ভারী শিল্প মন্ত্রক
ভারী শিল্প ও সরকারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের কাজের বার্ষিক পর্যালোচনা – ২০১৮
Posted On:
27 DEC 2018 6:16PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী ভারতে পরিবহণের ভবিষ্যতের জন্য সাত দফা সূত্রের কথা বলেছেন। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নতুন দিল্লিতে যে বিশ্ব যোগাযোগ সংক্রান্ত শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানেই প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ-চালিত যানবাহনের বহুল প্রচলনের ওপর জোর দেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য দেশে মিশ্র জ্বালানি-চালিত এবং বিদ্যুৎ-চালিত যানবাহনের উৎপাদন এবং প্রচলনের লক্ষ্যে ‘ফেম-ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি রূপায়ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে লগ্নি বাড়ানোর জন্য পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহিত করার কথা এতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, এই ক্ষেত্রে আমাদের দেশের উপযুক্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বিদ্যুৎ-চালিত যানবাহনের চাহিদা সৃষ্টি এবং চার্জ দেওয়ার জন্য পরিকাঠামো নির্মাণের কথাও এতে বলা হয়েছে। এই কর্মসূচির প্রথম পর্যায়টি এই বছরের মার্চ মাসে শেষ হয়েছে। বর্তমানে এর দ্বিতীয় পর্বে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরণের বিদ্যুৎ-চালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য ৫,৫০০ কোটি টাকা লগ্নির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৮-র আগস্ট মাস পর্যন্ত সারা দেশে ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৫৫৭টি স্কুটার, মোটর সাইকেল এবং তিন চাকার গাড়িকে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, চার চাকার গাড়ি, হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ি এবং বাসের ক্ষেত্রেও এই ভর্তুকি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই কর্মসূচির পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ধরণের বিদ্যুৎ ও ব্যাটারি-চালিত যানবাহনের চার্জ দেওয়ার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে, দৈনিক অন্ততপক্ষে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ লিটার জ্বালানি সাশ্রয় হয়েছে এবং দৈনিক প্রায় ১ লক্ষ ২৯ হাজার কিলোগ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমানো সম্ভব হয়েছে।
ভারী শিল্প দপ্তরের উদ্যোগে দেশের যানবাহন সংক্রান্ত নীতির একটি খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই নীতির মূল কথা হচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যানবাহন থেকে দূষণের সম্ভাবনা হ্রাস করা। এছাড়াও, পরিবহণ ক্ষেত্রের উন্নয়ন এবং ভারতীয় অর্থনীতিতে পরিবহণ শিল্পের অবদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণের কথাও এতে বলা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশের জাতীয় আয়ের ৭.১ শতাংশ আসে যানবাহন শিল্প থেকে। এই ক্ষেত্রে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। ভারতে দু-চাকা ও তিন চাকার গাড়ি উৎপাদনের নিরিখে বিশ্বের মধ্যে ১ নম্বর এবং ট্র্যাক্টর উৎপাদনের ক্ষেত্রেও শীর্ষ স্থানে রয়েছে। এই ক্ষেত্রে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১০০ – ১০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৬ – ২৬ পর্যন্ত যানবাহন শিল্প ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য যে ‘অটোমোটিভ মিশন প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে, তাতে ভারত, চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর যানবাহন সংক্রান্ত প্রকৌশল, উৎপাদন এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থান দখল করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বছরেই প্রথম সারা দেশে কেন্দ্রীয় সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির এক শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই শীর্ষ বৈঠকে ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই সংস্থাগুলি যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, তার একটি রূপরেখা দিয়েছেন। মানেসরে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অটোমোটিভ টেকনোলজিতে উন্নতমানের ইঞ্জিন এবং পরিবহণ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ধরণের উদ্ভাবনের কাজ চালানো হচ্ছে।
SSS/PB/SB
(Release ID: 1557512)