অর্থমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর অস্বীকার করেছে

Posted On: 22 MAR 2019 9:14PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২২ মার্চ, ২০১৯

 

            কর্ণাটক এবং গোয়ার আয়কর তদন্ত নির্দেশালয় শ্রী ডি কে শিবকুমারের একটি অভিযোগ ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ১৩২ নং ধারায় তদন্ত করেছে। তদন্তে শ্রী ডি কে শিবকুমার এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখা গিয়েছে।

    তদন্তের সময় কিছু খোলা পাতা পাওয়া গেছে যেগুলি কর্ণাটক বিধানসভার ২০০৯ সালের বিধায়কদের ডায়রি থেকে নেওয়া। সেখানে কয়েকজনের নামের পাশে কিছু সংখ্যার উল্লেখ আছে। এই নথিগুলির আসল কাগজ কখনই দেওয়া হয়নি।

    ২০১৭ সালের ১৯শে অক্টোবর, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ১৩১ নং ধারা অনুযায়ী, শ্রী ডি কে শিবকুমার যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তার সঙ্গে অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে।

    তিনি বলেছিলেন, শ্রী বি এস ইয়েদুরিয়াপ্পার লেখা ডায়রির একটি কপি থেকে দেখা যাচ্ছে যে শ্রী ইয়েদুরিয়াপ্পা বিধায়কদের টাকা দিয়েছিলেন যখন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। শ্রী শিবকুমারকে খোলা পাতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি তথ্যসূত্র জানাবেন না। তিনি এও জানান, রাজনৈতিক তথ্য সম্বলিত ঐ কাগজগুলি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন। তবে, অর্থ লেনদেন কোন সময়ে হয়েছে সে বিষয়ে তাঁর কোন ধারণা নেই। তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বিষয়টি তিনি এসইবি অথবা কর্ণাটকের লোকায়ুক্তর কাছে পেশ করেননি কেন, তিনি জানান, এই কাগজগুলি আসল কিনা, তা তিনি জানতেন না। তিনি আরও বলেন, বি এস ইয়েদুরিয়াপ্পার বিভিন্ন লেখা মিলিয়ে তাঁর মনে হয়েছে হাতের লেখাটি শ্রী ইয়েদুরিয়াপ্পারই।

    বাজেয়াপ্ত করা কাগজগুলির বিষয়ে ২০১৭ সালের ১৯শে অক্টোবর, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ১৩১ নং ধারা অনুযায়ী শ্রী বি এস ইয়েদুরিয়াপ্পা যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তার সঙ্গে শ্রী ডি কে শিবকুমার বক্তব্যের অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে।

    শ্রী ইয়েদুরিয়াপ্পা জানিয়েছেন, ডায়রি লেখার অভ্যাস তাঁর কখনই নেই। এই হাতের লেখাটি তাঁর নয়। খোলা পাতাগুলি সম্পর্কে তাঁর কোন ধারণাও নেই। তিনি আরও জানান, তাঁর রাজনৈতিক জীবনকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে তাঁর হাতের লেখার একটি কপিও জমা দেন।

    এর প্রেক্ষিতে, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (সিএসএফএল) ডিরেক্টর, ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অন্তর্গত। হায়দরাবাদের ফরেন্সিক সায়েন্স সার্ভিসের নির্দেশালয় থেকে ১৮ই এপ্রিল, ২০১৮-তে তদন্ত করা হয়। সিএফএসএল থেকে ২৪শে এপ্রিল, ২০১৮-য় জানানো হয়, হাতের লেখা এবং সইগুলি আসল। শ্রী ডি কে শিবকুমার কোন আসল নথি দেননি।

    আয়কর দপ্তর আসল কাগজগুলির খোঁজ করেছে কিন্তু সেগুলি পাওয়া যায়নি। এই খোলা পাতাগুলি সন্দেহ সৃষ্টি করেছে এবং যিনি এই কাগজগুলি দিয়েছিলেন, কর ফাঁকির অভিযোগে তাঁকে জেরা করা হয়েছিল।

   

 

CG/CB/DM



(Release ID: 1569373) Visitor Counter : 184


Read this release in: English