অর্থ কমিশন

সরকারের বিভিন্ন স্তরে আর্থিক সম্পর্ক নিয়ে উচ্চস্তরের বৈঠক করল পঞ্চদশ অর্থ কমিশন

Posted On: 04 APR 2019 5:35PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৪ এপ্রিল, ২০১৯

 

    পঞ্চদশ অর্থ কমিশন আজ সরকারের বিভিন্ন স্তরে আর্থিক সম্পর্ক নিয়ে উচ্চস্তরের বৈঠক করে। কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিং বৈঠকে পৌরোহিত্য করলেন। বিশ্বব্যাঙ্ক ওইসিডি এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থ কমিশনের জন্য এই তিনটি প্রতিষ্ঠান যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে, তারই পরিসমাপ্তি হিসেবে পরিগণিত হল এই বৈঠক।

 

    অভ্যাগতদের উদ্দেশে চেয়ারম্যান সংক্ষেপে করে বৈঠকের চারটি বিভিন্ন পর্বের বর্ণনা দিয়ে আলোচনার বিষয়মুখ স্হির করে দেন।

 

·       আধা জাতীয় ঋণ

·       নকশা উৎসাহ দান এবং আর্থিক ভারসাম্য হস্তান্তর

·       আধা জাতীয় বাজেট ও জন আর্থিক ব্যবস্হাপনা এবং

·       ত্রি-স্তরীয় সরকারের অর্থনীতি

 

এর আগে কমিশন ২০১৮-র এপ্রিলে ওইসিডি-এর সঙ্গে এবং ২০১৮-র জুলাই-এ বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে আলাদা কর্মশালা করেছিল। আলোচনা হয়েছিল আর্থিক গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং আন্তঃসরকারি হস্তান্তর বিষয়ে প্রাথমিক ভাবনা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে। আজকের গোলটেবিল বৈঠক ছিল কমিশনের জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক ওইসিডি এবং এডিবি-র কাজের সমাপ্তি অধিবেশন। গবেষণা কাজ এবং বিভিন্ন দলের বিশ্লেষন থেকে উঠে আসা বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হল।

 

আধা জাতীয় ঋণ, আর্থিক বিধি এবং দীর্ঘস্হায়িত্ব

·       অর্থ কমিশনকে যে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল সেটি হল কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির বর্তমান ঋণের মাত্রার পর্যালোচনা এবং শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্হাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আর্থিক সমন্বয়কারী পথ দিশার সুপারিশ।

·       সংশোধিত এফআরবিএম আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার যেগুলি নিশ্চিত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে, সেগুলি হল :

·       সাধারণভাবে সরকারের ঋণ ৬০ শতাংশ অতিক্রম করবে না

·       ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের শেষ নাগাদ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ অতিক্রম করবে না কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ।

·       ২০১৮-১৯এ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৪৮.৯ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারি ঋণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা আশা করা হচ্ছে, ২০১৯-২০র বাজেট অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের দায় কমে দাঁড়াবে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৪৭.৩ শতাংশে।

·       রাজ্যগুলির বাজেট নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৭-র মার্চের শেষে রাজ্যগুলির বকেয়া দায় জিএসডিপি ২৩.৪ শতাংশ। এরমধ্যে পাঞ্জাবে এই হার সর্বোচ্চ ৪৬.৩ শতাংশ এবং ছত্তিশগড়ে সর্বনিম্ন ১৫.১ শতাংশ।

·       ২০২০-২৫ কমিশনের প্রদান পর্বের জন্য পথদিশা তৈরি করতে এই বিষয়গুলি কমিশনের সামনে গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জ।

 

·       আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল :

·       ঋণের চলতি ধারা অনুযায়ী কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে এই ৬০ শতাংশের ভাগাভাগি কিভাবে হবে।

·       রাজ্যগুলির মধ্যে রাজ্যের গড় ঋণ কিভাবে বিতরণ করা হবে।

 

আন্তঃসরকারি হস্তান্তরের নকশা উসাহভাতা এবং আর্থিক সমতা

 

·       কমিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে আর্থিক সম্পদের অনুভূমিক এবং আনুলম্বিক অসাম্যের প্রতিকার করা।

·       আধা-জাতীয় সরকারগুলিকে নীতি ভিত্তিক হস্তান্তরের নকশা তৈরির সময় সমতা রক্ষা করায় প্রধান বিবেচ্য বিষয়।

·       এইসূত্রে বৈঠকে আলোচনা হল ভারতীয় গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য সমতাভিত্তিক নকশা তৈরির বিভিন্ন পথ নিয়ে পরিষেবা প্রদানের প্রতি ইউনিটের ব্যয়ের তথ্যকে বিবেচনা করে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির কর যোগ্য সম্পদের কথা মাথায় রেখে।

·       কমিশনের কাজ হল, রাজ্যগুলিকে তাদের কাজ অনুযায়ী উৎসাহভাতা প্রদানের সুপারিশ দেওয়া। এরমধ্যে যেগুলি বিবেচনা করতে হবে, সেগুলি হল- জিএসটি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, মূলধনী ব্যয় বৃ্দ্ধি এবং প্রধান কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলির রূপায়ন ইত্যাদি। বৈঠকে আলোচনা হল-

·       এই উৎসাহভাতা ভবিষ্যতের কাজের জন্য না অতীতের কাজের জন্য পুরস্কার।

·       সমতা এবং দক্ষতার ভিতর ভারসাম্য রক্ষা করার প্রয়োজনীতা। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল রাজ্যগুলি সাধারণভাবে দক্ষতার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে।

·       এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা নিয়েও আলোচনা হবে।

 

জন-আর্থিক ব্যবস্হাপনা

·       জন-আথিক ব্যবস্হাপনার সংস্কার একটি লাগাতার প্রক্রিয়া। আগের অর্থ কমিশনগুলি কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির জন-আথিক ব্যবস্হাপনায় বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। নজর দিয়েছিল বাজেট এবং হিসাব প্রক্রিয়া, আর্থিক প্রতিবেদন ইত্যাদির ওপর।

·       এই ধরণের সংস্কারগুলির রূপায়নের গতি ছিল মন্হর। এর সম্ভাব্য কারণগুলি হতে পারে, তা হল সুপারিশগুলি কার্যকর ও রূপায়ণ করার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যস্তরে প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামোর অভাব এবং এই ধরনেরই অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হল।

 

তৃস্তরীয় সরকারের রাজস্ব সৃষ্টি

 

আলোচনা আবর্তিত হল তৃস্তরীয় স্বয়ং সম্পূর্ণ সরকারের রাজস্ব সৃষ্টি নিয়ে, বিশেষ করে যখন জিএসটি চালু হয়েছে।

·       ভারতের বিকেন্দ্রীকৃত প্রশাসানিক কাঠামোর জন্য সরকারের তৃতীয় স্তরের নিজস্ব রাজস্ব সৃষ্টি একটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।

·       রাজস্ব সৃষ্টির অন্যতম প্রধান উৎস স্হানীয় প্রশাসনের দ্বারা সম্পত্তির ওপর কর আরোপ।

·       কিছু আঞ্চলিক প্রশাসন এই বিষয়ে বিভিন্ন ধারা গ্রহণ করেছে। তবে সম্পত্তি করের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়াতে তাদের মধ্যে মাত্র কিছু সাফল্য পেয়েছে।

·       বিভিন্নভাবে স্হানীয় সরকারের নিজস্ব রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করার জন্য কি সংস্কার করা প্রয়োজন এবং বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় এই বিষয়ে কি করা হয়েছে, ব্যাপারে আলোচনা হয়।

 

 

CG/AP/NS


(Release ID: 1570062)
Read this release in: English