পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক
সিওপি-র চতুর্দশ জেনেভা বৈঠকে ভারতের কার্যকরী ভূমিকা
Posted On:
16 MAY 2019 5:40PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৬ মে, ২০১৯
পরিবেশের সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ব ঐকমত্য গড়ে তুলতে বিভিন্ন দেশকে নিয়ে যে রাষ্ট্রগোষ্ঠী বা কনফারেন্স অফ পার্টিজ (সিওপি) গঠিত হয়েছে, তার চতুর্দশ বৈঠক গত ২৯শে এপ্রিল থেকে ১০ই মে স্যুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে আয়োজন করা হয়। রাসায়নিক ও বর্জ্য পদার্থ নিয়ে বাসেল, রটারড্যাম এবং স্টকহোম কনভেনশনে যে আলাপ-আলোচনা হয়, এই বৈঠকে ঐ বিষয়গুলি নিয়ে আরও বিশদে রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতামত প্রকাশ করে। উল্লেখ করা যেতে পারে, বাসেল কনভেনশনে মারাত্মক বর্জ্য পদার্থের সীমান্ত পারের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ তথা এই সমস্ত ক্ষতিকারক পদার্থের নিশ্চিহ্নকরণ নিয়ে আলোচনা হয়। সিওপি-র রটারড্যাম কনভেনশনের আলোচ্য বিষয়বস্তু ছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সুনির্দিষ্ট কিছু বিপজ্জনক রাসায়নিক ও কীটনাশক পদার্থের ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগাম সম্মতি আদায় ব্যবস্থা। এছাড়াও, স্টকহোম কনভেনশনে লাগাতার জৈবিক দূষণ নিয়ে আলোচনা হয়। সিওপি-র এবারের (চতুর্দশ) বৈঠকের মূল ভাবনা ছিল, ‘পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত বিশ্ব, স্বাস্থ্যকর মানুষ : রাসায়নিক ও বর্জ্য পদার্থের সুদক্ষ পরিচালনা’।
স্যুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অনুষ্ঠিত সিওপি-র চতুর্দশ বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক সহ কৃষি, রসায়ন তথা ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, বাসেল কনভেনশনে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। এর একটি ছিল ই-বর্জ্য এবং প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থের সীমান্ত পারের লেনদেনের ক্ষেত্রে আগাম সম্মতি আদায় ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসতে টেকনিক্যাল নীতি-নির্দেশিকা রচনা। বৈদ্যুতিন ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সাজসরঞ্জামগুলিকে যখন সরাসরি পুনর্ব্যবহার, মেরামত, নবীকরণের জন্য কাজে লাগানো হবে, তখন সেগুলিকে বর্জ্য-বহির্ভূত হিসেবে গণ্য করা হবে বলে খসড়া টেকনিক্যাল নীতি-নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। ই-বর্জ্য এবং প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থকে বর্জ-বহির্ভূত হিসেবে ঐ নীতি-নির্দেশিকায় উল্লেখের প্রেক্ষিতে ভারতের পক্ষ থেকে রক্ষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে বলা হয়েছে, এর ফলে উন্নত দেশগুলি থেকে ভারত সহ উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ঐ ধরনের অবাঞ্ছিত পদার্থের আবর্জনা জমা রোধ করা সম্ভব হবে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেওয়া ভারতীয় প্রতিনিধিরা ঐ নীতি-নির্দেশিকার প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তগুলির প্রেক্ষিতে নিজেদের কড়া বিরোধিতার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন এবং তাঁরা এই বিষয়টি সিওপি-র পক্ষ থেকে অনুমোদিত হওয়ার যাবতীয় প্রচেষ্টা রোধ করেন।
ভারতের এই কড়া অবস্থানের প্রেক্ষিতে স্থায়ী বোঝাপড়ায় পৌঁছতে কনভেনশন সচিবালয়ের উদ্যোগে একাধিক বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে যেখানে ভারতের উদ্বেগকে বহু উন্নয়নশীল দেশ সমর্থন জানিয়েছে। কনভেনশনের শেষ দিন একটি সংশোধিত সিদ্ধান্তপত্র গৃহীত হয় যেখানে ভারতের উদ্বেগের বিষয়গুলিকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান দেওয়া হয়েছে।
CG/BD/DM
(Release ID: 1572124)
Visitor Counter : 243