প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরায় ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 07 MAR 2019 7:06PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৭ মার্চ, ২০১৯

 

উত্তর-পূর্বে স্মার্ট প্রশাসনের এই নতুন অধ্যায়ের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। গ্যাংটক, নামচি, পাসিঘাট, ইটানগর ও আগরতলায় ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের সূচনা একটি অভিনন্দনযোগ্য পদক্ষেপ।

 

উত্তর-পূর্বের শহরগুলি, তাদের দক্ষ মানবসম্পদ নিয়ে, সমগ্র অঞ্চলের উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসার ক্ষমতা রাখে।

 

স্মার্ট সিটি অভিযান শহরগুলিকে নিজ ক্ষমতা ও সমস্যাগুলি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। এই অভিযান অনুঘটকের মতো জনমত গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যাগুলির স্মার্ট সমাধানসূত্র পেতে সাহায্য করে।

 

স্মার্ট সিটি কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের পরিষেবার নেটওয়ার্ককে একত্রিত করে। পুলিশ, পরিবহণ, বিদ্যুৎ, জল, স্বাস্থ্যবিধান এবং জন-নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত দপ্তরগুলির মধ্যে ‘রিয়েল টাইমে’ যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে এই কেন্দ্রগুলি।

 

আমি বিশ্বাস রাখি যে, সঠিক ব্যবস্থা স্থাপন করা গেলে, প্রশাসকরা আরও ভালোভাবে শহরের ওপর নজরদারি চালাতে এবং সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

 

সারা ভারতে ইন্টিগ্রেডেট কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপনের কাজে গতি আসছে। ১ মার্চ, ২০১৯-এর প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দেশ জুড়ে ১৫টি স্মার্ট সিটিতে এই কেন্দ্রগুলি ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে। আরও ৫০টি কেন্দ্রের কাজ এগোচ্ছে।

 

আমাকে জানানো হয়েছে যে, অক্টোবর, ২০১৯-এর মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রথম স্মার্ট কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে যাবে।

 

এই ব্যবস্থার একটি মূল উপাদান হল নাগরিকদের সুরক্ষায় ব্যবহৃত সিসিটিভ নজরদারি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাটি  অপরাধ দমনে সাহায্য করবে।

 

ইন্টেলিজেন্ট ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাহায্যে যান চলাচল সহজতর হবে।

 

কঠিন বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাটি শহরগুলির পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি করবে। স্মার্ট স্ট্রিট লাইটিং ব্যবস্থা রাস্তাঘাটগুলিকে আরও নিরাপদ ও নাগরিক-বান্ধব করে তুলবে। এলইডি ব্যবস্থায় রূপান্তরের মাধ্যমে বিদ্যুতও সাশ্রয় হবে।

 

স্মার্ট শহরগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক তথ্য জানানোর সুবিধা থাকবে।

 

ডিজিটাল ভারত অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল সকলের কাছে ডিজিটাল মাধ্যমের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবস্থা নাগরিকদের কাছে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দেবে।  

 

উত্তর-পূর্ব ভারত হল পরিবেশের দিক থেকে সংবেদনশীল। সেজন্য পরিবেশের ওপর নজরদারি ব্যবস্থা এবং বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাগুলি নাগরিক এবং সরকারকে সঠিক সময়ের মধ্যে তথ্য পৌঁছে দেবে। এটি নাগরিক জীবনের সার্বিক মানোন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করবে।

 

ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের বিভিন্ন সুবিধার রূপায়ণ ও ব্যবহার বৃদ্ধি হলে, শহরগুলিতে নাগরিকদের জীবনযাপন আরও সহজ হবে।

 

আমাকে জানানো হয়েছে যে, উত্তর-পূর্বে ১০টি স্মার্ট শহরে মোট ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০টিরও বেশি প্রকল্প রূপায়িত হতে চলেছে। ৫৯টি এই ধরণের প্রকল্পের কাজের বরাত ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।

 

সিকিমের নামচিতে শহরে সুসংহত জল সরবরাহ প্রকল্প, রাস্তায় এলইডি লাইট ও ফুটপাথের কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে আমি আনন্দ বোধ করছি। আমাদের পাহাড়ি শহরগুলিতে জল একটি বিশাল সমস্যার আকার ধারণ করছে। গ্যাংটক, বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে। এখানে মাল্টি-লেভেল গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা রূপায়ণের কাজও শুরু হয়েছে। এতে যানজট কমানোর জন্য স্মার্ট পার্কিং-এর সুবিধা রয়েছে।

 

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আগরতলা একটি বন্যাপ্রবণ এলাকা। তার জন্য স্মার্ট সিটি অভিযানের আওতায় আগরতলার প্রশাসন এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

 

স্মার্ট রাস্তা এবং ইন্টেলিজেন্ট যান চলাচল ও পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রূপায়ণের মাধ্যমে ইটানগর শহরের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাসিঘাট শহরটি নিজের আবাসন, শক্তি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উন্নতিসাধনের জন্য স্মার্ট সিটির বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

 

সেজন্য প্রত্যেকটি শহর নিজ নিজ সমস্যা চিহ্নিত করেছে এবং এই সমস্যার সমাধানসূত্র পাওয়ার দিকে এগিয়েছে।

 

আমি আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে উত্তর-পূর্ব ভারতের আরও পাঁচটি শহর – গুয়াহাটি, আইজল, কোহিমা, ইম্ফল ও শিলং এই একই দিশায় এগিয়ে চলেছে।

 

স্মার্ট সিটি অভিযানের আওতায় প্রকল্প রূপায়ণের কাজ গতি পেয়েছে।

 

আমরা দৃঢ় বিশ্বাস রাখি যে, আমরা উত্তর-পূর্বের শহরগুলির নাগরিক স্বাচ্ছ্বন্দ্য প্রদানের দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছি। এর ফলে, এই অঞ্চলের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটবে।

 

 

CG/SC/DM



(Release ID: 1568044) Visitor Counter : 147


Read this release in: English