সারওরসায়নমন্ত্রক
বর্ষশেষ পর্যালোচনা ২০১৮ : রসায়ন ও সার মন্ত্রক
(রসায়ন ও পেট্রো রসায়ন, সার ও ফার্মাসিউটিক্যাল দপ্তর)
Posted On:
10 JAN 2019 2:47PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
সার দপ্তর
নিমের আস্তরণযুক্ত ইউরিয়া
- ২০১৫-র পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে দেশে উৎপাদিত ইউরিয়ায় নিমের আস্তরণ ব্যবস্হা চালু হয়েছে।
- আমদারিকৃত ইউরিয়ার ক্ষেত্রে নিমের আস্তরণ ব্যবস্হা পয়লা ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে শুরু হয়েছে।
২০১৬ সালে এক সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে নিমের আস্তরণযুক্ত ইউরিয়া ব্যবহারের ফলে মাটির স্বাস্হ্য ও উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। কলকারখানায় যন্ত্রপাতির সুরক্ষার জন্য যে রাসায়নিক উপকরণ কাজে লাগানো হয়, তার ব্যবহার নিমের আস্তরণযুক্ত ইউরিয়ার ফলে হ্রাস পায়। পোকামাকড় ও রোগ-জ্বালা হ্রাস পায়। ধান, আখ, সোয়াবিন, অড়হর ডাল প্রভৃতি শস্যের উৎপাদন বাড়ে। কৃষি বর্হিভূত ক্ষেত্রে এ ধরনের ইউরিয়ার ব্যবহার কমানো যায়। নিমের আস্তরণযুক্ত ইউরিয়ায় যে নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়, তার দরুন সাধারণ ইউরিয়ার পরিবর্তে এ ধরনের ইউরিয়া ব্যবহার কম হয়।
ইউরিয়ার ৪৫ কিলোগ্রাম ওজনের বস্তা
- দপ্তরের এক গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী ২০১৮-র পয়লা মার্চ থেকে ৪৫ কেজি ওজনের ইউরিয়া বস্তা বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত হয়। এ ধরনের বস্তার সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য ধার্য হয়েছে ২৪২ টাকা। দেশের সমস্ত ইউরিয়া উৎপাদনকারি ইউনিটগুলিকে দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রূপায়ণ সুনিশ্চিত করা।
- খরিফ মরশুমের পাশাপাশি আসন্ন রবি মরশুমে ৪৫ কিলোগ্রাম ওজন বিশিষ্ট ইউরিয়ার বস্তার দরুন বাজারে কি প্রভাব পড়ছে, তা সমীক্ষা করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডিলার ও সরবহারকারিদের আর্থিক সুবিধা প্রদান
- সার দপ্তর গত ২৮মে মার্চ প্রতি মেট্রিকটন ইউরিয়ার প্রেক্ষিতে ডিলার ও সরবরাহকারিদের আর্থিক সুবিধা ১৮০ বা ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতি মেট্রিকটনে ৩৫৪ টাকা ধার্য করেছে।
- গত পয়লা এপ্রিল থেকে সমস্ত ডিলার ও সরবরাহকারিরা এই সুবিধা পাচ্ছেন।
- নগদ সুবিধা হস্তান্তর ব্যবস্হা চালু হওয়ার পর ডিলার ও সরবরাহকারিদের আর্থিক লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি সারা দেশের প্রায় ২৩ হাজার ডিলার লাভবান হয়েছেন।
নতুন ইউরিয়া নীতি ২০১৫
- ২০১৫-র পয়লা জুন থেকে এই নীতি কার্যকর হয়েছে।
- উদ্দেশ্য হল- দেশে ইউরিয়া উৎপাদন সর্বাধিক পরিমাণ বাড়ানো ; ইউরিয়া উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ভর্তুকির যে বোঝা রয়েছে, তা আরও যুক্তি সঙ্গত করা।
- নতুন এই নীতির ফলে ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮তে ইউরিয়ার উৎপাদন বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ২৪২.০১ মেট্রিকটন ২৪০.৯২ মেট্রিকটন যা ২০১২-১৩ সালে ছিল ২২২.৭৫ মেট্রিকটন এবং ২০১৩-১৪তে ছিল ২২৭.১৫ মেট্রিকটন।
২০১৫র ইউরিয়া নীতিতে সংশোধন :বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নীতি-নির্দেশিকা
- সার দপ্তর ২০১৮-র ২৮ মার্চ ১১টি ইউরিয়া উৎপাদনকারী ইউনিটে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নীতি-নির্দেশিকা জারি করে। গত পয়লা এপ্রিল থেকে এই নীতি-নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে। ২০১৫-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যগুলি পূরণে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দানের জন্য নীতি আয়োগের অধীনে এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নতুন বিনিয়োগ নীতি ২০১২
- কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৩র দোশরা জানুয়ারি নতুন বিনিয়োগ নীতি ২০১২ ঘোষণা করে। ইউরিয়া উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারতকে স্বনির্ভর করে তুলতে এবং দেশীয় ইউরিয়া ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে ঐ নীতি ২০১৪ সালে সংশোধন করা হয়।
- চম্বল ফার্টিলাইজার্স অ্যান্ড কেমিক্যালস লিমিটেড রাজস্হানের গাদেপানে ১.৩৪ মিলিয়ন মেট্রিকটন সম্পন্ন একটি ব্রাউনফিল্ড ইউরিয়া উৎপাদনকেন্দ্র স্হাপনের প্রস্তাব দিয়েছে।
বারাউনি, সিন্দ্রি, গোরক্ষপুর, তালচের এবং রামাগুন্ডম ইউনিটের পুনরুজ্জীবন
- ফার্টিলাইজার্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের উপরোক্ত চারটি ইউরিয়া ইউনিটের পুনরুজ্জীবনে সুর্নিদিষ্ট কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্হাকে নিয়ে একটি যৌথ উদ্যোগ গঠন করা হয়েছে।
- রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এনটিপিসি, ইন্ডিয়ান অয়েল, কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড সহ ফার্টিলাইজার্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং হিন্দুস্হান ফার্টিলাইজার্স কর্পোরেশন লিমিটেডের অংশীদারিত্বে নতুন একটি যৌথ উদ্যোগ হিন্দুস্হান উর্বরক ও রসায়ন লিমিটেড গঠিত হয়েছে।
- নতুন ইউরিয়া ইউনিট চালু করার জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া গেছে।
- ইউরিয়া ইউনিটগুলিতে গ্যাস সরবরাহ ও পরিবহনের জন্য গ্যাস অথরিটি অফ্ ইন্ডিয়া লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
- গোরক্ষপুর, সিন্দ্রি ও বারাউনী প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ঋণে সুদ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
- এই তিনটি প্রকল্পের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকেই উৎপাদন প্রক্রিয়া পুরো দমে চালু হবে।
প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর
- সার দপ্তর সারা দেশে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর ব্যবস্হা সাফল্যের সঙ্গে চালু করেছে। গত মার্চ মাসে এই ব্যবস্হা রূপায়ণের কাজ শেষ হয়েছে।
- খুচরো বিক্রয়কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ইউরিয়া ক্রেতাদের প্রকৃত বিক্রির পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে সার উৎপাদক সংস্হাগুলিকে সারের গ্রেড অনুযায়ী ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। পয়েন্ট অফ সেল বা বিশিষ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ভর্তুকিযুক্ত সব ধরনের সার কৃষক ও ক্রেতাদের বিক্রয় করা হয়ে থাকে।
- প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর ব্যবস্হায় নজরদারির জন্য ২৪টি রাজ্যে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর ব্যবস্হার সার্বিক রূপায়ণে নজরদারি চালাতে দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি নজরদারি সেল গঠন করা হয়েছে।
শহরাঞ্চলীয় বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন নীতি
- শহরাঞ্চলীয় বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন ও তার ব্যবহার বাড়াতে ১৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ ধরনের বর্জ্য থেকে উৎপাদিত সার সরাসরি কৃষকদের বিক্রি করতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরফলে শহরাঞ্চলীয় বর্জ্য থেকে উৎপাদিত পরিমাণ বেড়েছে।
- শহরাঞ্চলীয় বর্জ্য থেকে উৎপাদিত সার বাজারজাত করার জন্য সার সংস্হাগুলিকে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর ব্যবস্হার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
- শহরাঞ্চলীয় বর্জ্য থেকে উৎপাদিত সারের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সার উৎপাদক সংস্হাগুলি ৩৮৪টি গ্রামের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
ফার্মাসিউটিক্যাল দপ্তর
প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনা (পিএমবিজেপি)
- দেশের ৩৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪৫০৪টি জনৌষধি পরিযোজনাকেন্দ্র চালু রয়েছে।
- ৮০০র বেশি ওষুধ এবং ১৫৪ রকমের অস্ত্রপ্রচার সামগ্রী বা উপকরণ এই কেন্দ্রগুলি থেকে পাওয়া যায়।
- তপশিলী জাতি, উপজাতি ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের আবেদনের ভিত্তিতে এই কেন্দ্রগুলি থেকে আগাম ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ-পত্র পাওয়া যায়। ওষুধপত্র কেনার জন্য আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (নিপার)
- হায়দ্রাবাদ ও হাজিপুরের প্রতিষ্ঠান দুটি সহ দেশের সমস্ত নিপার প্রতিষ্ঠানে নির্দেশক রয়েছেন।
- ৬টি প্রতিষ্ঠানে পরিচালন পর্ষদ গঠনের কাজ চলছে।
- গুয়াহাটি প্রতিষ্ঠানের ৬০ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
- পশ্চিমবঙ্গ সরকার নদীয়া জেলায় এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান স্হাপনের জন্য ১০ একর জমি বরাদ্দ করেছে।
- কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সমীক্ষা অনুযায়ী মহালির প্রতিষ্ঠানটি ক্রমতালিকায় এক নম্বরে, হায়দ্রাবাদের প্রতিষ্ঠানটি ৬ নম্বরে এবং আমেদাবাদের প্রতিষ্ঠানটি ১৪তম স্হানে রয়েছে।
ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের উন্নয়নে প্রকল্প
- কেন্দ্রীয় সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প হিসাবে ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয়ের সংস্হান করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, দেশীয় ওষুধ শিল্প সংস্হাগুলির মধ্যে উৎপাদন ক্ষেত্রে দক্ষতা ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বাড়িয়ে ওষুধের গুণমান ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
- চিকিৎসা সাজ-সরঞ্জাম নির্মাতা সংস্হাগুলির জন্য অভিন্ন সুবিধাপ্রদানের লক্ষে ১০০ কোটি টাকার সংস্হান করা হয়েছে।
- ওষুধ শিল্প সংস্হাগুলির প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নে সহায়তা দিতে ১৪৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে বলে স্হির হয়েছে।
- ওষুধ নির্মাণ শিল্পে ক্লাস্টার গড়ে তুলতে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
- ওষুধ শিল্পের প্রসারের লক্ষে ৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
সুলভ মূল্যে ওষুধপত্র-সকলের জন্য গুণগতমানের স্বাস্হ্য পরিষেবা
- ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) ২০১৮ সালে ৩৫৭টি ওষুধের খুচরো মূল্য স্হির করে দিয়েছে।
- কার্ডিয়াক স্টেন্টস বা হৃদরোগে চিকিৎসার সহায়ক সাজ-সরঞ্জামের দাম ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এরফলে সব ধরণের সাজ-সরঞ্জাম প্রায় আট হাজার টাকা থেকে ২৯ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
- লক্ষ লক্ষ হৃদরোগী চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করেছেন।
- গ্রাহকদের প্রায় ৪ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
- হাঁটু প্রতিস্হাপনের খরচ ৬৯ শতাংশ কমেছে। এরফলে হাঁটু প্রতিস্হাপন বাবদ খরচ ৫৪ হাজার ৭২০ টাকা থেকে ১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকার মধ্যে এসে গেছে।
- হাঁটু প্রতিস্হাপনের চিকিৎসাজনিত খরচ কমার ফলে গ্রাহকদের ১৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
রসায়ন ও পেট্রোরসায়ন দপ্তর
পেট্রোলিয়াম, রসায়ন ও পেট্রোরসায়ন বিনিয়োগ অঞ্চল
- কেন্দ্রীয় সরকার গুজরাটের দাহেজ, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম-কাঁকিনাড়া, ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর- নাগাপট্টিনম- এই চারটি জায়গায় পেট্রোলিয়াম, রসায়ন ও পেট্রোরসায়ন বিনিয়োগ অঞ্চল স্হাপনের অনুমতি দিয়েছে।
- সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এই বিনিয়োগ অঞ্চলগুলিতে প্রায় ৭ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা লগ্নির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি প্রায় ৩৪ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রকল্পগুলির কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
- গুজরাটে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ অঞ্চলটি গড়ে তুলতে পরিবেশগত এবং উপকূলীয় অঞ্চলের নির্মাণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাওয়া গেছে।
- গুজরাটে প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মাস্টার প্ল্যান বা মূল নকশা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকল্প দুটির নকশা তৈরির কাজ চলছে।
- আগামী দুই-তিন দশকে পেট্রোরসায়ন ক্ষেত্রের চাহিদা ও সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে পেট্রোলিয়াম সচিব তথা রসায়ন ও পেট্রোরসায়ন সচিবের যৌথ সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি
- কেন্দ্রীয় স্তরের এই প্রতিষ্ঠানটি পলিমার সংক্রান্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতাবৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত সহায়তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষনার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
- বর্তমানে দেশে প্লাস্টিক সংক্রান্ত গবেষনা ও উন্নয়নের জন্য ৩২টি কেন্দ্র চালু রয়েছে। এ ধরনের আরও ৭টি কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।
- বেঙ্গালুরুতে একটি অত্যাধুনিক পলিমার ডিজাইন ও উন্নয়ন গবেষনাকেন্দ্র স্হাপন করা হচ্ছে।
- ২০১৮-১৯-এর নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে দীর্ঘমেয়াদী দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ২৮ হাজার ৭৭৪ জন পড়ুয়া প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
প্লাস্টিক পার্ক স্হাপন সংক্রান্ত প্রকল্প
- রসায়ন ও পেট্রো-রসায়ন দপ্তরের সচিবের সভাপতিত্বে গঠিন স্টিয়ারিং কমিটি ঝাড়খন্ড ও মধ্যপ্রদেশে দুটি নতুন প্লাস্টিক পার্ক স্হাপনে নৈতিক অনুমোদন দিয়েছে।
- রসায়ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত পণ্য ও পরিষেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে রসায়ন ও পেট্রো-রসায়ন দপ্তর যাবতীয় নীত-নির্দেশিকা রূপায়ণে নোডাল এজেন্সি হিসাবে কাজ করে থাকে।
ইন্ডিয়া চেম ২০১৮
- রসায়ন ও পেট্রো-রসায়ন সংক্রান্ত দশম পর্যায়ের ইন্ডিয়া চেম ২০১৮ গত ৪ থেকে ৬ অক্টোবর মুম্বাই-এ সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলনের মূল ভাবনা ছিল- রসায়ন ও পেট্রো-রসায়ন- এগিয়ে ভারত।
- এবারের সম্মেলনে ২৪টি দেশ অংশ নেয়।
- অংশীদার রাজ্য হিসাবে ছিল- পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ।
- অংশগ্রহণকারী রাজ্য হিসাবে মহারাষ্ট্র, রাজস্হান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খন্ড যোগ দেয়।
- ২৮৫টির বেশি সংস্হা তাদের উৎপাদিত সামগ্রীর প্রদর্শনীর ব্যবস্হা করে।
- বিশ্বের অগ্রণী সংস্হাগুলির সিইও-দের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
- ক্রেতা-বিক্রেতা বৈঠক আয়োজিত হয়।
- বণিকসভা ফিকি-র পক্ষ থেকে রসায়ন ও পেট্রো-রসায়ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
কস্টিক সোডাকে ভারতীয় মানক ব্যুরোর স্বীকৃতি
- দেশে উৎপাদিত এবং আমদানিকৃত কস্টিক সোডার ক্ষেত্রে মানক ব্যুরোর আইএস ২৫২ : ২০১৩ মান বজায় রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরফলে কস্টিক সোডায় ভেজালের পরিমাণ কমবে। নিম্মমানের ও ভেজাল কস্টিক সোডায় পারদ মেশানো থাকে। রসায়ন ও পেট্রো-রসায়ন দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই মান বজায় রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেছে।
CG/BD/NS
(Release ID: 1559341)
Visitor Counter : 382