12:22PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২ জুলাই, ২০১৯
বৈদ্যুতিক এবং পরিবেশ-বান্ধব যানবাহন তৈরিতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ও এই ক্ষেত্রে ধারাবাহিক চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২০১৫-র পয়লা এপ্রিল থেকে ‘ফাস্টার অ্যাডপশন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অফ হাইব্রিড অ্যান্ড ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল্স ইন ইন্ডিয়া’ অর্থাৎ, ফেম প্রকল্প চালু করে। এটি বাস্তবায়িত করার জন্য দু’বছরে ৭৯৫ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা হয়। এই প্রকল্পের প্রথম পর্বের সময়সীমা বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়। শেষ পর্বে, এর সময়সীমা ধার্য হয় গত ৩১শে মার্চ। ঐ সময়ে এই প্রকল্পের ব্যয়বরাদ্দ বাড়িয়ে ৮৯৫ কোটি টাকা করা হয়।
প্রথম পর্যায়ে এই ধরনের যানবাহন নির্মাণের আগে চারটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এগুলি হল – বাজারে এদের চাহিদা তৈরি করা, প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা, পাইলট প্রোজেক্ট এবং পরিকাঠামোর পরিবর্তন। এই পর্যায়ে দু’চাকা, তিন চাকা, চার চাকার যাত্রীবাহী এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হালকা গাড়ি ও বাসের জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার বৈদ্যুতিক এবং পরিবেশ-বান্ধব যানবাহন কেনার জন্য প্রায় ৩৪৩ কোটি টাকা ইনসেন্টিভ ধার্য করা হয়েছিল। এছাড়া, বিভিন্ন শহরে এবং রাজ্যে ৪৬৫টি বাস কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথম পর্যায় থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পর দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিকল্পনা করা হয়। এই পর্বে ভারী শিল্প মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে যে পরিকল্পনাটি করেছিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার থেকে তা অনুমোদন পাওয়ার পর তিন বছরের জন্য তা চালু করা হয়। এই পর্যায়ে বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। ৭ হাজার বৈদ্যুতিক বাস, ৫ লক্ষ তিন চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি, ৫৫ হাজার চার চাকার যাত্রীবাহী বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ১০ লক্ষ দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে এই তহবিল থেকে সাহায্য করা হবে।
শক্তি মন্ত্রকের অধীন এনার্জি এফিশিয়েন্সি সার্ভিসেস লিমিটেড (ইইএসএল) জানিয়েছে, তারা দেশ জুড়ে ২০৯টি অল্টারনেট কারেন্ট চার্জার এবং ১৩২টি ডায়রেক্ট কারেন্ট চার্জার বসিয়েছে।
পণ্য ও পরিষেবা করের (জিএসটি) আওতায় বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির সময় জিএসটি-র হার সেস ছাড়া ১২ শতাংশ এবং সেস সহ ২৮ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। শক্তি মন্ত্রক বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুতকে পরিষেবা হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাটারি-চালিত গাড়িগুলির ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবহারকারীদের কোন অনুমতি লাগবে না। যেহেতু বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য ধার্য করা জিএসটি-র পরিমাণ প্রচলিত যানবাহনের থেকে কম, তাই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ শিল্পের বিকাশ অদূর ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পাবে বলেই সরকারের আশা।
কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প এবং রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী অরবিন্দ গনপত সাওয়ান্ত রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন।
CG/CB/DM
(Release ID: 1576752)