আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক

উপজাতি সংক্রান্ত মন্ত্রকের কাজের বার্ষিক পর্যালোচনা : ২০১৮

Posted On: 21 DEC 2018 7:05PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২১ ডিসেম্বর, ২০১

 

কেন্দ্রীয় উপজাতি সংক্রান্ত মন্ত্রক ২০১৮ সালে দেশের উপজাতি জনগোষ্ঠীর মানুষের শিক্ষা, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও তাঁদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে। বিশেষ করে, উপজাতিয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাজের স্বীকৃতিতে সংগ্রহালয় স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রান্ত সীমায় বসবাসকারী উপজাতীয় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উচ্চ মানের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সারা দেশে উপজাতি অধ্যুষিত ব্লকগুলিতে একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে যে সমস্ত ব্লকে ৫০ শতাংশেরও বেশি উপজাতিয় জনসংখ্যার মানুষ রয়েছেন, সেই ধরণের ৪৬২টি ব্লকে একটি করে একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল স্থাপন করা হবে।

এছাড়া, ২০১৭ – ১৮ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০১৮ – ১৯ –এ সমস্ত মন্ত্রকের উপজাতীয় জনসংখ্যার জন্য বিশেষ বরাদ্দের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি অর্থবর্ষে এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭৮০২.৯৪ কোটি টাকায়। অন্যদিকে, দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং জীবন-জীবিকা সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী এ বছরই ‘বন ধন যোজনা’ কর্মসূচি চালু করেছেন। এর ফলে, দেশের ৫ কোটির মতো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ উপকৃত হবেন।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্ততপক্ষে ৩১ হাজারেরও বেশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীদের জন্য টেকনিশিয়ান, ইলেক্ট্রিশিয়ান, বিউটিশিয়ানের মতো পেশাদার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, নির্মাণ ক্ষেত্রে এদের কাজের সম্ভাবনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্লাম্বিং, ফিটিং, ওয়েল্ডিং, কার্পেন্টারির মতো ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, রেফ্রিজারেশন এবং এসি প্ল্যান্ট মেরামতি, মোবাইল ও অন্যান্য ইলেট্রনিক যন্ত্র মেরামতি, হাউসকিপিং, ইকো ট্যুরিজম এবং অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের মতো ক্ষেত্রেও উপজাতিয়দের কাজের সম্ভবনা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে।

আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাজকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে দেশের চারটি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কেরল ও মধ্যপ্রদেশে মোট ১৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি সংগ্রহালয় গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ঝাড়খন্ডে একটি জাতীয় পর্যায়ের সংগ্রহালয় গড়ে তুলে আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে বনাধিকার আইন অনুসারে ১৮ লক্ষ ৯০ হাজারের কাছাকাছি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে জমির দলিল দেওয়া হয়েছে।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রাক্‌-মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরবর্তী পর্যায়ে পড়াশুনার জন্য অনলাইনে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাক্‌-মাধ্যমিকের জন্য চলতি অর্থবর্ষে ৩৫০ কোটি টাকা এবং মাধ্যমিক পরবর্তী বৃত্তির জন্য ১,৫৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার্থে জাতীয় বৃত্তি ও ফেলোশিপ বাবদ ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া, আদিবাসী ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিদেশে পড়াশুনার সুযোগ পান, সেই লক্ষ্যে একটি জাতীয় ওভারসীজ স্কলারশিপের প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

এ বছরই এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘বন ধন যোজনা’র আওতায় প্রথম বন ধন বিকাশ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। আগামী দু’বছরের মধ্যে সারা দেশে উপজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলিতে প্রায় তিন হাজার এ ধরণের বন বিকাশ কেন্দ্র খোলার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৫০ শতাংশেরও বেশি আদিবাসী জনসংখ্যাসম্পনন দেশের ৩৯টি জেলায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৫ কোটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের আয় বৃদ্ধি ও জীবন-জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

এই বছরই উপজাতীয় বিষয়ক মন্ত্রক নভেম্বর মাসে একটি জাতীয় আদিবাসী উৎসব বা আদি মহোৎসবের আয়োজন করে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের হস্তশিল্প, সংস্কৃতি, তাঁদের রান্নাবান্না ও অন্যান্য বিষয় এখানে তুলে ধরা হয়। এই মহোৎসবে দেশের ২০টি রাজ্যের ১ হাজারেরও বেশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিল্পী তাঁদের কারু ও চারু শিল্প প্রদর্শন করেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশের বিখ্যাত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব শ্রীমতী মেরি কম-কে এই উৎসবের শেষ দিনে সংবর্ধনা জানানো হয়।

দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণের লক্ষ্যে যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে, তাঁদের জন্য অনলাইনে অনুদানের আবেদন করার সুবিধার্থে একটি ব্যবস্থা এই বছর চালু হয়েছে। www.ngograntsmota.gov.in পোর্টাল থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

 

 

CG/PB/SB


(Release ID: 1557130) Visitor Counter : 678


Read this release in: English