জলসম্পদমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন এবং গঙ্গা পুনরুজ্জীবন মন্ত্রকের বর্ষশেষ পর্যালোচনা

Posted On: 26 DEC 2018 6:07PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৬ ডিসেম্বর, ২০১

 

পবিত্র গঙ্গানদীর পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে নমামি গঙ্গে কর্মসূচির আওতায় ২৫৪টি প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রকল্পগুলির রূপায়ণে খরচ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। নদীর পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে যে সমস্ত প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে – বর্জ্য নিকাশি পরিকাঠামো, স্নানঘাট ও শ্মশান ঘাটগুলির মানোন্নয়ন তথা সংস্কার, নদী তীরের মানোন্নয়ন, নদী সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বনসৃজন, গ্রামীণ পরিশকার-পরিচ্ছন্নতা এবং জনগণের অংশগ্রহণ।

 

বর্জ্য নিকাশি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিগত এক বছরে ছটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচিগুলি বারানসী, হরিদ্বার, মথুরা, কানপুর প্রভৃতি  নদী তীরবর্তী শহরে রূপায়িত হচ্ছে। এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, বালি, কামারহাটি এবং বরাহনগরেও একই ধরণের কর্মসূচি রূপায়ণের কাজ চলছে।

 

নদী তীরের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নে ১৪৫টি স্নানঘাট এবং ৫৩টি শ্মশান ঘাটের কাজ চলছে। আগামী মার্চ মাস নাগাদ এই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, নদী সংস্কারের কাজ বিভিন্ন শহরে পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। হরিদ্বারের পাশাপাশি, কানপুর, বারানসী, এলাহবাদ, পাটনা, সাহেবগঙ্গ সহ পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপ ও হাওড়ায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

 

গঙ্গা তীরে অবস্থিত ৪ হাজার ৪৬৫টি গ্রামের সবকটিকে প্রকাশ্য স্থানে শৌচকর্ম বর্জিত জনপদ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রক এই গ্রামগুলিতে প্রায় ১১ লক্ষ পারিবারিক শৌচাগার নির্মাণে ৮২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

 

গঙ্গানদীর জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ তথা উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে ছটি প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। উদ্দেশ্য – গঙ্গানদীর শুশুক, ঘড়িয়াল, বিভিন্ন জলজ পাখি এবং মাছের সংরক্ষণ। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় পরিচ্ছন্ন গঙ্গা মিশন কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পের রূপায়ণে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে ১ হাজার ৫৩২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।

 

গঙ্গানদীর স্বাভাবিক জলপ্রবাহ বিভিন্ন জায়গায় বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার গত অক্টোবর মাসে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। উদ্দেশ্য ছিল – প্রকল্প বা কাঠামো নির্মাণের দরুণ স্বাভাবিক জলপ্রবাহের গতি যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা দেখভাল করা। নদীর জলপ্রবাহে বিঘ্ন না ঘটিয়ে স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

 

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গঙ্গানদীতে দূষণ সৃষ্টিকারী ৯৬১টি সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে। পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই সংস্থাগুলির মধ্যে ৪৭৪টি সংস্থা দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে চলছে। ২০৯টি সংস্থা বিধি লঙ্ঘণ করেছে। অস্থায়ীভাবে ২৫৬টি সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ২২টি সংস্থা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। যে ২০৯টি সংস্থা দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে চলেনি, তার মধ্যে ১৯৯টি ইউনিটকে কারণ-দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাকি ১০টি সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

গঙ্গানদীর জলের গুণমানে নিরন্তর নজরদারির জন্য নমামি গঙ্গে কর্মসূচির আওতায় ৩৬টি নজরদারি স্টেশন কাজ করে চলেছে। ১৩০টি জায়গা থেকে জলের গুণমানের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ৩৯টি জায়গায় জলে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়েছে। ৪২টি জায়গায় বায়োলজিকাল অক্সিজেনের পরিমাণ কমেছে। এমনকি, ৪৭টি জায়গায় দূষণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া হ্রাস পেয়েছে।

 

পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবারে গঙ্গানদীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বায়ো মনিটারিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্যানুযায়ী, কিছু কিছু জায়গায় নদীর স্বাস্থ্যে সামান্য উন্নতির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনায় ৯৯টি ত্বরান্বিত কৃষি সেচ প্রকল্প রূপায়ণের কাজ চলছে। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে ৭৬ লক্ষ হেক্টরের বেশি জমিতে সেচের জল পৌঁছে যাবে। এজন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আগামী বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ পর্যায়ক্রমে প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ৯৯ শতাংশ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শেষ করতে কেন্দ্রীয় সরকার নাবার্ডের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা যোগাচ্ছে।

 

ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প এবং জলাধারগুলির সংস্কার তথা দেখভাল কর্মসূচিতে রাজ্য সরকারগুলিকে কেন্দ্রীয় সহায়তাবাবদ ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ৬৬৫ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের ৩০ নভেম্বর অন্তক ৫২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, জলাশয়গুলির সংরক্ষণ, মানোন্নয়ন তথা দেখভালের জন্য গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।

 

বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি রূপায়ণের প্রাথমিক দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি নদী বন্যা ও ভূমিক্ষয় রোধে নিজস্ব সম্পদ কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা এবং আগাম বন্যা রোধে অনুসন্ধানমূলক কাজকর্ম চালিয়ে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে। উল্লেখ করা যেতে পারে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ভূমিক্ষয় রোধ, নিকাশি ব্যবস্থার মানোন্নয়ন তথা বন্যা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকার একাদশ পরিকল্পনায় রাজ্যগুলিকে সহায়তা প্রদানের জন্য বন্যা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি শুরু করে। এই কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৩৫ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।

 

ফারাক্কা বাঁধ কর্মসূচি ১৯৭৫ সালে শুরু করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল – নদী-ভিত্তিক কলকাতা বন্দরকে বাঁচানো ও তার মানোন্নয়ন। সেই সঙ্গে, ভাগীরথি – হুগলি জলপথের নাব্যতা বৃদ্ধি করা। এই নদী বাঁধের গেটগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে এগুলিকে সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে। এ যাবৎ বাঁধের ৪২টি গেট বদলানো হয়েছে। বাকি গেটগুলি পাল্টানোর কাজ পর্যায়ক্রমে গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

আন্তঃরাজ্য নদী সংযোগ প্রকল্পের ব্যাপারে অন্তঃসংযোগ গড়ে তুলতে বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রতিবেদন তামিলনাডু, মহারাষ্ট্র এবং বিহার সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ চালু রয়েছে, শীঘ্রই এটি মহারাষ্ট্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

 

ক্ষুদ্র সেচ পরিসংখ্যান – এই কর্মসূচির আওতায় মন্ত্রক দেশে ভূগর্ভস্থ জলস্তর এবং ভূপৃষ্ঠের জলের ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পগুলি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। এ ধরণের তথ্য সংগ্রহের জন্য মন্ত্রক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ১০০ শতাংশ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে।

 

ভূগর্ভস্থ জলের সঠিক পরিচালনা এবং জলস্তর বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্যগুলির দক্ষতা বাড়াতে মন্ত্রক ন্যাশনাল অ্যাক্যুইফার ম্যানেজমেন্ট কর্মসূচি রূপায়ণের পরিকল্পনা নিয়েছে। কর্মসূচির আওতায় ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১২ লক্ষ ৯১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত অক্টোবর নাগাদ কর্মসূচির আওতায় ৮ লক্ষ ৯১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকার জন্য মানচিত্র ও ভূগর্ভস্থ জলস্তর পরিচালনা সংক্রান্ত পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে।

 

বন্যার পূর্বাভাষ সংক্রান্ত তথ্য সঠিক সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং জলসম্পদ প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নের জন্য প্রকৃত এবং প্রয়োজনীয় তথ্যের ভাণ্ডার গড়ে তুলতে দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় জলসম্পদ সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে।

 

বাঁধ পুনর্বাসন ও মানোন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৩৮টি বাঁধের প্লাবন সংক্রান্ত মানচিত্র রচনার জন্য বাঁধ-ভিত্তিক বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে। রাজ্যগুলি যে ৫৭টি খসড়া অত্যাবশ্যকীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে, তা কেন্দ্রীয় নজরদারি ইউনিট পর্যালোচনা করে দেখেছে। মন্ত্রক বাঁধের জল এবং বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখতে একটি ওয়েব-ভিত্তিক সফট্‌ওয়্যার ‘ধর্মা’ তৈরি করেছে। বাঁধ নিরাপত্তার বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় নীতি-নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে এবং সেগুলি বিভিন্ন রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

কেন্দ্রীয় জল কমিশন বাঁধ পুনর্বাসন ও মানোন্নয়ন কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায় রূপায়ণের জন্য মন্ত্রকের কাছে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। উদ্দেশ্য হ’ল – আরও বেশি সংখ্যক রাজ্যকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা। এখনও পর্যন্ত ১৮টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত সংস্থার কাছ থেকে বাঁধের পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৩৩টি বাঁধের জন্য বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে ১১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব এসেছে। এক দশকের সময়কালে দুটি পর্বে এই কর্মসূচি রূপায়ণের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

জাতীয় প্রকল্প গঠন নিগম লিমিটেড – দেশের আর্থিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য জাতীয় স্তরের অগ্রণী এক নির্মাণ সংস্থা হিসাবে ১৯৫৭ সালে ৯ জানুয়ারি এই সংস্থাটি স্থাপিত হয়। সংস্থাটিকে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রথম শ্রেণীভুক্ত মিনিরত্ন মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থাটি ২০১৮ – ১৯ সালে বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, জব্বলপুরে আইটিআই, শ্রীনগরে হাসপাতাল, পশ্চিমবঙ্গে আইআইটি খড়্গপুরে ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং ফুড কোর্ট প্রভৃতি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

 

মিনিরত্ন মর্যাদাপ্রাপ্ত এই সংস্থাটি ২০১৮ – ১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় সড়ক নির্মাণ করেছে, ওড়িশার বিভিন্ন জেলায় একাধিক বিদ্যালয়ে শৌচাগার নির্মাণ করেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জন্য সীমান্তে ফ্লাড লাইটের বন্দোবস্ত করেছে।

 

কৃষি সেচ ক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে বিশেষ উৎসাহদান প্রকল্প – ব্যয় বরাদ্দ সংক্রান্ত আর্থিক কমিটি ৫০ লক্ষ হেক্টর জমিতে কৃষি সেচের ব্যবস্থা করতে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে, ঐ জমিতে সেচের ঘাটতি মেটাতে মোট ৩০ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা খরচ পড়বে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি এ সম্পর্কে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটির রূপায়ণ বর্তমানে সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাবার পরই প্রকল্পের কাজকর্ম শুরু হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা – প্রতি জমিতে জল কর্মসূচির উদ্দেশ্য হ’ল – ভূগর্ভস্থ জলস্তর বৃদ্ধি। সেই সঙ্গে, ২০১৫ – ১৬ থেকে ২০১৯ – ২০ পর্যন্ত আড়াই লক্ষ হেক্টর কৃষি জমিকে টিউব অয়েল জলসেচের আওতায় নিয়ে আসা। যোজনার আওতায় ভূগর্ভস্থ জলের সেচের জন্য ২০১৯ – ২০ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সহায়তার জন্য ২০০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।

 

মহারাষ্ট্রের খরা পীড়িত জেলাগুলির জন্য বিশেষ প্যাকেজ দেওয়ার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মঞ্জুর করেছে। গত ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে রাজ্যের খরা পীড়িত জেলাগুলিতে ৮৩টি ক্ষুদ্র সেচ এবং ৮টি বড়/মাঝারি মাপের সেচ কর্মসূচিকে বিশেষ প্যাকেজ প্রদান ব্যবস্থার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি অনুমোদিত হয়।

 

গোদাবরী নদীর জল ঘুরিয়ে কাবেরী অববাহিকায় পৌঁছনোর প্রস্তাব – মহানদী ও গোদাবরী নদীর প্রায় ২০ হাজার ৭৯৬ মিলিয়ন কিউবিক মিটার জল ৯টি আন্তঃসংযুক্ত ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষ্ণা, পেন্নার, কাবেরী এবং গুন্দার অববাহিকায় পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আন্তঃসংযুক্ত এই নদী ব্যবস্থার বিস্তারিত প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে। মহানদী – গোদাবরী সংযুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাকি ঐ ৯টি আন্তঃসংযুক্তিকরণ ব্যবস্থার কাজ শুরু হবে।

 

 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1557390) Visitor Counter : 1677


Read this release in: English