সংস্কৃতিমন্ত্রক

গত তিন বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য

Posted On: 10 JAN 2019 12:03PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৯ জানুয়ারি, ২০১

 

কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের মূল দায়িত্ব, দেশের প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের রক্ষণা-বেক্ষণ এবং মন্ত্রকের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কলা ও সংস্কৃতির প্রসার এবং প্রচার। সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে মন্ত্রকের যে কর্মসূচি ও কাজকর্মগুলি রূপায়িত হয়, তার মধ্যে রয়েছে – বিভিন্ন পুরাতাত্ত্বিক স্থান, যাদুঘর ও তার বিভিন্ন সামগ্রী ও গ্রন্থাগারের রক্ষণা-বেক্ষণএছাড়া, শিল্পকলার প্রচার ও প্রসার, বৌদ্ধ ও তিব্বতী শিক্ষার প্রসার, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বজায় রাখা এবং সাংস্কৃতিক ভবন নির্মাণ ইত্যাদি। এই মন্ত্রকের উদ্যোগের ফলে পুরাতাত্ত্বিক পর্যটন স্থানগুলিতে নগদ বিহীন ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পোর্টালে দেশের প্রধান প্রধান স্মৃতিস্তম্ভ ও পুরাতাত্ত্বিক স্থানের তালিকায় অবশ্যই দেখার যোগ্য হিসাবে ১০০টি স্মৃতিস্তম্ভকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বর্তমানে ১৩ হাজার ৫০০ থেকে ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সাসেরলা গিরিপথের কাছে পুরাতাত্ত্বিক খনন কাজ চলেছেদিল্লির পুরনো কেল্লা, রাজস্থানের কালিবঙ্গন ও বিনজোর, গুজরাটের লোথাল ও ধোলাবীরা এবং কর্ণাটকের সান্নাঠি-তে অবস্থিত পুরাতাত্ত্বিক স্থানগুলিতে উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। ভারতের বাইরেও কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার ও ভিয়েতনামেও সংরক্ষণের কাজ করা হয়েছে। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণে দিল্লি সার্কেল খিরকি মসজিদে স্তম্ভ সংরক্ষণের কাজ চালানোর সময়ে মধ্যযুগের ২৫৪টি তাম্র মুদ্রার সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া, বিদেশ থেকে দেশের ১৭টি চুরি যাওয়া প্রাচীন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ কেন্দ্রের প্রত্যেকটি সংরক্ষিত স্তম্ভ ও ঐতিহাসিক স্থানে ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইসরো-র সহায়তায় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রত্যেকটি স্তম্ভের স্যাটেলাইট ম্যাপিং করা হয়েছে। প্রত্যেকটি সংরক্ষিত ঐতিহাসিক স্তম্ভ রয়েছে এমন পুরাতাত্ত্বিক স্থানকে পলিথিনমুক্ত স্থান হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পুরাতাত্ত্বিক সর্বেবেক্ষণের্নপক্ষ থেকে ২৫টি স্থানকে “আদর্শ স্মারক” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিচ্ছন্নতার মাপকাঠিতে বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা, যেমন – শৌচাগার, সবুজ স্থান, প্লাস্টিক মুক্ত, সচেতন করে তোলার চিহ্ন, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, পানীয় জল ও ডাস্টবিন থাকা বা না থাকার ভিত্তিতে ২৫টি আদর্শ স্তম্ভের র‍্যাঙ্কিং করা হয়েছে। গুজরাটের ‘রানী কি ভাব’, যেটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের মধ্যে গণ্য করা হয়, দেশের মধ্যে আদর্শ পরিচ্ছন্ন স্থান হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। 

এছাড়া, পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধীনে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় পুরাতত্ত্ব প্রতিষ্ঠান স্থান করা হয়েছে।

আজ এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ডঃ মহেশ শর্মা।

 

CG/SSS/SB


(Release ID: 1559318)
Read this release in: English