পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক

জৈব জ্বালানির জন্য জাতীয় নীতি

Posted On: 24 JUN 2019 10:48PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৪ জুন, ২০১৯

 

২০১৮ সালের জৈব জ্বালানির জন্য জাতীয় নীতি অনুযায়ী, গম, ভাঙা চাল অর্থাৎ, যেগুলি খাদ্যোপযোগী নয়, সেই ধরনের ব্যবহারের অনুপযুক্ত খাদ্যশস্য থেকে ইথানল উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় জৈব জ্বালানি সমন্বয় কমিটির অনুমতিসাপেক্ষে এই নীতি অনুযায়ী অতিরিক্ত শস্যদানা থেকেওইথানল তৈরির সম্মতি দেওয়া হয়েছে। ব্যবহারের অনুপযুক্ত শস্যদানা থেকে ইথানল উৎপাদনের ফলে পেট্রোলের মধ্যে ইথানল মিশিয়ে তার ব্যবহার বাড়ানোর সুবিধা হবে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ১৫০.৫ কোটি লিটার ইথানল পেট্রোলের সঙ্গে মেশানো হয়েছে। এর ফলে, ৫,০৭০ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে এবং ২৯.৯৪ লক্ষ টন কার্বন গ্যাস নিঃসরণ কমানো গেছে।

 

২০১৮-র জৈব জ্বালানির জন্য জাতীয় নীতি অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রোলে ২০ শতাংশ ইথানল এবং ৫ শতাংশ জৈব ডিজেল মিশ্রণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তেল কোম্পানিগুলি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর এবং লাক্ষাদ্বীপ ছাড়া দেশের বাকি অংশে পেট্রোলে ইথানল মেশানোর কর্মসূচি (ইবিপি)বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে। ইবিপি কর্মসূচির আওতায় ইথানলকে সহজলভ্য করতে দ্বিতীয় প্রজন্মের জৈব জ্বালানি তৈরির জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী জি-বন যোজনা’র আওতায় অর্থ সাহায্যের সুযোগ থাকবে। মন্ত্রিসভা ৩০শে এপ্রিল যানবাহনে ব্যবহারের জন্য উচ্চগতির ডিজেলের মধ্যে জৈব জ্বালানি মিশ্রণের এক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২০ সালের পয়লা এপ্রিল থেকেদেশ জুড়ে বিএস-৬ মানের জ্বালানির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজধানী অঞ্চল, দিল্লির পরিবেশ দূষণকে মোকাবিলা করতে ঐ এলাকায় এই জ্বালানি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক এই লক্ষ্যে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের ১০টি জেলা এবং কারাউলি, ধাউলপুর ও আগ্রা শহরে এ বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে এই জ্বালানি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে।

 

লোকসভায় আজ কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন।

 

 

 

CG/CB/DM



(Release ID: 1575516) Visitor Counter : 504


Read this release in: English