কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক

কর্মীবর্গ, জনঅভিযোগ এবং পেনশন মন্ত্রকের কাজের বার্ষিক পর্যালোচনা

Posted On: 07 JAN 2019 7:13PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৭ জানুয়ারি, ২০১

 

কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণে সিভিল সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাই, প্রতি বছর ২১শে এপ্রিল এই সার্ভিসের আধিকারিকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে সিভিল সার্ভিসেস ডে উদযাপন করা হয়ে থাকে। চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই ধরণের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলিতে ভালো কাজকে পুরস্কৃত করে তিনি বলেন যে, এই কর্মসূচিগুলি নতুন ভারতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ বছরের সিভিল সার্ভিসেস ডে উপলক্ষে ভারত সরকারের প্রশাসনিক সংস্কার ও জনঅভিযোগ দপ্তর দুটি বিশেষ চলচ্চিত্র তৈরি করেছে। এতে উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজকে তুলে ধরা হয়েছে। সারা দেশে ৩৪টি ক্ষেত্রে প্রায় ৬০টি সাফল্যের কাহিনী সম্বলিত দুটি বই-ও প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া, সিভিল সার্ভিসের আধিকারিকদের লেখা গান এবং অঙ্কন বিষয়ে বইপত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

 

এ বছরের জুলাই মাসে ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকে সহকারী সচিব পদে আইএএস আধিকারিকদের নিয়োগ করা হয়েছে। এইসব আধিকারিককে ভারতের রূপান্তরের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৬-র ব্যাচের আইএএস আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন। এ বছরের আগস্ট মাসে দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান দখল করা আধিকারিকদের এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানানো হয়। চলতি বছরে মন্ত্রকের উদ্যোগে দেশের তিনটি স্থানে সুপ্রশাসন বিষয়ে আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এইসব সম্মেলনগুলিতে নাগরিক-কেন্দ্রিক পরিষেবা, ই-প্রশাসন, উন্নয়নকামী জেলার কর্মসূচি সহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে মতবিনিময় হয়। এ বছর মন্ত্রকের উদ্যোগে দুটি দ্বি-বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়। ই-মঞ্চে এই ম্যাগাজিনগুলিতে সুপ্রশাসন বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।

 

এ বছরের ডিসেম্বর মাসে ই-গভর্ন্যান্সের জন্য জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। ই-গভর্ন্যান্সের ৮টি শ্রেণীতে ১৯টি পুরস্কার দেওয়া হয়। এবারের এই সম্মেলনের মূল সুর ছিল ‘উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার’। বিভিন্ন রাজ্যের ই-গভর্ন্যান্সের প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরে সম্মেলন স্থলে একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। ২০১৯ – এর ই-গভর্ন্যান্স সংক্রান্ত জাতীয় সম্মেলন ফেব্রুয়ারি মাসে রাজস্থানের জয়পুরে অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন থেকে ৬টি শ্রেণীতে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে। ২০১৮-র মার্চে দেশের ৩৪টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও বিভাগকে ই-অফিস কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়।

 

জনপ্রশাসন এবং সরকার পরিচালনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত ও অন্যান্য   দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছেএর মধ্যে ২০১৮ – র অক্টোবর মাসে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলির জনপ্রশাসন পরিচালন বিষয়ে একটি সাধারণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জর্জ টাউনের গায়ানায় কমনওয়েলথ দেশগুলির এই বৈঠকে ভারত অন্তত দুটি ক্ষেত্রে বিশেষ পুরস্কার লাভ করে। প্রশাসনিক সংস্কার ও জনঅভিযোগ দপ্তরের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আধিকারিকদের জনপ্রশাসন বিষয়ে বিদেশে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছরের মে – জুন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে এবং নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩০ জন আধিকারিকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়।

 

জনঅভিযোগ নিষ্পত্তি ও নজরদারি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন মন্ত্রককে অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও পুরস্কৃত করা হয়েছে। এ বছরের এপ্রিল মাসে জনঅভিযোগ নিষ্পত্তির কাজে নজরদারি চালানোর জন্য একটি অনলাইন ড্যাশ বোর্ডের সূচনা করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ২০১৮ সালে ১১ লক্ষেরও বেশি জনঅভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় পেনশন আদালতের আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে অনেকগুলি বকেয়া মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখে মন্ত্রকের উদ্যোগে একটি সর্বভারতীয় পেনশন আদালতের সূচনা করা হয়। এইসব আদালতগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি অভিযোগ একদিনে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। পেনশন-প্রাপকদের অভিযোগের মূল কারণগুলি অনুসন্ধানের জন্য তৃতীয় পক্ষের উদ্যোগে একটি নিরপেক্ষ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ‘অনুভব’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পেনশন-প্রাপকদের প্রতি বছর ‘ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট’ দেওয়ার জন্য দেশের ৮টি শহরে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে পেনশন সংস্কারের বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের যে রিপোর্ট সংসদে পেশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, ২০১৫-১৬ বর্ষের তুলনায় ২০১৬-১৭ বর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাছ থেকে তথ্য জানার জন্য ‘আরটিআই’ আবেদনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তথ্যের অধিকার আইনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার যে প্রবণতা বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে দেখা যায়, তাও কমেছে। এ বছর অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের উদ্যোগে একটি বার্ষিক সম্মেলনে তথ্যের গোপণীয়তা, অধিকার, আরটিআই আইনের সংশোধন এবং আইনটি রূপায়ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এ বছরই কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের একটি নতুন ভবন নতুন দিল্লিতে নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৮-র জুলাই মাসে নতুন করে একটি ‘সিআইসি অ্যাপ’ চালু করা হয়েছে।

 

কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের উদ্যোগে এ বছরের অক্টোবর মাসে প্রয়াত সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মদিন থেকে একটি সপ্তাহ পালন করা হয়েছে। নতুন ভারত গড়তে দুর্নীতি দূরীকরণ ছিল এ বছরের ভিজিল্যান্স সচেতনতা সপ্তাহের মূল সুর। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের পক্ষ থেকে এ বছর প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ের বক্তৃতামালার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের এইসব অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে ডাকা হয়। সংঘ লোকসেবা আয়োগ এ বছর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার আবেদনপত্র প্রত্যাহারের একটি ব্যবস্থা চালু করেছে। যেহেতু, ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সাধারণভাবে ৫০ শতাংশ পরীক্ষায় বসেন, তাই শক্তি ও সহায়সম্পদের অপব্যবহার প্রতিরোধে প্রার্থীদের আবেদনপত্র প্রত্যাহারের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ বছরই কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলিতে নিয়োগের এই কেন্দ্রীয় সংগঠনটি চেয়ারম্যান পদে শ্রী অরবিন্দ সাক্সেনা শপথ নিয়েছেন।

 

CG/PB/SB



(Release ID: 1558984) Visitor Counter : 162


Read this release in: English