অর্থমন্ত্রক
বৃহত্তম কর সংস্কার পদক্ষেপ হিসাবে জিএসটি চালু হওয়ায় কর ভিত্তির পরিধি, কর সংগ্রহ এবং সহজে ব্যবসার সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে
Posted On:
01 FEB 2019 5:21PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) সংস্কারের ফলে কর ভিত্তির পরিধি, উচ্চ হারে কর সংগ্রহ এবং সহজে ব্যবসার সুবিধা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে প্রায় ১ বছর ধরে এই সংস্কারের প্রস্তাব ঝুলে ছিল। বর্তমান সরকার জিএসটি সংস্কারের প্রস্তাব রূপায়ণ করেছে এবং এটিকে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের বৃহত্তম কর সংস্কারের উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জিএসটি চালু হওয়ার ফলে ভারতে এক অভিন্ন বাজার চালু হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় সরকারের সঙ্গে করদাতাদের দৈনন্দিন মুখোমুখী যোগাযোগের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ, সমগ্র বিষয়টি অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আন্তঃরাজ্য পণ্য চলাচল দ্রুততর হয়েছে। প্রবেশ কর, চেক পোস্ট এবং ট্রাকের দীর্ঘ লাইন এখন অতীতের বিষয়বস্তু হিসেবে দেখা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী শ্রী গোয়েল বলেন যে জিএসটি চালু হওয়ার আগেকার সময়ে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের ওপর কর আরোপের ব্যবস্থাকে যুক্তিযুক্ত করে তোলা হয়েছে এবং এর ফলে গ্রাহকদের বোঝা কমেছে, বিশেষ করে দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণী জিএসটি চালু হওয়ার ফলে উপকৃত হয়েছেন। জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের ওপর করের হার হ্রাস করা হয়েছে। এর ফলে, গ্রাহকরা বার্ষিক প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার সমতুল ছাড়ের সুবিধা পেয়েছেন। সাধারণ দরিদ্র মানুষের নিত্যদিনের ব্যবহার্য অধিকাংশ জিনিসপত্রের ওপর সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত কর ধার্য করা হয়েছে। শ্রী গোয়েল বলেন, সরকার বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের ওপর জিএসটি-র বোঝা কমানোর উদ্যোগ নিতে চায়। এই লক্ষ্যেই জিএসটি পর্ষদের কাছে বিষয়টি নিয়ে বিচার-বিবেচনা করার জন্য একটি মন্ত্রীগোষ্ঠী গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জিএসটি ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, উৎপাদক এবং পরিষেবা প্রদানকারীরা নানাভাবে উপকৃত হয়েছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসাকে করের নাগপাশ থেকে মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের ক্ষেত্রে কর প্রদানের ব্যবস্থা সরলীকরণ করা হয়েছে এবং জিএসটি-র হার কমানো হয়েছে। সারা দেশের ৩৫ লক্ষেরও বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, উৎপাদক এবং পরিষেবা প্রদানকারী এইসব সুবিধা পেয়েছেন। জিএসটি-র হার বহুলাংশে কমানো সত্ত্বেও এক্ষেত্রে রাজস্ব আয় ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণে জানিয়েছেন। জিএসটি চালু হওয়ার প্রথম বছরে এ বাবদ গড় মাসিক আয় ছিল ৮৯৭০০ কোটি টাকা, যা চলতি বছরে প্রতি মাসে ৯৭১০০ কোটি টাকা হয়েছে। রাজ্যগুলির রাজস্বের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান। প্রথম পাঁচ বছরের জন্য রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে বার্ষিক রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পরিমাণ ১৪ শতাংশ হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
CG/PB/DM
(Release ID: 1562279)
Visitor Counter : 121