প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

কার নিকোবরের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 07 JAN 2019 5:32PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

 

মঞ্চে উপস্থিত সকল মাননীয় ব্যক্তিবর্গ, আমার কার নিকোবরের প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

 

গতকাল আমি কাশীতে গঙ্গা মায়ের তটে ছিলাম, আর আজ সকালে এই বিশাল সমুদ্রের কোলে আপনাদের মাঝে এসে পৌঁছেছি। মা গঙ্গা যেভাবে নিজের পবিত্রতা দিয়ে ভারতের জনমানসকে আশীর্বাদ করে গেছে, তেমনই এই সাগরও অনন্তকাল ধরে মা ভারতীর চরণ বন্দনা করে যাচ্ছে, রাষ্ট্রের সুরক্ষা এবং সামর্থ্যকে প্রাণশক্তি যোগাচ্ছে।

 

বন্ধুগণ, আজ এখানে এসে প্রথমেই এখানকার সমস্ত দ্বীপে বসবাসকারী আমাদের পূর্বজদের প্রণাম জানাই, যাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং এখানকার উন্নয়নের জন্য নিজেদের জীবন সমর্পণ করেছেন।

 

বন্ধুগণ, আপনাদের কাছে প্রকৃতির অদ্ভুত ভাণ্ডার তো আছেই, আপনাদের সংস্কৃতি, পরম্পরা, কলা এবং দক্ষতাও অসাধারণ। কিছুক্ষণ আগে এখানে যে নৃত্য প্রদর্শিত হয়েছে, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যে নৃত্যকলা প্রদর্শন করেছে তাতেই স্পষ্ট যে ভারতের সাংস্কৃতিক সম্পন্নতা ভারত মহাসাগরের মতোই বিশাল।

 

আপনারা এখানে যে যৌথ পরিবারের পরম্পরা বাঁচিয়ে রেখেছেন, তা ভারতীয় জীবনশৈলীর একটি বড় শক্তি। কাজ, সম্পদ ও শ্রমের সঠিক উপযোগিতা নির্ণয়ের মাধ্যমে মিলেমিশে জীবনধারণের এটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কারগিল থেকে কার নিকোবর পর্যন্ত, কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত আমাদের সমাজে এই পরিবার প্রতিষ্ঠান, পারিবারিক ব্যবস্থার শক্তি অপরিসীম।

 

বন্ধুগণ, একটু আগেই আমি সুনামি মেমোরিয়াল, ‘ওয়াল অফ লস্ট সোল্‌স’ দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি সেই ভয়ানক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারানো স্বজনদের শ্রদ্ধাপুষ্প অর্পণ করেছি। ১৪-১৫ বছর আগে সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা এখানকার জনগণকে, আপনাদের জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল। কিন্তু আপনারা আপনজনদের মৃত্যুর শোক ভুলে নিজেদের পরিশ্রমে কার নিকোবরকে যেভাবে আবার বাসযোগ্য করে তুলেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

 

ভাই ও বোনেরা, কার নিকোবরের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে, আপনাদের সবাইকে উন্নত পরিষেবা দিতে আজ এখানে কয়েক কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করা হয়েছে। এতে শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবহণ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, খেলাধূলা থেকে পর্যটন পর্যন্ত – অনেক প্রকল্প রয়েছে। আমি আপনাদের সবাইকে এই সমস্ত প্রকল্পের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। এটি দেশের উন্নয়নে আমাদের সেই ভাবনার বিস্তার, যার মূলে রয়েছে পরিকাঠামো নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ অর্থাৎ, দেশের কোনও নাগরিক যাতে উন্নয়নে পিছিয়ে না পড়ে, আর কোন প্রান্ত যে অস্পৃশ্য না থাকে, সেই ভাবনা থেকেই এভাবে এগোচ্ছি।

 

দেশের বিস্তৃত অংশের দূরত্ব দূর করা আর অন্তরে সহ-অস্তিত্বের ভাব মজবুত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি। বিগত চার বছর ধরে আমি নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের প্রত্যেক প্রান্তে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের জীবনমান উন্নত করার।

 

বন্ধুগণ, একটু আগে যে সব প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস হল, তার মধ্যে ‘সমুদ্র প্রাচীর’ প্রকল্প অন্যতম। এটা আপনাদের দীর্ঘকালীন দাবি ছিল, সমুদ্রের ঢেউ মাটি কেটে নিয়ে গিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি করছে তা থেকে রক্ষার জন্য একটি পুরু এবং সুউচ্চ সমুদ্র প্রাচীর নির্মাণ। অবশেষে আজ সেই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল, প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে দ্রুতগতিতে এই সমুদ্র প্রাচীর গড়ে উঠবে, যা কার নিকোবরের জন্য সুরক্ষা কবচরূপে কাজ করবে।

 

বন্ধুগণ, নিরাপত্তার পাশাপাশি কার নিকোবরে উন্নয়নের পঞ্চধারা যাতে প্রবাহিত হয়, অর্থাৎ ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান, বয়স্কদের ওষুধ, কৃষকদের সেচ ব্যবস্থা আর প্রত্যেক মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আমরা জানি যে এখানকার নবযুবক-যুবতীদের শিক্ষার জন্য, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের জন্য অনেক দূর-দূরান্তে যেতে হয়। এখন অ্যারোং গ্রামে একটি শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা আইটিআই গড়ে উঠলে আপনারা অত্যন্ত উপকৃত হবেন। এখন কার নিকোবরের যুবক-যুবতীরা ইলেক্ট্রিশিয়ান, প্লাম্বিং, অটোমোটিভ টেকনিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিয়ে পাশ করার পর দেশের যে কোনও প্রান্তে কর্মসংস্থানের উপযোগী হয়ে উঠবেন।

 

বন্ধুগণ, কার নিকোবরের যুবক-যুবতীরা আজ পারস্পরিক কর্মসংস্থানের পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসছেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে দক্ষতা তো এখানকার যুবক-যুবতীদের সহজাত গুণ। ফুটবল সহ অনেক খেলায় দেশের উৎকৃষ্ট প্রতিভা যোগাচ্ছে কার নিকোবর। কিছুক্ষণ আগেই এখানকার প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে এখানকার জুনিয়র ফুটবল টিম চারবার সম্মানজনক সুব্রত মুখার্জী কাপ জিতেছে।

 

বন্ধুগণ, এখানকার প্রতিভাকে আরও বিকশিত করার জন্য এখন লপাতী গ্রামে নির্মিত হয়েছে একটি আধুনিক ক্রীড়া পরিসর। প্রায় ৮ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত এই স্টেডিয়ামে অনেক রকম ক্রীড়াভ্যাসের আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। ছেলেদের হস্টেল, মেয়েদের হস্টেল এবং একটি সিন্থেটিক ট্র্যাক গড়ে তোলা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ, ফুটবল ছাড়াও সাইক্লিং, কায়ার্কিং ও রোয়িং-এর ক্ষেত্রে কার নিকোবর দেশকে অনেক প্রতিভার যোগান দিয়েছে। আজ যে ক্রীড়া পরিষদের উদ্বোধন হল, ভবিষ্যতে সেখানে সাইক্লিং-এর জন্য ওয়েলোড্রোম এবং সুইমিং পুল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকার আন্দামান ও নিকোবরে বসবাসকারী প্রত্যেক নাগরিকের জীবনে প্রতিটি ব্যবস্থাকে সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। সস্তা রেশন, স্বচ্ছ পানীয় জল, প্রত্যকের রান্নাঘরে গ্যাস সংযোগ, কেরোসিন তেল – প্রত্যেক পরিষেবা সহজ করার চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে, এখানকার প্রত্যেক নাগরিককে উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে সরকার দায়বদ্ধ। ডিগলিপুরের উপ-জেলা হাসপাতাল বিস্তৃত হওয়ার পর এখানকার স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেক উন্নত হবে।

 

বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকার এখানকার প্রয়োজনীয়তা, পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুসারে উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছে। সরকার চায় যে পরিবেশ এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সংরক্ষণের পাশাপাশি উন্নয়ন হবে। এই ভাবনার মাধ্যমে সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর সহ দেশের সমুদ্রতটবর্তী অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী কোপরা এবং নারকেল চাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের জন্য সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিলিঙ্গ কোপরার ন্যূনতম সমর্থন মূল্য ৭,৭৫০ টাকা থেকে ক্যুইন্টাল প্রতি প্রায় ২০০০ টাকা বাড়িয়ে ৯,৫০০ টাকা করে দিয়েছে। আর বোল কোপরার ন্যূনতম সমর্থন মূল্যও ক্যুইন্টারপ্রতি ৭,৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯,৯২০ টাকা করা হয়েছে। এই বৃদ্ধির ফলে কোপরা চাষিরা অনেক লাভবান হবেন।

 

বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের মৎস্যজীবীদের ক্ষমতায়নের স্বার্থে মৎস্যচাষকে একটি লাভজনক ব্যবসা করে তুলতে সাত হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গড়ে তুলেছে। এর মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের সঠিক সুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

 

আমাদের সমুদ্রতটবর্তী অঞ্চলগুলি ‘নীল বিপ্লব’-এর কেন্দ্র হয়ে ওঠার সামর্থ্য রাখে – এই ভাবনা নিয়ে সরকার এগিয়ে চলেছে। মৎস্যকেন্দ্রিক ব্যবসা কিংবা সমুদ্রগুটিকার চাষ – এরকম অনেক প্রকল্পকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক নৌকা কেনার জন্য সরকার মৎস্যজীবীদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই এখানে মৎস্যপালন, মৎস্যচাষ, সমুদ্রগুটিকা চাষ এবং পশুপালন সংক্রান্ত অনেক প্রকল্পের জন্য প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে।

 

ভাই ও বোনেরা, কার নিকোবরের পরিবেশকে রক্ষা করে সৌরশক্তির সম্ভাবনাগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আজ ভারত বিশ্বের সেই দেশগুলির অন্যতম যেখানে সৌরশক্তির উৎপাদন সর্বাধিক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সৌরশক্তির মাধ্যমে দেশকে সস্তা এবং পরিবেশ-বান্ধব শক্তি উৎপাদনক্ষম করে তুলতে আমরা দায়বদ্ধ। আজ আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে সৌরশক্তি উৎপাদনে বিপ্লব আনতে ভারত নেতৃত্ব দিচ্ছে। এক বিশ্ব, এক সূর্য, এক গ্রিড-এর ব্যাপক লক্ষ্যে ভারত কাজ করছে।

 

বন্ধুগণ, ভারতের বিশাল সমুদ্রতটে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের অধিক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাগুলিকে আমরা সুযোগে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কার নিকোবরে ৩০০ কিলোওয়াট ‘ছাদের ওপর সৌরশক্তি উৎপাদন’ প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এখানকার স্কুলগুলি এবং হাসপাতালগুলি সহ অনেক সংস্থানে ইতিমধ্যেই ৫০ কিলোওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদন হচ্ছে। সরকার চায় যে আগামীদিনে কার নিকোবর সৌরশক্তি উৎপাদনের মাধ্যমেই তার সমস্ত বিদ্যুতের প্রয়োজন মেটাবে।

 

বন্ধুগণ, আমাদের এই কার নিকোবর, এই গোটা সমুদ্র ক্ষেত্র, দেশ,এই মালাক্কা স্ট্রেইট, সম্পদ ও নিরাপত্তা উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে একটি প্রধান ‘শিপিং চ্যানেল’। এটি মালবাহী জাহাজগুলির জন্য বিশ্বের ব্যস্ততম পথ। একথা মাথায় রেখে যোগাযোগের মাধ্যমগুলিরও উন্নতিসাধনের কাজ চলছে। এর ফলে আপনারা সকলেই উপকৃত হবেন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

 

ভাই ও বোনেরা, দেশের প্রয়োজন মাথায় রেখে এখানে আজ ‘ট্রান্স-শিপমেন্ট’ বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ অংশে নতুন শিল্পের সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি, ‘সাগরমালা’ প্রকল্পের মাধ্যমে কার নিকোবরেও ‘ক্যাম্পবেল বে’তে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ‘ক্যাম্পবেল বে জেটি’র বিস্তার প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ‘মাস জেটি’র গভীরতা বৃদ্ধির জন্যও প্রকল্প নির্মিত হয়েছে যাতে এখানে বড় জাহাজগুলির থামতে অসুবিধা না হয়।

 

ভাই ও বোনেরা, আগামীদিনে এখানে বিমান পরিষেবা উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নততর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার সচেষ্ট। আপনাদের সকলের জীবনমান উন্নত করতে, সহজ করতে সরকার সচেষ্ট।

 

বন্ধুগণ, আমি ‘ট্রাইবাল কাউন্সিল’-এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা সবাই দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং এখানে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে এখানকার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে মা, বোন এবং কন্যাদের ভালো অংশীদারিত্ব রয়েছে।এই প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।

 

বন্ধুগণ, কার নিকোবরের উন্নয়নের জন্য সরকার সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ। আগামী নতুন বছরে আমাদের প্রচেষ্টা নতুন উৎসাহ, নতুন উদ্দীপনা নিয়ে জারি থাকবে। অবশেষে আরেকবার আপনাদের সকলকে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ। জয় হিন্দ।

 

 

CG/SB/DM



(Release ID: 1558936) Visitor Counter : 329


Read this release in: English