সড়কপরিবহণওমহাসড়কমন্ত্রক

২০১৮ সালটি সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণের বছর

Posted On: 02 JAN 2019 3:42PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০২ জানুয়ারি, ২০১৯

 

২০১৮ সালটিকে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক ‘নির্মাণের বছর’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। গত চার বছরের গুরুত্বপূর্ণ নীতি ও সিদ্ধান্তগুলিকে কাজে লাগিয়ে চলতি প্রকল্পগুলির নজরদারি, যানজটের সমস্যার সমাধান ও প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ২০১৫ – ১৬ থেকে চালু প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করা হবে এবং এখনও পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের সর্বাধিক বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ সম্পন্ন করা হবে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে বাকি, ৩০ হাজার ২০০ কিলোমিটার নির্মাণ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

 

সড়ক নির্মাণ শুরুর পূর্ববর্তী পর্যায়ের কাজগুলি ত্বরান্বিত করতে এবং পদ্ধতিকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করতে দরপত্র আহ্বানের জন্য একটি বিডার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (বিআইএমএস) তৈরি করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারির কাজে ভূমিরাশি পোর্টালটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, বিআইএমএস ও ভূমিরাশি পোর্টালগুলিকে পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা পিএফএমএস – এর সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সকলের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

 

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের প্রথম টোল-অপারেট-ট্রান্সফার (টিওটি)  প্রকল্পটি লাভবান হয়েছে এবং পরবর্তী পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় ৫৮৬ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ককে নিয়ে আসা হবে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাটের ৬৮১ কিলোমিটার জুড়ে রূপায়িত প্রকল্পের প্রথম পর্যায় ৯ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার কাজের বরাত দেওয়া হয়। এছাড়া, এই প্রথমবার জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার তিন বছরের বাড়তি মেয়াদকালের শর্তে ঋণ পেয়েছে।

 

পরিবহণ ক্ষেত্রেও ২০১৮ সালে নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মূলে রয়েছে – কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে সড়ক নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও সড়ক ব্যবহারে মানুষের সুবিধার ওপর গুরুত্ব দেওয়া। দেশের জনপরিবহণ ব্যবস্থার মানোন্নয়নের জন্য ‘ট্রান্সপোর্ট ফর লণ্ডন’ – এর সঙ্গে মন্ত্রক চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছে। টোল প্লাজাগুলিতে যাত্রীদের সুবিধার ব্যবস্থাপনা, টোল প্লাজাগুলির কাজের মূল্যায়নের জন্য র‍্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের পদ্ধতির সরলীকরণ, নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত যানবাহন ও ট্র্যাক্টরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জেলাস্তরে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার নীতি-নির্দেশিকা জারি এবং সড়ক নিরাপত্তা সম্বন্ধে প্রচারমূলক কর্মসূচি চালাতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, ‘সুখদযাত্রা অ্যাপ’ এবং বিপদকালীন পরিস্থিতিতে টোল ফ্রি নম্বর চালু, টোল আদায়ের ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়লে যাত্রীদের বিনা ঝঞ্ঝাটে যাত্রার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত মানুষদের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মিথানলের সঙ্গে গ্যাসোলিন মিশ্রণের মাত্রা সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি এবং রাজ্য বা কেন্দ্র স্তরের যানবাহনের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দূষণের মাত্রা সংক্রান্ত তথ্যের লিঙ্ক করা,  মন্ত্রকের এ বছরের অন্যতম উদ্যোগ।

 

দু’দিনের এক কর্মশিবিরে ৭০০টি চলতি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের কাজের মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং ৩০০টি প্রকল্পকে ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এর ফলে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সর্বাধিক সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। ৩০ নভেম্বরে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৫ হাজার ৭৫৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

 

ভারতমালা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২০১৭ – ১৮ থেকে ২০২১ – ২২ সময়কালের মধ্যে ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যায়ক্রমে ৩৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে। এ বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ভারতমালা প্রকল্পের আওতায় ৬ হাজার ৪০৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছে। সেতু-ভারতম্‌ প্রকল্পের আওতায় ৭ হাজার ১০৪ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৯১টি সেতু নির্মাণের অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৫৯টি সেতু নির্মাণের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।

 

মন্ত্রকের সড়ক নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে চার ধাম অর্থাৎ গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ ও বদ্রিনাথে সহজ পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৮৯ কিলোমিটারের দুই লেন-বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্পটি মার্চ ২০২০-র মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, দিল্লির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে দুটি প্রকল্প – ১৩৫ কিলোমিটারের ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে এবং ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ওয়েস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে ১ ও ২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের সংযোগ স্থাপনের কাজ এ বছর সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, দিল্লি – মীরাট এক্সপ্রেসওয়ে চারটি পর্যায়ে নির্মাণের জন্য ৪ হাজার ৯৭৫ কোটি ১৭ লক্ষ টাকার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ৮২ কিলোমিটার লম্বা এক্সপ্রেসওয়ের দিল্লির নিজামুদ্দিন ব্রিজ থেকে শুরু করে প্রথম ২৭.৭৪ কিলোমিটার পর্যন্ত ১৪ লেনবিশিষ্ট হবে। প্রকল্পের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায় (গ্রিন ফিল্ড) – এর উত্তর প্রদেশের সীমান্ত থেকে ডাসনা হয়ে মীরাট অবধি নির্মাণের কাজ মার্চ, ২০১৯ – এর মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নিজামুদ্দিন ব্রিজ থেকে দিল্লি – উত্তর প্রদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ১৪ লেনবিশিষ্ট ৮.৩৬ কিলোমিটারের মহাসড়ক নির্মাণ ১৮ মাসের মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। ২০১৮-র মে মাসে প্রধানমন্ত্রী এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশটি উদ্বোধন করেন। মন্ত্রকের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে – ভদোদরা – মুম্বাই, দিল্লি – মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোর – চেন্নাই, দিল্লি – অমৃতসর – কাটরা, নাগপুর – হায়দ্রাবাদ – ব্যাঙ্গালোর, কানপুর - লক্ষ্ণৌ, বারানসী এয়ারপোর্ট রোড ও রিং রোড। এই প্রকল্পগুলি রূপায়ণের বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। এছাড়া, মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের কাজগুলির মধ্যে রয়েছে – গুজরাট উপকূলে বিয়েতদ্বারকা দ্বীপ ও ওখার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী ২.৩২ কিলোমিটার সেতু। এলাহবাদের ফাফামৌ-তে ৯৬ নম্বর জাতীয় সড়কে গঙ্গানদীর ওপর দিয়ে ৯.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ছয় লেন-বিশিষ্ট সেতু নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৯৪৮ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি ৯.২০ লক্ষ শ্রমদিবস সৃষ্টি করে আনুমানিক তিন বছরে ডিসেম্বর, ২০২১ – এর মধ্যে সম্পন্ন হবে। এর ফলে, প্রয়াগের তীর্থ পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতির মানোন্নয়ন ঘটবে। বিহারের ফলাউতে চারলেন বিশিষ্ট ৬.৯৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পাশাপাশি, ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর সেতুর বীরপুর - বিহিপুর অংশ সংস্কারসাধনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভারতমালা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৩৫টি মাল্টি মোডাল লজিস্টিক পার্কের নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য ৭টি স্থানে জমি চিহ্নিত হয়েছে এবং প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে – জম্মু ও কাশ্মীরে দুই লেন-বিশিষ্ট ১৪.১৫০ কিলোমিটারের সুড়ঙ্গ নির্মাণ, যা ভারতের দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গ হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি চারধাম পরিকল্পনার অংশ উত্তরাখন্ডের সিল্কারা বাঁক থেকে বারকোট পর্যন্ত সুড়ঙ্গ নির্মাণে সায় দিয়েছে। আনুমানিক ১ হাজার ৩৮৩ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চার বছরের নির্মাণ কার্য সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া, উত্তর-পূর্ব ভারতে ১২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক নির্মাণের জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। মোট ৭৩টি প্রকল্পের আওতায় ৮ হাজার ১৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের কাজ গুরুত্ব সহকারে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করেছে।

 

দেশের বিভিন্ন পুলিশ কর্তৃপক্ষের থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী তৈরি সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সড়ক পরিকাঠামো, সড়ক নিরাপত্তার অডিট, সড়কে ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করে মেরামতি করা, যানবাহনের নিরাপত্তার মান নির্দিষ্ট করা সহ সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন ও সড়ক নিরাপত্তা আইন বলবৎ করার মতো মন্ত্রকের গৃহীত কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। “সড়ক সুরক্ষা জীবন রক্ষা” শীর্ষক মূল বিষয়ের ওপর ২৩ থেকে ৩০ এপ্রিল মন্ত্রক ২৯তম জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করে। সড়ক সুরক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে মন্ত্রকের গুরুত্ব আরোপের কথা বলেন। এছাড়া, পরিবহণ ক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্তঃরাজ্য বিষয়গুলির সুরাহার জন্য রাজস্থানের পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী ইয়ুনুস খানের সভাপতিত্বে মন্ত্রক ১৩টি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীদের নিয়ে একটি গোষ্ঠী গঠন করেছে। এছাড়া, মন্ত্রক এনএইচএআই – এর সদর দপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে, যাতে প্রচুর যানবাহন চলাচলের জাতীয় মহাসড়কগুলিতে ২১০টি টোল প্লাজা থেকে যানবাহনের চলাচলের ওপর সিসি টিভির মাধ্যমে নজরদারি রাখা যায়

 

মন্ত্রকের সবুজ উদ্যোগগুলির মধ্যে রয়েছে – মিথানল বা ইথানলের জ্বালানিতে চলা এবং ব্যাটারি-চালিত যানবাহনের পারমিটের প্রয়োজনীয়তা ১৮ অক্টোবর প্রকাশিত মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ বছর দেখা গিয়েছে যে, বৈদ্যুতিন টোল আদায় কর্মসূচি মারফৎ ইয়ুজার ফি আদায়ের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ঘটেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবহণ ক্ষেত্রে বেশ কিছু সহযোগিতামূলক পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত ও নেপালের মধ্যে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কাঠমান্ডুতে ভারত – নেপাল সীমান্ত পারাপার পরিবহণ ব্যবস্থা সংক্রান্ত কর্মীগোষ্ঠীর দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় দু’পক্ষই সহমত হয় যে, কয়েকটি নতুন রুটে, যেমন – মহেন্দ্রনগর – দেরাদুণ, নেপালগঞ্জ – হরিদ্বার, নেপালগঞ্জ - লক্ষ্ণৌ এবং কাঠমান্ডু – গোরক্ষপুরের মধ্যে নিয়মিত বাস পরিষেবা চালু হবে। এছাড়া, কাঠমান্ডু – শিলিগুড়ি এবং জনকপুর – পাটনা রুটেও বাস পরিষেবা চালু হবে। বিবিআইএন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে যাত্রী পরিবহণ চালু করার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে। গত এপ্রিল মাসে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু পর্যন্ত দুটি যাত্রীবাহী বাসের পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন করা হয়। বিমস্টেকের প্রথম কর্মীগোষ্ঠীর সভায় এপ্রিল মাসে মোটর ভেহিকেলস্‌ চুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, সড়ক ও সড়ক পরিবহণ ক্ষেত্রে ভারত – জাপান যৌথ কর্মীগোষ্ঠী সভা গত নভেম্বরে নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। উগান্ডার সঙ্গেও সড়ক পরিবহণ ক্ষেত্রে একটি চুক্তি গত জুলাই মাসে স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া, রাশিয়ার সঙ্গে সড়ক পরিবহণের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত অক্টোবর মাসে সম্মতি জানিয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসাবে জাতীয় মহাসড়ক সংলগ্ন বেশ কিছু গ্রামের স্কুলে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করা হয়।

 

CG/SC/SB


(Release ID: 1558161) Visitor Counter : 201


Read this release in: English