সংখ্যালঘুবিষয়কমন্ত্রক

বর্ষশেষ পর্যালোচনা – ২০১৮ : সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক

Posted On: 14 DEC 2018 6:35PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৪ ডিসেম্বর, ২০১

 

দেশে সংখ্যালঘু মানুষের কল্যাণে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক চলতি বছরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে – দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষা, হজযাত্রা, ওয়াকফ, প্রধানমন্ত্রী জনবিকাশ কার্যক্রম (পূর্বতন বহু ক্ষেত্রীয় উন্নয়ন কর্মসূচি), ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ক্ষমতায়ন, স্বচ্ছতা এবং মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ও বাণী প্রচার করে সচেতন করে তোলা।

 

দক্ষতা উন্নয়ন

 

সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক দেশের বিভিন্ন শহরে ‘হুনার হাট’ আয়োজন করেছে। উদ্দেশ্য – দেশের সংখ্যালঘু শ্রেণীর সুদক্ষ শিল্পীদের শিল্প কর্ম দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’ উদ্যোগগুলিকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে ‘হুনার হাট’ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগামী দিনেও এ ধরণের ‘হুনার হাট’ আয়োজন করা হবে। ‘হুনার হাট’ উদ্যোগের ফলে বিগত এক বছরে দেড় লক্ষেরও বেশি শিল্পী ও শিল্প কর্মের সঙ্গে যুক্ত মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

 

শিক্ষা

 

দেশে সংখ্যালঘু শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী ও কর্মপ্রার্থীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাদানের জন্য মন্ত্রক একটি প্রকল্প রূপায়ণ করছে। সুনির্দিষ্ট ও নথিভুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ও চাকরি প্রার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তাঁরা বিভিন্ন পরীক্ষায় যোগ্যতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হতে পারেন। বিভিন্ন কারিগরি ও পেশাদার কোর্সে অধ্যয়নের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রক রাজস্থানের আলোয়াড় জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চান্দাউলি গ্রামে ডিজিটাল স্বাক্ষরতার জন্য ‘সাইবার গ্রাম’ গড়ে তোলার একটি কর্মসূচি পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করেছে। বহু ক্ষেত্রীয় উন্নয়ন কর্মসূচির এক বিশেষ উদ্যোগ হিসাবে মন্ত্রক সাইবার গ্রাম গড়ে তোলার কর্মসূচিটিকে আরও সুবিন্যস্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

 

জাতীয় স্তরের উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংখ্যালঘু শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের অধ্যয়নের সুযোগ করে দিতে মন্ত্রক একাধিক প্রকল্প রূপায়ণ করছে। স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পেশাদার ও কারিগরি কোর্সে পড়াশুনার জন্য মন্ত্রক মেধা তথা সংস্থান বৃত্তিপ্রদান কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। বৃত্তি প্রদান কর্মসূচির বিস্তারিত বিবরণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে www.minorityaffairs.gov.in রয়েছে।

 

মূল শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সামিল করতে মন্ত্রক গত ২৭ মার্চ এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সূচনা করেছে। এই লক্ষ্যে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় ৪০ জন মাদ্রাসা শিক্ষককে প্রশিক্ষণ শেষে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।

 

মন্ত্রক দেশের প্রথম জাতীয় বৃত্তিপ্রদান পোর্টাল সংক্রান্ত মোবাইল অ্যাপের সূচনা করেছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এই অ্যাপের সূচনা হয়। দরিদ্র ও দুর্বল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা সহজেই যাতে বৃত্তি পেতে পারে, তার জন্য এই অ্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সংখ্যালঘু সহ দরিদ্র ও দুর্বল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের সুলভে ও সহজে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিতে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নাকভি গত পয়লা অক্টোবর রাজস্থানের আলোয়াড় জেলার কোহরা পিপলি গ্রামে বিশ্ব মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিলান্যাস করেছেন। ২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই প্রতিষ্ঠানের পঠন-পাঠন শুরু হবে। এই প্রতিষ্ঠানে বালিকাদের জন্য ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।

 

হজ

 

আকাশপথের পাশাপাশি সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানো বহু পুরনো রীতিকে পুনরায় কার্যকর করে তোলার জন্য ভারতের সিদ্ধান্তে সৌদি আরব সবুজ সংকেত দিয়েছে। প্রয়োজনীয় রীতি-নীতি ও বিধিনিষেধ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে আগামী বছরগুলিতে সমুদ্রপথেও তীর্থযাত্রীরা হজে যেতে পারবেন।

 

এ বছরের হজযাত্রাকে ১০০ শতাংশ ডিজিটাল বা অনলাইন উপযোগী করে তোলা হয়েছে। এই প্রথমবার ভারত থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মুসলিম মহিলা কোনও পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই হজে যান। সৌদি আরবে হজে যাওয়া এই মহিলাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা সহ যাতায়াতের জন্য পৃথক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মহিলা হজ তীর্থযাত্রীদের সহায়তার জন্য এবারই প্রথম সৌদি আরবে ১০০ জনেরও বেশি মহিলাকে হজ সহায়তার জন্য নিয়োগ করা হয়।

 

স্বাধীনতার পর ভারতের জন্য হজ কোটা এ নিয়ে পরপর দু’বার বাড়ানো হয়েছে। কোনও রকম ভর্তুকি ছাড়াই এ বছর ভারত থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজারের বেশি ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ও তীর্থযাত্রী হজে গিয়েছেন। হজ ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পরও ভারতের হজ কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন বিমান সংস্থাকে ৫৭ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।

 

মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ থেকেই সংখ্যালঘুদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প রূপায়ণ করা হয়ে থাকে। ২০১৮ – ১৯ – এ মন্ত্রকের জন্য অতিরিক্ত ৫০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দের বেশিরভাগ টাকাই খরচ করা হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

ওয়াকফ

 

সংখ্যালঘু সমাজের মানোন্নয়নে, বিশেষ করে বালিকাদের শিক্ষার অধিকার প্রদানে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির সদ্ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে মন্ত্রক ‘মুটাওলি’ পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওয়াকফ সম্পত্তি চিহ্নিত করে যাবতীয় নথিপত্র সময়সীমার মধ্যে ডিজিটাইজেশনের জন্য রাজ্য ওয়াকফ পর্ষদগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পর্ষদ। ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৯ সালে একটি প্রকল্প শুরু করে। বর্তমানে এই প্রকল্পের নাম বদলে হয়েছে কোয়ামি ওয়াকফ পর্ষদ তারাক্কিওয়াতি। প্রধানমন্ত্রী জনবিকাশ কার্যক্রমের আওতায় মন্ত্রক দেশ জুড়ে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলিতে বিদ্যালয়, কলেজ, শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র, কম্যুনিটি সেন্টার, হাসপাতাল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র সহ বিভিন্ন উপযোগী ভবন নির্মাণ করছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এ ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ ব্যবসায়িক কাজকর্মে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রক, সংখ্যালঘু মহিলাদের মধ্যে নেতৃত্বদানের ক্ষমতার বিকাশে ‘নই রশনি’ নামে একটি প্রকল্প রূপায়ণ করে আসছে। উদ্দেশ্য হ’ল – বিভিন্ন ধরণের কাজকর্মে মহিলাদেরকে শিক্ষিত করে তুলে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো।

 

প্রধানমন্ত্রী জনবিকাশ কার্যক্রম (পূর্বতন বহু ক্ষেত্রীয় উন্নয়ন কর্মসূচি)

 

এই কর্মসূচিটি সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষের আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষায় ক্ষমতায়নের পাশাপাশি, সমাজের দুর্বলতর শ্রেণীর মানুষের কল্যাণে এক মাইল স্টোন হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে বালিকাদের শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করতে দেশের ৩০৮টি জেলায় যুদ্ধকালীন-ভিত্তিতে এক অভিযানের সূচনা হয়েছে। সংখ্যালঘু বালিকাদের জন্য শিক্ষার অধিকার এবং কর্মসংস্থানমুখী দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী জনবিকাশ কার্যক্রমের আওতায় পিছিয়ে পড়া এবং উপেক্ষিত এলাকাগুলিতে বিদ্যালয়, কলেজ, পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান, ছাত্রী নিবাস, শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র প্রভৃতি গড়ে তুলছে। বিগত চার বছরে এই কর্মসূচির আওতায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে ১৬টি ডিগ্রি কলেজ, প্রায় ২ হাজার বিদ্যালয় ভবন, ৩৭ হাজারেরও বেশি অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ, ১ হাজার ১০০-রও বেশি হোস্টেল, ১৭৩টি শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ৪৮টি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান, প্রায় ৩৯ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, সাড়ে তিন লক্ষ প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহ, ৩২৩টি সদ্ভাবনা মণ্ডপ, ৩৭টি আবাসিক বিদ্যালয়, ৪৯৪টি বাজার এবং ১৭ হাজারেরও বেশি পানীয় জলের সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলির ফলে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর, বিশেষ করে সংখ্যালঘু মহিলাদের জীবনযাত্রায় ব্যাপক মানোন্নয়ন ঘটেছে।

 

ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ক্ষমতায়ন

 

ধর্ম নিরপেক্ষতা সামাজিক সম্প্রীতি ও সহনশীলতা ভারতের মূল্যবোধের মূল ভিত্তি। সমগ্র বিশ্বের তুলনায় ভারতে সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অধিকার অনেক বেশি সুরক্ষিত ও নিরাপদ। সার্বিক অগ্রগতির লক্ষ্যকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বর্তমানে সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষকেও উন্নয়নের মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সংখ্যালঘু মানুষের, বিশেষ করে বালিকাদের সুনিশ্চিত ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে  গৃহীত ‘সিখো অউর কামাও’, ‘উস্তাদ’, ‘গরিব নওয়াজ কৌশল বিকাশ যোজনা’, ‘নই মনজিল’, ‘নই রোশনি’, ‘বেগম হজরত মহল বালিকা বৃত্তি প্রদান’ কর্মসূচিগুলি ৬ লক্ষেরও বেশি সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছে।

 

মন্ত্রক সংখ্যালঘুদের কল্যাণে গৃহীত প্রকল্পগুলির দ্রুত ও স্বচ্ছ রূপায়ণে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এই লক্ষ্যে গত ১৭ জুলাই জাতীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও অর্থ সহায়তা নিগম আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক কর্মশিবিরের আয়োজন করে। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় – মুসলিম, খ্রীস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পার্সিদের জন্য একাধিক কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। এই কর্মসূচিগুলির মধ্যে রয়েছে –

 

সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ব্লক, শহর, জেলা ও গ্রামগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানকার পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী জনবিকাশ কার্যক্রম রূপায়ণ করা। শিক্ষার অধিকার প্রদানের জন্য প্রাক্‌-মাধ্যমিক বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি, মাধ্যমিক পরবর্তী বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি এবং মেধা তথা সংস্থান-ভিত্তিক বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি। এছাড়াও, গবেষণামূলক কাজের জন্য মৌলানা আজাদ জাতীয় ফেলোশিপ প্রদান; বিদেশে কারিগরি ও পেশাদার কোর্সে পড়াশুনার জন্য ‘পড় পরদেশ’ প্রকল্প, প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় প্রশিক্ষণের জন্য ‘নই উড়ান’; পার্সি জনসংখ্যা বজায় রাখতে ‘জিয়ো পার্সি’; সংখ্যালঘু মহিলাদের মধ্যে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বিকাশে ‘নই রোশনি’; সংখ্যালঘু মানুষের দক্ষতা উন্নয়নে ‘সিখো অউর কামাও’; স্কুল ছুট ছেলেমেয়েদের চিরাচরিত বিদ্যালয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য ‘নই মনজিল’; পরম্পরাগত শিল্প কর্মের বিকাশ ও মানোন্নয়নে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের জন্য ‘উস্তাদ’; সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণে ‘হামারি ধারোহর’; দক্ষতার মানোন্নয়নে ‘গরিব নওয়াজ প্রকল্প’; জাতীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও অর্থ সহায়তা নিগমের পক্ষ থেকে স্বনিযুক্তি এবং উপার্জনমূলক কাজকর্মের ক্ষেত্রে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা সহ বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। এই উদ্যোগগুলির বিস্তারিত বিবরণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে।  জাতীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও অর্থ সহায়তা নিগমের ওয়েবসাইট থেকেও সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানা যেতে পারে।

 

স্বচ্ছতা

 

ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি, পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রক গুরুত্ব দিয়ে আসছেনতুন দিল্লির মৌলানা আজাদ এডুকেশনাল ফাউন্ডেশনে আয়োজিত স্বচ্ছতাই সেবা কর্মসূচিতে মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নাকভি গত ১৫ সেপ্টেম্বর স্বেচ্ছায় শ্রমদান করেন। এই কর্মসূচিতে চলচ্চিত্র তারকা শ্রী অন্নু কাপুর, কন্ঠশিল্পী সাবরি ব্রাদার্স ও অন্যান্যরা অংশ নেন।

 

মুশায়েরা

 

জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধশতবার্ষিকী উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে গান্ধীজির শিক্ষা ও আদর্শগুলির ওপর ভিত্তি করে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক গত ৬ অক্টোবর নতুন দিল্লিতে মুশায়েরা আয়োজন করে। মুম্বাইতেও গত ২৬ অক্টোবর এই ধরণের একটি কর্মশিবিরের আয়োজন করা হয়। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী সি বিদ্যাসাগর রাও এই কর্মশিবিরের উদ্বোধন করেন।

 

মুম্বাইয়ের বান্দরা ওয়েস্টে রংশারদা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত মুশায়েরাতে বহু বিশিষ্ট কবি তাঁদের কবিতার মাধ্যমে শান্তি, মানবতা ও ঐক্যের গুঢ় বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আর্জি রাখেন। শীঘ্রই এ ধরণের মুশায়েরা লক্ষ্ণৌ, চণ্ডীগড়, আমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু ও রাঁচি সহ অন্যান্য শহরে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1556015) Visitor Counter : 746


Read this release in: English