পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক
মরু অঞ্চলের বিস্তার রুখতে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে : কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী
Posted On:
17 JUN 2019 5:17PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৭ জুন, ২০১৯
কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, মরু অঞ্চলের সম্প্রসারণ রুখতে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বের কোনও শক্তির কাছে মাথা নত না করে দেশের সুস্হায়ী উন্নয়নের অতীত ধারা বজায় রেখে ভারত মরু অঞ্চলের বিস্তার রুখতে সবরকম পদক্ষেপ নেবে। মরু অঞ্চলের বিস্তার রোধ ও খরা পরিস্হিতি মোকাবিলা সংক্রান্ত আর্ন্তজাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষে নতুন দিল্লীতে আজ এক অনুষ্ঠানে শ্রী জাভড়েকর জানান, ভারত আগামী ২৯ থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্যে কনফারেন্সে অফ পার্টিজ-এ চতুর্দশ অধিবেশনের আয়োজন করবে।
মার্টির উর্বরতা ক্রমশ হ্রাস পাওয়ার দরুন দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ভৌগলিক এলাকা প্রভাবিত হচ্ছে উল্লেখ করে শ্রী জাভড়েকর বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভারত অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে এবং কনফারেন্স অফ পার্টিজ-এর আসন্ন অধিবেশনে এ ব্যাপারে ভারতের অবস্হান আগের মতোই বজায় থাকবে। তিনি আরও জানান, মাটির উর্বরতা হ্রাস প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা, মৃত্তিকা স্বাস্হ্য কার্ড, মাটির স্বাস্হ্য বজায় রাখা, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চায় যোজনা, প্রতিটি জলের ফোঁটায় আরও বেশি ফলসের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শ্রী জাভড়েকর এই দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ কনফারেল্স অফ পার্টিজ-এর লোগো আনুষ্টানিক প্রকাশ করেন।
এই উপলক্ষ্যে নীতি আয়োগের কার্যনির্বাহী আধিকারিক শ্রী অমিতাভ কান্ত বলেন, মরু অঞ্চলের বিস্তার কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব। অবশ্য, এজন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে সম্ভাব্য সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে সক্রিয়ভাবে একজোট হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের সচিব শ্রী সি কে মিশ্র বলেন, এই দিনটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে বিগত বছরগুলিতে ভারত ভূমি সম্পদ পরিচালনার ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি করেছে তা প্রতিফলিত হয়ে থাকে।
শ্রী জাভড়েকর এই উপলক্ষে অরণ্য অঞ্চলের স্হায়িত্ব বজায় রাখতে একটি ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচির সূচনা করেন। ভারতে ‘বন চ্যালেঞ্জ’- এই কর্মসূচির মাধ্যমে ৫টি রাজ্যে বনাঞ্চলের পরিমাণ বজায় রাখতে সেরা পন্হা-পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী নজরদারি ব্যবস্হাও চালানো হয়েছে। এই কর্মসূচি ধীরে ধীরে দেশের বাকি অংশেও রূপায়ণ করা হবে বলেও তিনি জানান। ‘বন চ্যালেঞ্জ’ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল, ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১৫০ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে বনসৃজন। একইভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন হেক্টর জমি বনসৃজনের আওতায় নিয়ে আসা। ভারতও ২০২০ সালের মধ্যে ১৩ মিলিয়ন হেক্টর এবং ২০৩০এর মধ্যে আরও ৮ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে বনসৃজনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে, যা এশিয়ার অন্যতম সর্ববৃহৎ কর্মসূচি হয়ে উঠতে চলেছে।
CG/BD/NS
(Release ID: 1574797)
Visitor Counter : 846