প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 20 NOV 2018 1:44PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ নভেম্বর, ২০১

 

অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলিজি, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী সুরেশ প্রভুজি, বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহ-সভাপতি মিঃ শেফর, আনন্দ মহিন্দ্রাজি, রাশেশ শাহজি, সৌমিত্র ভট্টাচার্যজি, বি কে গোয়েঙ্কাজি, রমেশ ভারতী মিত্তলজি, শিল্প জগতের অন্যান্য প্রতিনিধি এবং এখানে উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ। জনকল্যাণের পথে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক স্বাগত জানাই। এর একটা কারণ হ’ল – আপনাদের সঙ্গে দেখা করে দীপাবলীর শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানানো, কারণ আপনারা দেশকে একটি প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে তুলে এনে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর দৃষ্টিতে একটি সম্মানজনক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। আপনাদের মধ্যে যাঁরা এখানে উপস্থিত নেই, তাঁরাও সমান ধন্যবাদের পাত্র।

 

এরকম অসংখ্য সরকারি আধিকারিক, কর্মচারী, আমাদের পৌরসভা ও পৌর সংস্থানগুলি ভিন্ন ভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত কর্মচারী ও আধিকারিক, বন্দর ও বিমানবন্দরে ‘ক্লিয়ারেন্স’ – এর দায়িত্বে থাকা আধিকারিক ও কর্মচারীদের পাশাপাশি, বাণিজ্য জগতের সকলে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমার মনে আছে, সাড়ে চার বছর আগে আমি বলেছিলাম যে, আগামীদিনে আমরা এক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ৫০টি দেশের মধ্যে পৌঁছে যাব। তখন অনেকের কাছে এই লক্ষ্য কল্পনাতীত বলে মনে হয়েছিল। কারণ ২০১৪ সালের আগে তাঁরা যে ধরণের নীতি ও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অস্থিরতা দেখেছেন, নীতি পঙ্গুত্ব দেখেছেন, তাঁদের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন ছিল যে ভারত এক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ১০০টি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারবে কিনা! তাঁদের কোনও দোষ নেই! যখন প্রতিদিন দুর্নীতি, কেলেঙ্কারির খবর শোনা যাচ্ছিল, অর্থ ব্যবস্থার ডামাডোল, লাগামহীন ফিস্কাল ডেফিসিট, তখন বিশ্বের অনেক দেশেই বলাবলি হচ্ছিল যে, ভারত এবার ডুববে এবং অন্য অনেক অর্থ ব্যবস্থাকে নিয়ে ডুববে। আর এ ধরণের অবিশ্বাসকেও তখন স্বাভাবিক বলে মনে হ’ত। মাত্র চার বছরে দেশে যে ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন এসেছে, সেটা আপনারা দেখছেন।

 

‘ইস অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর ক্ষেত্রে আমরা ১৪২তম স্থান থেকে ইতিমধ্যেই ৭৭তম স্থানে পৌঁছে গিয়েছি। মাত্র চার বছরে ৬৫ ধাপ এগিয়েছি। এটি যে কোনও দেশের জন্য একটি অভূতপূর্ব রেকর্ড উন্নতি। আজ ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর ক্ষেত্রে ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। চার বছর আগে আমরা ছয় নম্বরে ছিলাম। লাগাতার দু’বছর ভারত এভাবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ১০টি দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে। বিগত ৭ – ৮ বছরে আর কোনও দেশ এতটা উন্নতি করতে পারেনি, যতটা গত দু’বছরে ভারত করেছে।

বন্ধুগণ, বিশ্ববাসী যা কল্পনাও করতে পারেননি, তা আমরা করে দেখিয়েছি।

 

টপ – ৫০ – এর লক্ষ্য পূরণ করতে আমরা আর মাত্র কয়েক ধাপ দূরে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক তাদের রিপোর্টে স্বীকার করেছে যে, ভারত ১০টির মধ্যে ৮টির ক্ষেত্রে নিজেদের স্থান আরও পোক্ত করেছে। আর দুটি ক্ষেত্রে আমরা তো ১০০ ধাপেরও বেশি এগিয়ে গেছি।

 

বন্ধুগণ, দেশে পরিবর্তনের আবহ সৃষ্টি করতে আমরা নিয়মিত রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছিসহযোগিতামূলক, প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে আমাদের রাজ্য সরকারগুলি সম্পূর্ণ উৎসাহ নিয়ে আমাদের সঙ্গ দিচ্ছে। আমরা এখন জেলাস্তরে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ সংশ্লিষ্ট সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে চলেছি। এই পথ কিভাবে আরও প্রশস্ত হবে, গতিশীল হবে – সে সম্পর্কে সমস্ত রাজ্য সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত বার্তালাপ জারি রয়েছে। রাজ্যগুলিতে জেলাস্তরে একটি র‍্যাঙ্কিং সিস্টেম গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। যাতে জেলাগুলি পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাওওয়ার চেষ্টা করে।

 

বন্ধুগণ, ব্যবসা কিংবা শিল্প আমাদের দেশের একেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। কারণ আমাদের পরিকাঠামোর উন্নয়ন চাই, কর্মসংস্থান চাই এবং মাথাপিছু রোজগারও বৃদ্ধি করতে হবে। এই সব কিছু তখনই সম্ভব, যখন দেশে বিনিয়োগ আসবে। শিল্প এবং ব্যবসা সঠিক লক্ষ্যে যথাযথ গতিতে এগিয়ে চলবে এবং সাধারণ মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হবেন। সেজন্য আমাদের নীতি-নির্ভর সুশাসন এবং ‘প্রেডিক্টেবল ট্রান্সপারেন্ট পলিসি’ প্রণয়নে জোর দিতে হবে। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই র‍্যাঙ্কিং যেসব বিষয় মাথায় রেখে নির্ধারণ করা হয়, সেই সকল ক্ষেত্রেই আমাদের রিফর্ম, পারফর্ম এবং ট্রান্সফর্মের রণনীতি অত্যন্ত সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে। আমরা যে গতিতে সংস্কারের কাজ করছি, তা বিশ্ব ব্যাঙ্কে র‍্যাঙ্কিং মাণকের তুলনায় অনেক বেশি গতিশীল। দেশের সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও ছোট ছোট শিল্পের সরলতা আনতে, জীবনযাত্রাকে সরল করতে আমরা কাজ করে চলেছি। আর আমাদের সাফল্যের ফল হিসাবে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর র‍্যাঙ্কিং – এ আমরা এই সাফল্য পাচ্ছি। এখন দেশের ছোট ছোট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করা অনেক সহজ হয়েছে, পণ্য পরিবহণ সহজ ও দ্রুতগামী হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগের প্রক্রিয়া সরল হয়েছে, সরকারি মঞ্জুরি দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে, পারমিট দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে, জনগণের আকাঙ্খা ও প্রত্যাশা থেকে প্রেরণা গ্রহণ করেই এই সব প্রচেষ্টা ত্বরাণ্বিত হয়েছে।

 

বন্ধুগণ, দেশের ব্যবসার পরিবেশকে স্বচ্ছ করে তুলতে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিএসটি, বিমুদ্রাকরণ, বেনামী সম্পত্তি আইন, ইনসলভেন্সি কোড, পলাতক আর্থিক অপরাধী সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়ন - এই দায়বদ্ধতার উদাহরণ। সরকারের এই প্রচেষ্টাগুলির ফলে দেশের দুর্নীতিবাজরা অত্যন্ত রুষ্ঠ কিন্তু সততার প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ কর প্রদান করছেন। কারণ, তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের করের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে।

 

বন্ধুগণ, আপনারা জানেন যে, এই সংস্কার, এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া সহজ ছিল না। পদ্ধতি পরিবর্তন আইন থেকে শুরু করে সফটওয়্যার পরিবর্তন এত সহজ কাজ নয়। কখনও সফটওয়্যার পরিবর্তন সহজ হলেও মানুষের স্বভাব পরিবর্তন করা অত্যন্ত কঠিন। সেজন্য সংস্কারকে একটি জনপ্রিয় আন্দোলনে পরিণত করার প্রয়োজন হয়ে উঠেছিল। এই আন্দোলন আমাদেরকে এত কম সময়ে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছে। অনেক স্তরে বিভাজিত ব্যবস্থাকে আজ আমরা ব্যবসা ও জন-বান্ধব করে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। বিগত চার বছরে দেশে ১,৪০০-রও বেশি পুরনো অকেজো আইন বাতিল করা হয়েছে। আগে দেশে যে কোনও বাণিজ্যিক বিবাদ মেটাতে গড়ে ১,৫০০ দিন লাগতোআমরা সেই গড়কে ৪০০ দিনে নামিয়ে আনতে পেরেছি। আমদানি ক্ষেত্রে পণ্যের ক্লিয়ারেন্স পেতে ২০১৪ সালের আগে যেখানে গড়ে ২৮০ ঘন্টা সময় লাগতো আমরা সেই সময় কমিয়ে ১৪৪ ঘন্টায় নামিয়ে আনতে পেরেছি। পরিবেশের ক্লিয়ারেন্স পেতে আগে কয়েক মাস থেকে শুরু করে কয়েক বছর লেগে যেত। এখন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা সম্ভব হচ্ছে। সম্প্রতি নির্মাণ ও অন্যান্য সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে পরিবেশ মঞ্জুরির বিষয়টিকে সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রিকরণ করে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জিএসটি দেশের লজিস্টিক ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করেছে। আগের তুলনায় টার্ন – অ্যারাউন্ড টাইম প্রায় ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এতে সময় ও অর্থ দুয়েরই সাশ্রয় হচ্ছে। শ্রম আইন পালনের জন্য আগে শিল্পপতিদের প্রায় ৫০-৬০টি রেজিস্টারে লিখতে হ’ত। আমরা সেগুলির সংখ্যা কমিয়ে ৫টি রেজিস্টারে নিয়ে এসেছি। তেমনই পাসপোর্ট পেতে আগে ৩ – ৪ সপ্তাহ লাগতো, এখন মাত্র এক সপ্তাহ কিংবা তারও কম সময় লাগছে। আগে আয়কর রিফান্ড পেতে ৮ – ১০ মাস অপেক্ষা করতে হ’ত। এখন কয়েক সপ্তাহে রিফান্ড পাওয়া যাচ্ছে। ৪ – ৫ বছর আগে প্রায়ই শোনা যেত যে অধিক ট্রাফিকের ফলে রেল আরক্ষণ ওয়েবসাইট হ্যাঙ্গ হয়ে গেছে। আমরা সেই প্ল্যাটফর্মকে অনেক বেশি ট্রাফিকের জনয আপডেট ও আপগ্রেড করেছি। ফলে, লক্ষ – কোটি রেল যাত্রী উপকৃত হয়েছেন। দেশের প্রত্যেক গলি থেকে শুরু করে রেলের প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত সাফাই অভিযানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। মহিলাদের রাতের শিফটে কাজ করতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। ছোট ছোট দোকানদার ও শিল্পপতিরা যেন তাঁদের ইচ্ছে মতো দোকান ও কারখানা খোলা রাখতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইন পরিবর্তন করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ, সম্প্রতি ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে যাঁরা জিএসটি-র সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের ঋণ প্রদানের সময়সীমা কমিয়ে ৫৯ মিনিট করা হয়েছে। তাছাড়া, উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজারের পরিধি বৃদ্ধি ও লাইসেন্স সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূরীকরণের জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে শিল্প ও কোম্পানিগুলি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে, তাঁদেরকে প্রধানমন্ত্রী রোজগার প্রোৎসাহন যোজনার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তিন বছর পর্যন্ত ৮.৩ শতাংশ ইপিএফ – এর টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। অ্যাপ্রেন্টিস অ্যাক্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রোৎসাহন যোজনা চালু করা হয়েছে। এই যোজনার মাধ্যমে কোনও শিল্পে অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ হলে তাঁদের প্রদত্ত স্টাইপেন্ডে এক-চতুর্থাংশ সরকার দেবে।

 

বন্ধুগণ, আমি বাস্তবে ন্যূনতম সরকার অধিকতম প্রশাসন নীতিতে বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষের জীবন সহজ করে তুলতে যে সমস্ত সংস্কার আনা হচ্ছে, সবই এই দৃষ্টিকোণ থেকে করা হচ্ছে। ফলে আইএমএফ, মুডিস, ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম কিংবা ইউএনসিটিএডি-র মতো সংস্থাগুলির মূল্যায়নে ভারতের স্থান উর্ধ্বমুখী। এরা সকলেই ভারতের সংস্কার প্রক্রিয়া ও গতি দেখে আজ এদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্পূর্ণ আস্থাবান।

 

বন্ধুগণ, দেশে এই নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে ভারত দ্রুত ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবে যোগদানের পথে এগিয়ে চলেছে। এই লক্ষ্য প্রাপ্তির জন্য আমদের অর্থ ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের সকল ক্ষেত্রে পরিভাষাও বদলাচ্ছে। এখন নির্মাণ ও পরিষেবাকে পরস্পরের পরিপূরক হয়ে উঠতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই মূল্য সংযোজনের প্রয়োজন রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিম্মত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি এখন উৎপাদন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। আমাদের এই পরিবর্তনকে মনে রাখতে হবে।

 

বন্ধুগণ, বুনিয়াদী পরিবর্তনগুলিকে আরও ভালোভাবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকার নতুন শিল্প নীতি গড়ে তোলার কাজ করছে। এটি এমন নীতি হবে, যা আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে শিল্পকে বুঝতে পারে এবং শিল্প জগতকে নতুন মাত্রা প্রদান করতে পারে। এই শিল্প নীতি নতুন ভারতের শিল্পে নতুন দৃষ্টিকোণ নিয়ে আসবে এবং ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর ক্ষেত্রে আরও সহাইয়ক হবে।

 

বন্ধুগণ, এখন আমাদের ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর র‍্যাঙ্কিং – এ টপ ৫০ – এ পৌঁছনোর জন্য সমবেতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আগামীদিনে আমি নিজে এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে পর্যালোচনা ও তদারকি করব। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আমরা যেসব সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেগুলির প্রভাব আগামী বছরের র‍্যাঙ্কিং – এ প্রতিফলিত হবে। নির্মল শক্তি ক্ষেত্র, ডিজিটাল বিশ্ব, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, মোবিলিটি – প্রত্যেক ক্ষেত্রে আপনাদের প্রচেষ্টা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, আত্মনির্ভর করবে। আজকের ব্যবস্থায় সকল প্রক্রিয়ায় ‘হিউম্যান ইন্টারভেনশন’কে ন্যূনতম করে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে বাড়াতে হবে। একটি এমন কর্মসংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে, যেখানে ফর্ম জমা করতে নথি সেখাতে কিংবা ফিজ জমা করতে আর কোনও সরকারি কিংবা এজেন্সির অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন না হয়। এ ধরণের কর্মসংস্কৃতি নীতি-নির্ধারিত সুশাসনকে আরও মজবুত করবে। ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর পাশাপাশি, ‘ইজ অফ লিভিং’ – এর দ্বারাও দেশের প্রত্যেক নাগরিককে উপকৃত করে তুলতে আপনাদের প্রত্যেকের পরামর্শ চাই।

 

বন্ধুগণ, এই সময়ে আপনাদের মনে যে আত্মবিশ্বাস, যে ভরসা রয়েছে – সেটাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আপনাদের প্রতিটি পরামর্শকে আমি স্বাগত জানাই। একটি আগেই মহেন্দ্রজি বলছিলেন যে, আমরা কর্পোরেট সেক্টরেও যেরকম লক্ষ্য স্থির করতে পারি না, মোদীজি তারচেয়ে ভালো লক্ষ্য স্থির করছেন। আমাদের গুজরাটে প্রতিটি শিশুকে শেখানো হয় যে, লক্ষ্যচ্যুত হওয়াকে ক্ষমা করা যায়, কিন্তু লক্ষ্যকে নীচু করা ক্ষমা করা যায় না। আর আমার জীবনে যে মন্ত্র আমি মেনে চলি, তা হল – এমন লক্ষ্য স্থির করুন, যেখানে পৌঁছনো যায়, একটু লাফালেই ধরা যায়। এই মনস্তত্ত্ব ব্যবহার করেই আমি লক্ষ্য স্থির করার অভ্যাস তৈরি করেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভারতবাসীও এখন এভাবেই লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে চলেছেন। আমরা সকলে এর পরিণাম দেখতে পাচ্ছি।

 

আরেকবার আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

CG/SB/SB…



(Release ID: 1553425) Visitor Counter : 61


Read this release in: English