কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
জাতীয় খনিজ সম্পদ নীতি, ২০১৯ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত
শিল্পের মর্যাদা খনি সংক্রান্ত কাজকে
Posted On:
01 MAR 2019 4:22PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় খনিজ সম্পদ নীতি, ২০১৯ অনুমোদন দেওয়া হল। নতুন এই জাতীয় খনিজ সম্পদ নীতি আরও কার্যকর করলে বিধি-বিধানকে ভবিষ্যতে দীর্ঘকালীনভাবে উন্নয়ন ঘটবে খনি ক্ষেত্রে। এছাড়া, খনি সংক্রান্ত প্রকল্পের জন্য যে সমস্ত ব্যক্তি অসুবিধায় পড়বেন, বিশেষ করে আদিবাসী অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ, তাঁদের বিষয়গুলির প্রতিও নজর দেওয়া হবে।
জাতীয় খনিজ সম্পদ নীতি, ২০১৯-এর লক্ষ্য আরও স্বচ্ছতা আনা, আরও ভালো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং তা বলবৎকরণ, সামাজিক এবং আর্থিক বৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা এবং দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে খনি সংক্রান্ত কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া।
জাতীয় খনিজ সম্পদ নীতির মধ্যে যে সংস্থানগুলি আছে তার লক্ষ্য খনি ক্ষেত্রকে আরও উন্নীত করা। খনিজ সম্পদের খোঁজে বেসরকারি ক্ষেত্রকে আরও উৎসাহিত করা, বিভিন্ন খনিগুলিকে একত্রিকরণ এবং তার অধিগ্রহণ, বেসরকারি ক্ষেত্রকে খনির লিজ হস্তান্তর করা ও ডেডিকেটেড মিনারেল করিডর তৈরি করা। ২০১৯-এর নীতিতে খনি সংক্রান্ত কাজকর্মকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে যাতে, বেসরকারি ক্ষেত্র উৎসাহিত হয় এবং বিদেশে খনিজ সম্পদ অধিগ্রহণে বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি অগ্রসর হয়। এই নীতিতে আরও উল্লেখিত হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি আমদানি-রপ্তানি নীতি বেসরকারি ক্ষেত্রকে সাহায্য করবে, তাদের ব্যবসার পরিকল্পনা এবং স্থায়ীত্ব আরও ভালোভাবে করার জন্য। সরকারি হাতে থাকে যে সমস্ত খনি ব্যবহার করা হয়নি, সেগুলি নিলামে তোলার কথাও বলা হয়েছে এই নীতিতে, যাতে অংশ নিতে পারবে বেসরকারি ক্ষেত্রও। বেসরকারি ক্ষেত্রকে সাহায্য করতে বিশ্ব র্যাঙ্কিং সহ কর ব্যবস্থায় সমতা আনার প্রচেষ্টারও ব্যবস্থা আছে নতুন এই নীতিতে।
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগে লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে জাতীয় খনিজ সম্পদ নীতিতে পরিবর্তনের মাধ্যমে। এই নীতিতে ই-গভর্নেন্স নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি, সচেতনতা এবং তথ্য প্রচার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন এই নীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে উপকূলীয় জলপথ এবং অন্তর্দেশীয় জল পরিবহণের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
CG/AP/DM
(Release ID: 1566943)