প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী দাদরা ও নগর হাভেলির সিলভাসা সফর করলেন


১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন

দাদরা ও নগর হাভেলির তথ্য প্রযুক্তি নীতির সূচনা করলেন

Posted On: 21 JAN 2019 2:16PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৯ জানুয়ারি, ২০১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার কেন্দ্রশাসিত দাদরা ও নগর হাভেলির সিলভাসায় একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন।

এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সেলি-তে মেডিকেল কলেজেরও শিলান্যাস করেন তিনি।

শ্রী মোদী দাদরা ও নগর হাভেলির জন্য নতুন তথ্য প্রযুক্তি নীতির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। এই উপলক্ষে, তিনি এম-আরোগ্য মোবাইল অ্যাপ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ, কঠিন বর্জ্যের পরিচালনা তথা প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থারও সূচনা করেন। আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির সুফলভোগীদের তিনি গোল্ড কার্ড এবং সংশ্লিষ্ট মানুষজনকে বন-অধিকারপত্র প্রদান করেন।

এক জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। এগুলির দ্রুত রূপায়ণেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উদ্বোধন ও শিলান্যাস হওয়া প্রকল্পগুলি যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত।

তিনি বলেন, আজ এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য নতুন যে শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি নীতির সূচনা হয়েছে, তা শিল্পের বিকাশে সহায়ক হবে।

দেশবাসীর কল্যাণে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, আমরা ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ – এর মন্ত্রে কাজ করছি।

তিনি আরও জানান, দমন ও দিউ তথা দাদরা ও নগর হাভেলি – এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম বর্জিত হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি, এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই কেরোসিনের ব্যবহারও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছেপ্রতিটি পরিবারের কাছে রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জল সংযোগ রয়েছে বলেও শ্রী মোদী জানান।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রশাসিত এই দুই অঞ্চলের গরিব মানুষেরা গৃহ পেয়েছেন। একই সঙ্গে, আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির সুফলভোগীদের গোল্ড কার্ড দেওয়া হয়েছে।

শ্রী মোদী জানান, বিগত তিন বছরে এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প খাতে ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। সেলি-তে আজ যে মেডিকেল কলেজটির শিলান্যাস করা হয়েছে, তার ফলে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বহু পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য এটিই প্রথম মেডিকেল কলেজ। এ বছরই মেডিকেল কলেজের পঠন-পাঠন শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগে, এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পড়ুয়াদের জন্য বছরে ১৫টি মেডিকেল আসন বরাদ্দ ছিল। নতুন এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে মেডিকেল আসনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫০।

আয়ুষ্মান ভারত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম এই কর্মসূচিতে প্রতিদিন ১০ হাজারেরও বেশি গরিব মানুষ চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। কর্মসূচিটি চালু হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যেই ৭ লক্ষের বেশি দরিদ্র রোগী বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছেন বলেও শ্রী মোদী জানান।

তিনি আরও জানান, শহর ও গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষজনকে স্থায়ী গৃহ প্রদানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা রূপায়ণের কাজ চলছে। এক পরিসংখ্যান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিগত সরকার পাঁচ বছরে কেবল ২৫ লক্ষ গৃহ নির্মাণ করেছিল। শেষ পাঁচ বছরে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ১ কোটি ২৫ লক্ষ গৃহ নির্মাণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, দাদরা ও নগর হাভেলির ১৩ হাজার মহিলাকে বিনা খরচে রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী মানুষের কল্যাণেও একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন ধন যোজনার আওতায় বনজ সামগ্রীর সঠিক মূল্য প্রদানে বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এমনকি, আদিবাসী সংস্কৃতি সংরক্ষণেও একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পর্যটন ক্ষেত্রে দাদরা ও নগর হাভেলির যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, তার পূর্ণ সদ্ব্যবহারে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে এই অঞ্চলটিকে পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে দেওয়া যায়।

মৎস্যজীবীদের উপার্জন বাড়াতে নীল বিপ্লব কর্মসূচির আওতায় যে পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে, তার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের উন্নয়নে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১২৫ কোটি ভারতীয় তাঁর নিজের পরিবারের মতো এবং তাঁদের কল্যাণে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ।

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1560714) Visitor Counter : 168


Read this release in: English