উপ-রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়

ব্যাপক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং সামগ্রিক বিকাশের জন্য আহ্বান জানালেন উপ-রাষ্ট্রপতি


রাষ্ট্রায়ত্ত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে প্রদ্ধতিগত সংস্কারের ওপর জোর দিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি

Posted On: 12 APR 2019 4:38PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১২ এপ্রিল, ২০১৯

 

    উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, ব্যাপক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং সামগ্রিক বিকাশ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, সবথেকে বঞ্চিত মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল না পৌঁছলে উন্নয়নের প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। রাষ্ট্রায়ত্ত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ এখানে আয়োজিত এক সমাবেশে শ্রী নাইডু ভাষণ দিচ্ছিলেন।

 

    এই উপলক্ষে উপ-রাষ্ট্রপতি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রেরণাদাতা ও পুরোধা শ্রী লালা লাজপত রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাঁর পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেন।

 

    উপ-রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ব্যাঙ্কগুলির বিপুল পরিমাণ অনুৎপাদক সম্পদের প্রেক্ষিতে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। অনুৎপাদক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ তথা এ ধরণের সম্পদের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে এক কার্যকর ও দক্ষ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে শ্রী নাইডু বলেন, এই ব্যবস্থায় যে ঘাটতি রয়েছে তা দূর করা প্রয়োজন যাতে ঐ ঘাটতিগুলি থেকে সুযোগের অপব্যবহার রোধ করা যায়।

 

    বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দা ও অর্থ ব্যবস্থায় শিথিলতার প্রেক্ষিতে ভারতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির নমনীয়তার জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলি বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের দায়িত্ব সুচারু রূপে পালন করার পর এখন ভারতের উন্নয়নের ধারায় সর্বাগ্রে অবস্থান করছে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

 

    আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্যে ভারতে প্রচেষ্টায় ব্যাঙ্কগুলি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করতে পারে মন্তব্য করে উপ-রাষ্ট্রপতি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতির দরুণ ভারতের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতির প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ এবং ডিজিটাল বিপ্লবের কথা উল্লেখ করেন।

 

    অনুৎপাদক সম্পদের মতো ব্যাঙ্কিং শিল্প বর্তমানে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, সে প্রসঙ্গে শ্রী নাইডু বলেন, এ ধরণের সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ব্যাঙ্কগুলির ঋণদানের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। দীর্ঘদিন অনাদায়ী ঋণের ফলে ব্যাঙ্কগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বর্তমানে তা আর্থিক বিকাশকে প্রভাবিত করছে। শ্রী নাইডু, ব্যাঙ্কগুলিকে ঋনদান ব্যবস্থার ওপর সর্বদা নজর রাখার ব্যাপারেও সতর্ক করে দেন। ঋণদান প্রক্রিয়ায় কঠোর নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখা এবং তহবিলে নজরদারির জন্য ব্যাঙ্কগুলির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাকে নিরন্তর মজবুত করার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

 

    শ্রী নাইডু, ঋণ খেলাপিদের ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার ক্ষেত্রে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণে প্রযুক্তি এবং তথ্যের ব্যবহারের পাশাপাশি, অনুৎপাদক সম্পদ লুকিয়ে রাখার প্রচেষ্টাকে চিহ্নিত করতে এক মজবুত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যাঙ্কগুলিকে পরামর্শ দেন। বাণিজ্যিক লেনদেন এবং কর্পোরেট ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ব্যাঙ্কগুলিকে সংশ্লিষ্ট নিয়ম-নীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের কষ্টার্জিত সঞ্চিত অর্থ ঋণ দেওয়ার সময় আরও সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়টিও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে এগুলির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণে আরও সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ব্যাঙ্কগুলির প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

 

    অনুষ্ঠানে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান শ্রী সুনীল মেহতা, ব্যাঙ্কের এমডি তথা সিইও শ্রী অশোক পাল সিং সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

 

 

CG/BD/DM



(Release ID: 1570489) Visitor Counter : 135


Read this release in: English