জাহাজচলাচলমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের কাজের বার্ষিক পর্যালোচনা – ২০১৮

Posted On: 10 JAN 2019 7:47PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০ জানুয়ারি, ২০১

 

২০১৮ সালটি কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের কাছে নানান কারণে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। এ বছর দেশের জাহাজ চলাচল ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ’ল – ছাড় সংক্রান্ত আদর্শ চুক্তির সংশোধন, মাশুল বিষয়ক নীতি-নির্দেশিকার পরিবর্তন। এছাড়া, সহজে ব্যবসার সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রধান বন্দরগুলি তাদের কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটিয়েছে। সাগরমালা কর্মসূচিতে ৮৯টি প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে এবং ৪ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকার সমতুল ৪৪৩টি প্রকল্প বিভিন্ন পর্যায়ে রূপায়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই বছরটিকে বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহণ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য চিহ্নিত করা যাবে। এ বছরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই প্রথম কন্টেনার বাহিত পণ্য, অভ্যন্তরীণ জলপথের মাধ্যমে কলকাতা থেকে বারানসীতে পৌঁছেছে। প্রাচীন এই শহরে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গঙ্গানদীর ওপর একটি মাল্টি মোডাল পরিবহণ টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন। এছাড়াও, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রোটোকল রুটে সুসংহত পণ্য পরিবহণের কাজ শুরু হয়েছে। পরিবেশ-বান্ধব এবং অপেক্ষাকৃত স্বল্প ব্যয়ে অভ্যন্তরীণ জলপথ খুব দ্রুত পণ্য পরিবহণে এক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠছে। এ বছর দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রুজ পর্যটন শুরু হয়েছে। চেন্নাইয়ে একটি আন্তর্জাতিক ক্রুজ টার্মিনাল এবং মুম্বাই থেকে গোয়ার মধ্যে ক্রুজ পরিষেবা চালু হয়েছে। এ বছর জাহাজ শিল্পের উন্নয়নে বিশাখাপত্তনম এবং মুম্বাইতে মেরিটাইম এবং শিপ বিল্ডিং অর্থাৎ জাহাজ চলাচল ও নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি করে উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। চেন্নাইয়ের আইআইটি মাদ্রাজে বন্দর, জলপথ এবং উপকূল সংক্রান্ত একটি জাতীয় প্রযুক্তি কেন্দ্রেরও উদ্বোধন হয়েছে এ বছর। এছাড়া, সাগরমালা প্রকল্পের আওতায় সমস্ত প্রধান বন্দরে বিভিন্ন ধরণের দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

আমাদের দেশে বাণিজ্যিক লেনদেনের প্রায় ৯০ শতাংশই জলপথের মাধ্যমে বিভিন্ন বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে এবং বহির্বাণিজ্যের ৭০ শতাংশই জলপথের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই লক্ষ্যেই সরকারের উদ্যোগে দেশের বন্দরগুলির পণ্য লেনদেন ক্ষমতা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশের বন্দরগুলির মাল পরিবহণের সম্মিলিত ক্ষমতা ১৪৫১.১৯ এমটিপিএ হয়েছে। ২০১৮-১৯ – এ এই ক্ষমতা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫০টি প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। ২০১৮-১৯ – এর মধ্যে এই ক্ষেত্রে ৯০ এমটিপিএ পণ্য পরিবহণ ক্ষমতা যুক্ত হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ৪১৪৬.৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১.৯৩ এমটিপিএ পণ্য পরিবহণের অতিরিক্ত ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে।

 

২০১৯ সালের বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহজে ব্যবসার সুযোগ সংক্রান্ত রিপোর্টে ভারত ২৩ ধাপ এগিয়ে ৭৭ নম্বর স্থানে এসেছে। সহজে ব্যবসার সূচকে ভারতের স্থানকে আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে জাহাজ মন্ত্রকের উদ্যোগে পণ্য ওঠা-নামার সময় কমানো, লেনদেন ব্যয় কমানো, পণ্য লেনদেনের যান্ত্রিকীকরণ, ডাইরেক্ট পোর্ট ডেলিভারী, কন্টেনার স্ক্যানার বসানো, ই-ডেলিভারী অর্ডার, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বন্দরগুলি থেকে পণ্যের প্রস্থান ও প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জওহারলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্ট বন্দরে এই উদ্যোগগুলি রূপায়ণের সুফল পাওয়া গেছে। দেশের বিভিন্ন বন্দরে সহজে পণ্য ওঠা-নামার সুবিধা করে দিতে একটি কেন্দ্রীয় ওয়েব-ভিত্তিক ‘পোর্ট কম্যুনিটি সিস্টেম’ দেশের বন্দরগুলিতে চালু করা হয়েছে। বন্দরের সঙ্গে যুক্ত সব ধরণের কাজ সহজেই এই ব্যবস্থার মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে। সমস্ত প্রধান বন্দরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ই-ইনভয়েস, ই-পেমেন্ট এবং ই-ডেলিভারী অর্ডার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্টের বন্দরে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত পণ্য পরিবাহী জাহাজগুলির গতিবিধি তাৎক্ষণিকভাবে জানার জন্য লজিস্টিক ডেটা ব্যাঙ্ক পরিষেবা চালু হয়েছে।

 

২০১৮ সালে জাহাজ মন্ত্রকের উল্লেখযোগ্য কাজগুলির মধ্যে রয়েছে – জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্টের চতুর্থ কন্টেনার টার্মিনাল চালু করা। এই টার্মিনালটিতে বন্দর ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ হয়েছে। ৭৯৩৫ কোটি টাকা বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে এই বন্দরটির কন্টেনার বাহিত পণ্য লেনদেনের ক্ষমতা ৫১ লক্ষ ৫০ হাজার টিইইউ থেকে বেড়ে ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার টিইইউ হবে। চলতি বছরেই কান্দলার দীনদয়াল বন্দরে ১০০ মেট্রিক টন পণ্য লেনদেনের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বিশাখাপত্তনমের অগভীর সমুদ্রবন্দরে ২০১৮-র জুন মাস থেকে রাতের বেলাতেও জাহাজ প্রবেশ ও প্রস্থানের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও, বিশাখাপত্তনম বন্দরের উন্নয়নে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছরই প্রথম কলকাতা বন্দরের স্যান্ডহেড নোঙর কেন্দ্রে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯২৮ মেট্রিক টন কয়লাবাহী একটি বিশেষ ধরণের জাহাজ এসে পৌঁছয়। দেশের প্রধান প্রধান বন্দরগুলিতে পণ্য গুদামজাতকরণের ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে একটি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

চলতি বছরে কেরলের অভূতপূর্ব বন্যা পরবর্তী সময়ে দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোচিন বন্দর বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। এই বন্দরকে কেন্দ্র করেই কেরলের সর্বাধিক বন্যাদুর্গত এর্নাকুলাম জেলায় খাদ্য, ওষুধপত্র সহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কোচিন বন্দরের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বন্যার ত্রাণ তহবিলে ৬২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বন্দরের কর্মীরা তাঁদের একদিনের বেতন দান করে ৩১ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন। অনুরূপভাবে, কলকাতা বন্দরের কর্মীরাও তাঁদের একদিনের বেতন দান করে ৮৩ লক্ষ টাকা ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বন্যাত্রাণ তহবিলে পাঠিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন বন্দরগুলিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প, বিশেষ করে ড্রেজিং প্রকল্প রূপায়ণের সংশোধিত নীতি-নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

 

ইরাণের চাবাহার বন্দর সংলগ্ন এলাকায় একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়ে ভারত ও ইরাণ সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী কাজের লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। অক্টোবর মাসে নতুন দিল্লিতে চাবাহার প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সাগরমালা প্রকল্পের আওতায় মোট ৮ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ৬০৫টি বন্দর প্রকল্পকে রূপায়ণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। জাহাজ মন্ত্রকের উদ্যোগে রাজ্য সরকারগুলির সহায়তায় দেশের বন্দরগুলির পণ্য পরিবহণ ও লেনদেন ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগে কাজ অব্যাহত আছে। দেশের ১২টি প্রধান বন্দরের আধুনিকীকরণের জন্য প্রোজেক্ট উন্নতি নামে একটি প্রকল্প রূপায়ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরেই পশ্চিমবঙ্গের তাজপুর সহ ৬টি রাজ্যে একটি করে নতুন বন্দর স্থাপনের উদ্যোগের অগ্রগতি হয়েছে। রেলপথের মাধ্যমে বন্দরগুলির সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতীয় বন্দর রেল নিগম লিমিটেড ১৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রধান বন্দরের সঙ্গে রেল সংযোগ গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প রূপায়ণ করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ’ল – মহারাষ্ট্রের ইন্দোর থেকে মন্মাদের মধ্যে নতুন রেল লাইন স্থাপন। এছাড়া, দিল্লি – মুম্বাই শিল্প করিডর, নাসিক থেকে সিন্নার, পুণে থেকে খেদ এবং ধুলে থেকে নার্দানা পর্যন্ত নতুন রেল লাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সড়কপথেও বন্দরগুলির সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সারা দেশে ২২ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ভারতমালা কর্মসূচির অধীনে ৫৪টি সড়ক প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে। দেশে সমুদ্র সংলগ্ন সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বন্দর-কেন্দ্রীক শিল্পায়নের উদ্যোগের জন্য উপকূলবর্তী অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সারা দেশে ৩৮টি সম্ভাবনাময় বন্দর সংযুক্ত শিল্প ক্লাস্টার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সহজে ব্যবসার সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতে উপকূলবর্তী অঞ্চলে জাহাজ চলাচল সংক্রান্ত আইনটিকে সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাহাজ মন্ত্রকের উদ্যোগে ২১টি উপকূলবর্তী জেলায় এই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণ করা হচ্ছে। ডেয়ারি পালন এবং মৎস্য ক্ষেত্রে কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় ৫৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে জলমার্গ বিকাশ প্রকল্প রূপায়নের জন্য অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পে বারানসী, সাহেবগঞ্জ, হলদিয়া ও ফারাক্কায় বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে। বারানসীতে মাল্টি মোডাল পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পণ্য পরিবহণ ও সংরক্ষণের জন্য মাশুল গ্রাম ও লজিস্টিক হাব গড়ে তোলার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সারা দেশে ৮টি নতুন জাতীয় জলপথ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাল পরিবহণের সুবিধার্থে ৪ নম্বর জাতীয় জলপথে এবং আসামের মাজুলি দ্বীপের সঙ্গে নিয়ামাটির পণ্য পরিবহণের আরও সুবিধা করে দিতে ‘রো রো পরিষেবা’ চালু করা হচ্ছে। চলতি বছরে ১, ২ এবং ৩ নম্বর জাতীয় জলপথে নতুন ‘রো রো পরিষেবার’ জন্য বৃহৎ ভেসেল সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতীয় জলপথগুলিতে পণ্য পরিবহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ বছর বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১ নম্বর জাতীয় জলপথের গঙ্গানদীতে কম গভীরতাসম্পন্ন অঞ্চলে চলাচলের উপযুক্ত জাহাজ নির্মাণের জন্য একটি নতুন ধরণের জাহাজের নক্‌শা তৈরি করা হয়েছে।

 

জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার ২০১৬ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ১০ বছরের জন্য ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আর্থিক সহায়তার নীতি রূপায়ণ করছে। এছাড়া, মুম্বাই ও কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে জাহাজ মেরামতির কাজের আধুনিকীকরণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের দ্বীপাঞ্চল হিসাবে পরিচিত আন্দামান, নিকোবর ও লাক্ষ্মাদ্বীপে বন্দর ও জাহাজ পরিষেবা গড়ে তোলা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছরই প্রথম ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে আফ্রিকীয় দেশগুলির কর্মকর্তাদের জন্য বন্দর পরিচালন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ওসান ইঞ্জিনিয়ারিং – এর প্রশিক্ষণের কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতির সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়করণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছর ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ লাইট হাউস অ্যান্ড লাইট শিপ – এর পক্ষ থেকে একটি পাঠ্যক্রমে ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে উন্নত পদ্ধতিতে দিক নির্ণয় এবং জাহাজ পরিচালনের জন্য উপগ্রহ মারফৎ প্রাপ্ত তথ্যকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

 

এ বছরই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভারত – বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটে আশুগঞ্জ থেকে জাকিগঞ্জ এবং সিরাজগঞ্জ থেকে দাইখওয়ার মধ্যে জলপথ উন্নয়নের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ধুলিয়াযান থেকে রাজশানির মধ্যে প্রোটোকল রুটটিকে আড়িচা পর্যন্ত প্রসারিত করা এবং ভাগিরথী নদীর ওপর জঙ্গীপুরে লকগেট স্থাপন নিয়েও কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। ভারত ও নেপালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ জলপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

 

CG/PB/SB



(Release ID: 1559454) Visitor Counter : 343


Read this release in: English