সংস্কৃতিমন্ত্রক
বর্ষশেষ পর্যালোচনা ২০১৮ : কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক
Posted On:
11 JAN 2019 2:43PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি, ২০১৯
দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করা এবং একই সঙ্গে সব ধরণের শিল্পকলা ও সংস্কৃতির বিকাশে উৎসাহ দেওয়াই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অন্যতম উদ্দেশ্য। এই মন্ত্রকের আরও একটি দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে – দেশের মানুষের সৃজনশীলতা এবং নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গী সক্রিয় রাখার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অক্ষুণ্ন রাখা। পাশাপাশি, তৃণমূল-স্তরে সাংস্কৃতিক সচেতনতা গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বাড়িয়ে তোলাও এই মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
গত বছর সম্প্রতি মন্ত্রক আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে অনেকগুলি কর্মসূচি হাতে নেয়। দু’বছর ধরে গান্ধী জয়ন্তীর ১৫০তম বর্ষ উদযাপন থেকে শুরু করে আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন, শ্রী বিজয়া রাজে সিন্ধিয়ার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন, নতুন দিল্লিতে পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থার নতুন ভবন (ধরোহর ভবন) – এর উদ্বোধন, উত্তর প্রদেশের সানাউলি-তে খননকার্য চালিয়ে আবিস্কৃত ইতিহাস জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নজরে বিষয়টি আনা বা ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মতো প্রয়াস চালানোর কর্মসূচি গ্রহণ করে সংস্কৃতি মন্ত্রক।
২০১৮-এ সংস্কৃতি মন্ত্রকের সাফল্য
ভারতের মাটিতে জম্মু ও কাশ্মীরের সংযোজনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৮’র ১১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ডঃ মহেশ শর্মা ‘ভারত@৭০ : জম্মু ও কাশ্মীরের কাহিনী’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই ডিজিটাল প্রদর্শনীটির তত্ত্বাবধানে ছিল জাতীয় মহাফেজখানা। কাশ্মীর নিয়ে যে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছিল, সে বিষয়টিই প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল। এই মন্ত্রকের আরও একটি সাফল্য হ’ল – ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় মুম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়ান যুগের শিল্প সম্ভারের সংযোজন। এর ফলে, আমেদাবাদের পরই মুম্বাই হ’ল দ্বিতীয় শহর, যেটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় চলে এসেছে। ভারতে এখন ৩৭টি এমন ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন রয়েছে।
কর্ণাটকে হয়ে গেল সপ্তম রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসব
‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ – এই ভাবধারাটি উৎসবে পরিণত করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক সপ্তম রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসবের আয়োজন করে কর্ণাটকে, ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এই ভাবনার আওতায়। এই উৎসবটি হয় ২০১৮-র ১৪ই জানুয়ারি। উত্তরাখন্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। ধ্রুপদী ও লোকশিল্প, সঙ্গীত ও নৃত্য, থিয়েটার ও সাহিত্য বা দৃশ্যমূলক শিল্পকলা প্রভৃতি দিয়ে সাজানো হয় রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসব। দেশের তাঁতবস্ত্র এবং হস্তশিল্প-ও ঐ উৎসবে স্থান পায়।
এর পর, ২০১৮-র ১৭ই জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি অনুষ্ঠানে ২০১৬-র সঙ্গীত নাটক আকাডেমি পুরস্কার এবং সঙ্গীত ও নাটক আকাডেমি ফেলোশিপ দেওয়া হয়। ঐ অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিল্প মানুষের মধ্যে সংস্কৃতির আদান-প্রদান ঘটায়।
২০১৮-র ৪ ফেব্রুয়ারি নতুন দিল্লিতে উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু প্রথম আন্তর্জাতিক কলা মেলার উদ্বোধন করেন। ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ ভাবনার আওতায় বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য তুলে ধরতে আয়োজিত হয় এই মেলা। এই মেলাতে মোট ৩২৫টি স্টল ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮০০ জনেরও বেশি শিল্পী এই মেলায় অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের মধ্যে ছিল – চিন, ভেনিজুয়েলা, পেরু, পর্তুগাল, শ্রীলঙ্কা, পোল্যান্ড, টিউনিশিয়া, মেক্সিকো, বাংলাদেশ, ত্রিনিদাদ, টোবাগো, ফিজি, ফ্রান্স, ব্রাজিল, স্পেন, ব্রিটেন প্রভৃতি দেশ।
অষ্টম থিয়েটার অলিম্পিক্স আয়োজনে ছিল সংস্কৃতি মন্ত্রকের অন্তর্গত ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা
২০১৮-র ১৭ই ফেব্রুয়ারি নতুন দিল্লির লালকেল্লায় অষ্টম থিয়েটার অলিমপিক্সের উদ্বোধন করেন উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। দেশের ১৭টি শহরে ৪৫০টি শো মঞ্চস্থ করে এই অলিম্পিক্স। সারা বিশ্বের ২৫ হাজার কলাকুশলী এই অলিম্পিক্সে অংশ নেন। মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে ২০১৮-র ৮ই ফেব্রুয়ারি থিয়েটার অলিম্পিক্সের সমাপ্তি ঘটে।
বারাণসীতে গঙ্গা সংস্কৃতি মহোৎসব – রাস বেনারস
২০১৮-র ২১শে ফেব্রুয়ারি বারানসীর মান মন্দির এবং অস্মি ঘাটে আয়োজন করা হয় ‘রাস বেনারস – স্বচ্ছাগ্রহ – বাপুকো কার্যাঞ্জলি’ উৎসবটি। নদী এলাকার ঐতিহ্যসমূহ এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন গঙ্গা বিষয়ক জাতীয় মিশন বা ‘নমামি গঙ্গা জাগৃতি যাত্রার’ মতো বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে এই মহোৎসবের আয়োজন করা হয়।
মধ্যপ্রদেশে আয়োজিত হয় অষ্টম রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসব
ভারতের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য ২০১৮-র ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র শহরে মান মন্দির দুর্গে শুরু হয় রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসব। নাগাল্যান্ড ও মণিপুরের সঙ্গে যৌথভাবে মধ্যপ্রদেশ এই উৎসবের আয়োজন করে। এই উৎসবটিকে মধ্যপ্রদেশের আরও দুটি শহরে আয়োজন করা হয়, শহর দুটি হ’ল – ভোপাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) এবং ইন্দোর (২৮ ফেব্রুয়ারি)।
উত্তর প্রদেশের ভাগপতে সাদিকপুর সানাউলি গ্রামে খননকার্য চালায় দেশের পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থা বা এএসআই
২০১৮-র মার্চ মাস থেকে উত্তর প্রদেশের ভাগপতে সাদিকপুর সানাউলি গ্রামে দেশের পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থা বা এএসআই একটি খননকার্য চালায়। ২০০৪-০৫ – এও এএসআই খননকাজ চালিয়ে ১১৬টি কবর স্থান উদ্ধার করে। বর্তমানে যে খননকার্যটি চালানো হয়, তা পূর্বে যেখানে চালানো হয়েছিল, তার চেয়ে ১২০ মিটার দূরে রয়েছে। এই খনন কাজ চালানোর ফলে মোট আটটি কবরস্থান উদ্ধার করে এএসআই – এর কর্মীরা, যার মধ্যে তিনটি কফিন রাখার মতো কবরস্থান, তিনটি মধ্যম আকারের কবরস্থান, একটি জোড়া কবরস্থান এবং একটি সাংকেতিক কবরস্থান রয়েছে। প্রত্যেকটি কবরস্থানেই রয়েছে মাটির পাত্র। কঙ্কালের আশে-পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের মাটির পাত্র। এই আবিস্কার ইঙ্গিত করে যে, কবরস্থানগুলি ছিল সৈনিক শ্রেণীর মানুষজনের, যাঁরা রথে চড়ে যাতায়াত করতেন। এই আবিস্কারের ফলে ভারতীয় সভ্যতা মেসোপটেমিয়া এবং গ্রীক সভ্যতার সমতুল হয়ে উঠেছে।
দিল্লিতে প্রথম আন্তর্জাতিক প্রিন্ট বাইএনেল অনুষ্ঠিত হয়েছে
দেশের শিল্পকলা বিষয়ক জাতীয় আকাডেমির ভূমিকার কথা মাথায় রেখে ললিতকলা আকাডেমি প্রথম আন্তর্জাতিক প্রিন্ট বাইএনেল – এর আয়োজন করে। এখানে বিশ্বের ১৭টি দেশ অংশগ্রহণ করে। গত বছর ২৫ মার্চ গ্রাফিক প্রিন্ট সংক্রান্ত প্রথম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘প্রিন্ট বাইএনেল ইন্ডিয়া, ২০১৮’ শুরু হয়। জাতীয় স্তরে মোট ৯৮৮ জন প্রতিযোগীর কাজ জমা পড়ে এই প্রদর্শনীতে, যার মধ্যে ১২৭টি কাজ নির্বাচিত হয় প্রদর্শনের জন্য। আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল ১৩৭। এর মধ্যে ৫০ জন শিল্পীকে নির্বাচিত করা হয়। আন্তর্জাতিক শিল্পীদের থেকে বাছাই করে ৭৩টি শিল্পকর্ম ঐ প্রদর্শনীতে স্থান পায়।
অরুণাচল প্রদেশ থেকে গুজরাট পর্যন্ত লোককাহিনী রুক্মিনী অমর যাত্রার স্মরণে গুজরাটে মাধবপুর মেলা
লোককাহিনী রুক্মিনী ও শ্রীকৃষ্ণের লীলাকে কেন্দ্র করে মাধবপুর মেলার সূচনা। ২০১৮-র ২৫ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত এই মেলা চলে, যেখানে লোকনৃত্য, সঙ্গীত ও কেনাকাটার বিপুল আয়োজন করা হয়। ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ভাবনাকে সম্বল করেই এই মেলার আয়োজন করা হয়।
নতুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উদযাপন করা হয় বুদ্ধ জয়ন্তী
২০১৮-র ৩০ এপ্রিল বুদ্ধ জয়ন্তী উপলক্ষে নতুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ভগবান বুদ্ধের স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সংঘের সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রক যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ডঃ মহেশ শর্মা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কিরেণ রিজিজু প্রমুখ।
রাষ্ট্রপতির পৌরহিত্যে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য গঠিত জাতীয় কমিটির প্রথম
রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দ মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য গঠিত জাতীয় কমিটির প্রথম বৈঠকটির পৌরহিত্য করেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে ২০১৮-র ২ মে। এই কমিটিতে মোট ১২৫ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ১১৬ জন ভারতের। এই ১১৬ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন – ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীবর্গ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, প্রবীণ সাংসদ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবর্গ ও বিশিষ্ট গান্ধীবাদী নেতারা। এর মধ্যে রয়েছেন সমাজ সংস্কারকরাও। কমিটিতে ন’জন আন্তর্জাতিক সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ’ল রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন দুই মহাসচিব ডঃ কোফি আন্নান এবং শ্রী বান কি মুন। দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ নোবেলজয়ী শ্রী ডেসমন্ড টুটু এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রী আল গোরে-ও এই কমিটিতে রয়েছেন। কমিটির ৮২ জন সদস্য ঐ বৈঠকটিতে অংশ নেন।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) – এর সংস্কৃতি মন্ত্রীদের পঞ্চদশ বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ডঃ মহেশ শর্মা। বৈঠকটি হয় হাইনান প্রদেশের সানয়া-তে ২০১৮-র ১৬ ও ১৭ মে। ভারত এই প্রথম ঐ বৈঠকে অংশ নেয়।
উত্তরাখন্ডের তেহরিতে নবম রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসব
ভারতের সমৃদ্ধশালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক তিনদিনের সাংস্কৃতিক উৎসব ‘রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসব’ - এর আয়োজন করে উত্তরাখন্ডের তেহরি লেকের নিকটবর্তী কোটি কলোনীতে। ২০১৮-র ২৫ মে উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত এই মহোৎসবের উদ্বোধন করেন।
উত্তর প্রদেশের মঘরে আয়োজিত হয় কবীর মহোৎসব
পঞ্চদশ শতকের সন্তকবি কবীরের ৫০০তম পুণ্যতিথির স্মরণে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক দু’দিনের কবীর মহোৎসবের আয়োজন করে ২০১৮-র ২৮ ও ২৯ জুন উত্তর প্রদেশের মঘরে। সারা দেশ থেকে বহু শিল্পী ও কলাকুশলী এই মহোৎসবে অংশ নেন। লোকসঙ্গীত ও নৃত্য এবং একই সঙ্গে নাটক পরিবেশিত হয়ে এই মহোৎসবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৮ জুন এই মহোৎসবে উপস্থিত থেকে জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেন।
শিল্প সংক্রান্ত ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় কেন্দ্র চালু করে পাঁচটি ডিপ্লোমা ও সার্কিফিকেট কোর্স
দেশের অন্যতম সেরা স্বয়ংশাসিত শিল্প সংস্থা ইন্দিরা গান্ধী শিল্প সংক্রান্ত জাতীয় কেন্দ্র (আইজিএনসিএ), পাঁচটি ডিপ্লোমা কোর্স এবং ছ’টি নতুন ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে ২০১৮-তে। এর প্রধান লক্ষ্য হ’ল শিল্প ও সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা।
ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থা এএসআই নতুন ভবন ‘ধরোহর ভবন’ – এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং
২০১৮-র ১২ই জুলাই নতুন দিল্লির তীলক মার্গে দেশের পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থা বা এএসআই – এর নতুন ভবন, ধরোহর ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ভবনের মধ্যে রয়েছে – অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় পুরাতাত্ত্বিক পাঠাগার-ও, যেখানে ১.৫ লক্ষ বই ও সাময়িক পত্রপত্রিকার সংগ্রহ রয়েছে।
লালকেল্লার আলোকসজ্জা
২০১৮-র ১০ আগস্ট লালকেল্লার দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার লাহোরি গেট এবং দিল্লি গেট ও সংলগ্ন দেওয়ালটির আলোকসজ্জা করা হয় নতুনভাবে। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ডঃ মহেশ শর্মার উপস্থিতিতে এই আলোকসজ্জা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে নিষিদ্ধ সাহিত্য প্রদর্শন করল জাতীয় মহাফেজখানা
২০১৮-র ১০ আগস্ট নতুন দিল্লিতে জাতীয় মহাফেজখানার পরিসরের ভেতর স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে নিষিদ্ধ সাহিত্যসমূহ ‘প্রতিবন্ধিত সাহিত্য মে স্বতন্ত্রতা সংগ্রাম’ প্রদর্শিত হয়। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ডঃ মহেশ শর্মা এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাতে এই সাহিত্যসমূহ রচনা হয়েছে। যেমন – বাংলা, গুজরাটি, হিন্দি, কন্নড়, মারাঠি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, তামিল, তেলুগু, ঊর্দু, অসমিয়া প্রভৃতি।
ভারত সরকার চালু করল সেবা ভোজ যোজনা
২০১৮-র পয়লা আগস্ট কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক চালু করে সেবা ভোজ যোজনা। ২০১৮ – ১৯ এবং ২০১৯ – ২০-র জন্য এই খাতে বরাদ্দ হয় ৩২৫ কোটি টাকা।
মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে রাষ্ট্রপতি চালু করলেন একটি পোর্টাল ও লোগো
জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫০-তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে রাষ্ট্রপতি ভবনে চালু হয় একটি ওয়েবপোর্টাল ও লোগো। ওয়েবপোর্টালটির ঠিকানা (http://gandhi.gov.in)। রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দ এই লোগো ও পোর্টালটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
শ্রীমতী বিজয়া রাজে সিন্ধিয়া জন্ম শতবর্ষ উদযাপন করছে ভারত সরকার
২০১৮-র ১১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ – এর ১১ অক্টোবর পর্যন্ত গোয়ালিয়রের রাজমাতা শ্রীমতী বিজয়া রাজে সিন্ধিয়ার জন্ম শতবর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১০০ টাকার একটি স্মারক মুদ্রা এবং একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশেরও প্রস্তাব আনা হয়েছে এই উপলক্ষে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে যাদুঘর নির্মাণের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ
দিল্লিতে দেশের প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে একটি যাদুঘর নির্মাণের প্রস্তাবনা রয়েছে। ২০১৮-র ১৫ই অক্টোবর কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ডঃ মহেশ শর্মা এবং কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী নতুন দিল্লির তিনমূর্তি এস্টেটে প্রস্তাবিত যাদুঘরটির শিলান্যাস করেন।
আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে
২০১৮-র ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লার প্রাকার থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর দ্বারা গঠিত আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ফলক উন্মোচন করেন।
২০১৪ – ১৫ এবং ২০১৬-র জন্য ঘোষিত টেগোর সাংস্কৃতিক পুরস্কার
২০১৪-১৫ এবং ২০১৬-র জন্য সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি বিষয়ক টেগোর পুরস্কার মণিপুরী নৃত্যসম্রাট শ্রী রাজকুমার সিংহজিৎ সিং (বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট) এবং ভারতের যসশ্বী ভাস্কর শ্রী রাম ভাঞ্জি সুতার-কে দেওয়া হয়।
শ্রীগুরুনানক দেবজীর ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
২০১৮-র নভেম্বর থেকে শ্রীগুরুনানক দেবজীর ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে এই জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। উদযাপন অনুষ্ঠানটি শুরু হয় ২০১৮-র ২৩ নভেম্বর কীর্তন, কথা, প্রভাত ফেরি, লঙ্গর এবং শিক্ষামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে।
গান্ধী স্মৃতি ও দর্শন সমিতি (জিএসডিএস) আয়োজন করে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলন
২০১৮-র ২৮ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত হয় তিনদিনের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক যুব শান্তি সম্মেলন। গান্ধী স্মৃতি এবং দর্শন সমিতি ইউনেস্কো – এমজিআইইপি এবং শান্তি রক্ষার জন্য একসূত্রে আসা সংস্থারর সঙ্গে যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। দিল্লির রাজঘাটে গান্ধী দর্শনে সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষেই সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
CG/SSS/SB
(Release ID: 1559596)
Visitor Counter : 1193