রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়

রাষ্ট্রপতি উদ্ভাবন এবং উদ্যোগ উৎসবে ভাষণ দিলেন

Posted On: 15 MAR 2019 9:19PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৫ মার্চ, ২০১৯

 

উদ্ভাবন এবং উদ্যোগ উৎসব – ফাইন ২০১৯-এ আপনাদের মধ্যে আসতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এর আগে এটি রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজন করা হত। এ বছর গুজরাটে এই উৎসবের আয়োজন হওয়ায় আমি খুব খুশি। প্রথমত, গুজরাট উদ্ভাবন এবং উদ্যোগের ভূমি হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয়ত, সর্বকালের সেরা গুজরাটি, আমাদের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে এটি এখানে আয়োজিত হচ্ছে। গান্ধীজির গ্রাম স্বরাজ ধারণা থেকে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করা যায়। এই উৎসবে তৃণমূল স্তরের অনেক উদ্যোগপতি অংশ নিয়েছেন। আমি এখানকার পুরস্কারপ্রাপকদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাঁরা সমাজের প্রেরণা। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সমস্যার বাস্তবোচিত সমাধানের জন্য তাঁদের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

এই উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা ভারতের নানা প্রান্ত থেকে এসেছেন। আমি এই প্রবণতাকে স্বাগত জানাই। ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন (এনআইএফ) আয়োজিত এই উৎসবে দেশের নানা প্রান্তের উদ্ভাবকরা তাঁদের চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিতে পারেন। ২০০০ সালে ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা হয়। ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় এই ফাউন্ডেশন দেশের প্রথাগত জ্ঞানকে তুলে ধরে। আমার জেনে খুব ভালো লাগছে, এনআইএফ দেশ জুড়ে প্রচুর ধারণা, উদ্ভাবন এবং প্রথাগত জ্ঞান নিয়ে একটি ডেটাবেস তৈরি করেছে। এনআইএফ তৃণমূল স্তরের উদ্ভাবকদের যেভাবে সহযোগিতা করছে তা প্রশংসনীয়।

আমাকে বলা হয়েছে, হাজার হাজার কৃষক এবং নাগরিক এনআইএফ-এর দ্বারা নির্বাচিত উদ্ভাবকদের থেকে উপকৃত হচ্ছেন। এনআইএফ-এর পুরস্কার তাঁদের এই প্রথম স্বীকৃতি দিচ্ছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, পরিবেশ সুরক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলিতে যেসব সমস্যা আছে, তা সমাধানের জন্য উদ্ভাবনী শক্তির প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে সমন্বিত এবং সুখী সমাজ গড়ার জন্য সর্বতো প্রয়াস নেওয়া উচিৎ। প্রত্যেক তরুণ ভারতবাসী নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে বোঝার দারুণ সুযোগ এখান থেকে পাবেন। আমাদের সেরকম বিদ্যালয়ের প্রয়োজন, যেখানে শিশুরা কোন কিছু মুখস্থ করবে না। মেধাবী তরুণরা খালি মাথা নাড়বেন না, তাঁরা প্রশ্ন করবেন এবং সরকারও এর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রদান করবে।

একটি সৃজনশীল ধারণার প্রয়োগের জন্য নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের প্রয়োজন। যে কোন উদ্ভাবনের প্রয়োগের পাশাপাশি, বিনিয়োগের মাধ্যমে তার উপকার যেন আমাদের সহ-নাগরিকরা পান, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেখানে উদ্ভাবন বিনিয়োগে রূপান্তরিত হতে পারে। তা বাণিজ্যিক ভাবেই হোক অথবা সামাজিক উপায়ে। তরুণ উদ্ভাবকদের সাহায্যের জন্য স্টার্ট-আপ-এর সমর্থন প্রয়োজন, যেখানে আর্থিক সমর্থন ছাড়াও পরামর্শের প্রয়োজন আছে।

এনআইএফ এই বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করে চলেছে। কিন্তু আমার পরামর্শ হল আমাদের উদ্ভাবনের দিকগুলি কেবল জাতীয় পর্যায়ে নয়, সেগুলিকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দেওয়া উচিৎ। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এই ক্ষমতা বৃদ্ধি যথাযথ ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে সম্ভব।

আর্থ-সামাজিক দিক দিয়ে সর্বোচ্চ লাভের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য উদ্ভাবনী ধারণাগুলিকে বাজারের নিরিখে বিচার করতে হবে। এর ফলে, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। আমাকে জানানো হয়েছে, ‘ফাইন-২০১৯’-এ উদ্ভাবনের বাণিজ্যকরণ, আয়ত্ত্বের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা, সুষম পুষ্টি, সমন্বিত উন্নয়ন এবং বর্জ্য পদার্থের পরিবর্তন ঘটিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার মতো পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আমি এনআইএফ এবং ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগকে এই উৎসব আয়োজনের জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গুজরাটের জনগণ, যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দিয়েছেন, তাঁরা এই উৎসব থেকে উপকৃত হবেন।

পরিশেষে, আমি প্রথাগত এবং প্রথা বহির্ভূত ক্ষেত্রের সমস্ত উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, পরামর্শদাতা, নীতি প্রস্তুতকারক, সরকারি আধিকারিক, শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রের বন্ধুদের এই উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত আপনারা প্রত্যেকে নানাভাবে এখান থেকে উপকৃত হবেন। সমাজ এবং জাতির কাছে এই উদ্ভাবনের সুফল সর্বত্র পৌঁছনোর জন্য স্তিতিশীল উদ্যোগের প্রয়োজন। প্রতিটি উদ্ভাবন যেন অন্যকে অনুপ্রাণিত করে এবং এই প্রয়াস যেন অব্যাহত থাকে এই আশাই রাখি।

ধন্যবাদ।

জয় হিন্দ!

 

 

CG/CB/DM



(Release ID: 1568941) Visitor Counter : 234


Read this release in: English