শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক
খসড়া জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি পর্যালোচনা করলেন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী
Posted On:
27 JUN 2019 3:47PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৭ জুন, ২০১৯
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প এবং রেলমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল খসড়া জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি এবং বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের লজিস্টিক্স দপ্তরের দ্বারা প্রস্তুত ঐ নীতি রূপায়ণের প্রস্তাবিত কর্মপরিকল্পনা খতিয়ে দেখেছেন। ঐ খসড়া জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি তৈরি করা হয়েছে রেল, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক, জাহাজ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ করে। এই নীতি নির্ধারণ করতে সরকারি ৪৬টি সংস্থার দেওয়া তথ্য বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের প্রথমেই চারটি মন্ত্রক এবং তাদের দপ্তরগুলিতে লজিস্টিক্স শৃঙ্খল বজায় রাখতে বর্তমানে প্রাপ্ত পরিকাঠামোয় একে অন্যকে সাহায্য করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এতে শুধুমাত্র ক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা যাবে তাই নয়, কমবে খরচও।
শ্রী গোয়েল, চারটি মন্ত্রককেই নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেন যাতে ভারতের জিডিপি-র লজিস্টিক্স খাতে ১৪ শতাংশ বরাদ্দ কমে ৯ শতাংশ দাঁড়ায়। বৈঠকে রেল, অসামরিক বিমান পরিবহণ, জাহাজ ও অভ্যন্তরীণ জলপথ, সড়ক পরিবহণ, ওয়্যারহাউজ এবং কোল্ড-চেন সংক্রান্ত লজিস্টিক্সের সব দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
খাদ্যশস্য, ফল এবং সবজি যাতে দ্রুত কৃষিক্ষেত্র থেকে বাজারে পৌঁছে দেওয়া যায়, শ্রী গোয়েল সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট হতে বলেন। তিনি বলেন, দেশ জুড়ে কোল্ড-চেনের জন্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে খসড়া লজিস্টিক্স নীতির কর্মপরিকল্পনার অংশ করে নিতে হবে বিশেষ করে, ফল, সবজি এবং পচনশীল দ্রব্যের ক্ষেত্রে। এর ফলে কৃষকদের ক্ষতি কমবে।
পর্যালোচনা বৈঠকে রেলের মাশুলের সরলীকরণ এবং ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডরের মাশুল নীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, যখনই কোন নতুন রাস্তা, রেলপথ, বিমানবন্দর, বন্দর নির্মাণের ভাবনা করা হবে, তখন লজিস্টিক্স দপ্তরকেও তার অঙ্গ করে নিতে হবে যাতে সুচারু পরিকল্পনা হয়, মাশুলের সরলীকরণ হয় এবং যাত্রী স্বাচ্ছ্বন্দ্য বৃদ্ধি পায়।
ভারতের লজিস্টিক্স ক্ষেত্র বহুধা বিস্তৃত। ২০২২-এর মধ্যে লজিস্টিক্স খাতে খরচ জিডিপি-র বর্তমান ১৪ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনাই লক্ষ্য। ২০টিরও বেশি সরকারি সংস্থা, ৩৭টি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল, ৫০০টি সার্টিফিকেশন, ১০ হাজার পণ্য, ১৬০ বিলিয়ন অর্থমূল্যের বাজার নিয়ে ভারতের লজিস্টিক্স ক্ষেত্র খুব জটিল। এর সঙ্গে যুক্ত ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান, ২০০টি জাহাজ সংস্থা, ৩৬টি লজিস্টিক্স পরিষেবা ইত্যাদি।
২০১৭-১৮-র অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের লজিস্টিক্স ক্ষেত্র থেকে ২ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়। এই ক্ষেত্রের উন্নতি হলে লজিস্টিক্স খাতে অপ্রত্যক্ষ ব্যয় ১০ শতাংশ কমবে। ফলে, রপ্তানি ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ঘটবে ৫-৮ শতাংশ। সমীক্ষা অনুযায়ী, আগামী দু’বছরে ভারতের লজিস্টিক্স বাজারের অর্থমূল্য দাঁড়াবে বর্তমানের ১৬০ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২১৫ বিলিয়ন ডলার।
বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রক এই কারণেই লজিস্টিক্স নীতি তৈরি করছে যাতে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়, আরও বেশি কর্মসংস্থান হয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের মান্যতা বাড়ে এবং লজিস্টিক্স হাব হিসেবে ভারতকে গড়ে তোলা যায়।
CG/AP/DM
(Release ID: 1575995)