প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
ভারত-জাপান সম্পর্কের রূপরেখা সংক্রান্ত বিবৃতি
Posted On:
01 NOV 2018 11:10AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৮ ও ২৯শে অক্টোবর জাপান সফর করেন। সফলকালে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে ভারত-জাপান বার্ষিক শিখর সম্মেলনে যোগ দেন। বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী আবের মধ্যে আলোচনায় গত চার বছরের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পর্যালোচনা করা হয়। ভারত-জাপান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখাও তৈরি হয়।
- ভারত ও জাপানের মধ্যে ঐতিহাসিক কাল থেকে গভীর কৌশলগত আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একই রকম চিন্তাভাবনা রয়েছে। দুই দেশই তাঁদের জনগণের উন্নত ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। দুই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ আলোচনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, অহিংসা ও সহনশীলতার মতো বিষয়গুলির ওপর বিশেষ জোর দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। ভারত ও জাপানের মধ্যে শিক্ষা ও ধর্মীয় চিন্তাভাবনা আদান-প্রদানের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দুই দেশ ভারত - প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও বৃহত্তর বিশ্বের উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে চলেছে।
- আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করে সুশাসনের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যেতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে। ভারত ও জাপান বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও জনসংযোগ বৃদ্ধির বিষয়েও সম্মত হয়েছে।
- প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী বলেন, ভারত – জাপান সম্পর্ক ‘ভারতের পূবে তাকাও’ নীতির দরুণ আরও মজবুত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবে বলেছেন, ভারত – জাপান সম্পর্কের এক নতুন যুগ তৈরি হয়েছে। দুই দেশ ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি, সুস্থিতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে চলেছে। দুই প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
- ভারত ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় পরিকাঠামো সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের সহযোগিতার বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে উভয়ই সন্তোষ প্রকাশ করেন। স্বচ্ছ ও মুক্ত বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে কৌশলগত নীতি তৈরিতে গুরুত্ব দেন তাঁরা। ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত ও জাপান বিভিন্ন উন্নয়নী প্রকল্পে একযোগে কাজ করতে সহমত হয়েছে। এই লক্ষ্যে জাপান – ভারত বাণিজ্য সহযোগিতা মঞ্চ তৈরির বিষয়ে আলোচনাকে দুই প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানান। এই অঞ্চলের শিল্প করিডর তৈরিতে ভারত ও জাপানের বাণিজ্য মহলের উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।
- ভারত ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ভারত – জাপান ‘পূবে তাকাও’ ফোরামের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়নী প্রকল্পের কার্যকর রূপায়ণকে স্বাগত জানান। এর মধ্যে রয়েছে – যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিপর্যয় মোকাবিলা ও জনসংযোগ বৃদ্ধি। ভারতের ক্ষুদ্র দ্বীপগুলিকে স্মার্ট দ্বীপ হিসাবে গড়ে তোলার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
- ভারতের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের সামাজিক ও শিল্প ক্ষেত্রের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী আবে। মুম্বাই – আমেদাবাদ উচ্চ গতির রেল প্রকল্প সহ নানা কাজকর্মের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। উল্লেখ্য, এই রেল প্রকল্পটি ভারত – জাপান সহযোগিতার বিশেষ পরিচায়ক। দিল্লি – মুম্বাই শিল্প করিডর ও ফ্রেড করিডরের মতো পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে জাপানের ভূমিকার প্রশংসা করে ভারত।
- ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, দক্ষ ভারত ও স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পের সফল রূপায়ণে জাপানের বিশেষ উদ্যোগ ও সহযোগিতাকে স্বাগত জানায় ভারত। জাপানের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়েও দুই দেশ সহমত হয়েছে। ভারত ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীরা জাপানের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ নীতির আওতায় ভারতে বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছন।
- দুই নেতা দক্ষতা উন্নয়নে সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মত হন। প্রযুক্তি ও উৎপাদন ক্ষেত্রে জাপান ও ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন।
- উভয় নেতা সুসংহত ভারত – জাপান ডিজিটাল অংশীদারিত্ব চালুর বিষয়টিকে স্বাগত জানান। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাঙ্গালুরু-তে তৈরি করা হবে জাপান – ইন্ডিয়া স্টার্ট আপ হাব। এই কর্মসূচি ভারতে ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া ও স্মার্ট সিটির মতো প্রকল্পগুলির রূপায়ণে সাহায্য করবে।
- ন্যূনতম মূল্যে দেশের জনগণকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবার বিষয়ে এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আয়ুষ্মান ভারতের মতো স্বাস্থ্য পরিষেবা উদ্যোগের সঙ্গে জাপানের স্বাস্থ্য পরিষেবার যোগসাজসের বিষয়ে আলোচনা হয়। আয়ুর্বেদের মতো চিরাচরিত ওষুধ নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান বিনিময় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
- উভয় নেতা কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বনায়নের মতো বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে সম্মত হয়। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, বন সৃষ্টি সম্ভব হবে।
- উভয় নেতা মানুষে-মানুষে সংযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে বিশেষ জোর দেন। সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও সংসদীয় ক্ষেত্রে ভারত ও জাপানের মধ্যে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক তৈরিতে পর্যটনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। উচ্চ শিক্ষা ও নারী শক্তির ক্ষমতায়নে এবং তরুণ ক্রীড়াবিদদের মধ্যে আদান-প্রদানে ভারত – জাপান সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়। ভারতবর্ষের প্রশিক্ষণ শিক্ষা কেন্দ্রগুলিকে জাপানী ভাষার শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়। এই উদ্যোগ দুই দেশের মানুষের মধ্যে সেতু-বন্ধন করতে পারবে বলেও আশা।
- নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে প্রভূত উন্নতি হওয়ায় দুই প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে ২০০৮ সালে যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরের পর থেকে এই উন্নতি হয়েছে। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের আলোচনা, প্রতিরক্ষা নীতি-নির্ধারণ বিষয়ক আলোচান প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- উভয় নেতা সমুদ্র নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নতি হয়েছে বলেও স্বীকার করেন। সাম্প্রতিককালে মালাবার নৌ-মহড়া এবং দু’দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ ও আলাপ-আলোচনা সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। আঞ্চলিক শান্তি ও সুস্থিতি রক্ষায় ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমুদ্র অঞ্চল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন। ভারতীয় নৌ-বাহিনী ও জাপানের সমুদ্র রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
- ভারত ও জাপানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে এই সুযোগ বৃদ্ধি করা সম্ভব। ভারত ও জাপানের প্রতিরক্ষা বিষয়ক শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে যোগসাজস আরও বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
- উভয় নেতা মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদী সুস্থিত সম্পর্ক চালুর ওপর জোর দেন। এই উদ্দেশ্যে বার্ষিক মহাকাশ আলোচনা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মহাকাশ অভিযানে দু’দেশের যৌথ কারিগারি সহযোগিতার বিষয়টিকেও উভয় নেতা স্বাগত জানান।
- দুই নেতা সম্প্রতিককালে কোরীয় উপদ্বীপের উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে এ বছর জুন মাসে সিঙ্গাপুরে শিখর সম্মেলন এবং কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ শিখর সম্মেলনকে স্বাগত জানানো হয়। এই সম্মেলনের ফলে উত্তর কোরিয়ার বকেয়া সমস্যার সমাধান হবে বলে তাঁদের মত।
- উভয় নেতা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করার বিষয়ে অভিমত প্রকাশ করেন। পারমাণবিক সন্ত্রাস বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর তাঁরা জোর দেন। শ্রী আবে সিটিবিটি কার্যকর করার সপক্ষে মতপ্রকাশ করেন।
- প্রধানমন্ত্রী সব অর্থে সন্ত্রাসের সমালোচনা করেন। সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসের ক্রমবর্ধমান ঘটনার নিন্দা করেন তাঁরা। যেসব দেশ জঙ্গীদের জন্য ভূস্বর্গ, সেখানে সবরকম পরিকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে হবে বলে তাঁদের মত। জঙ্গী নেটওয়ার্কগুলির কাজ বন্ধ করতে আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে বলেও তাঁরা মতপ্রকাশ করেন। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধের বিষয়ে এবং কোনও দেশ থেকেই যাতে জঙ্গীরা সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালাতে না পারে, সে বিষয়ে সুনিশ্চিত করতে জোর দেন তাঁরা। দুই নেতা ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বাইতে এবং ২০১৬ সালে জানুয়ারি মাসে পাঠানকোটে জঙ্গী হামলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে পাকিস্তান যেন শাস্তি দেয়, সেই আবেদনও জানান। আলকায়দা, জয়স-ই-মহম্মদ, লস্কর - এ তৈবা এবং আইএসআইএস – এর মতো জকঙ্গী গোষ্ঠীগুলির হুমকির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হন।
- ভারত ও জাপান রাষ্ট্রসংঘের পুনর্গঠনের দাবি জানায়, বিশেষ করে একুশ শতকের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে আরও কার্যকর করে তুলতে এর যথাযথ পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন তাঁরা। রাষ্ট্রসংঘের ৭৩তম সাধারণ সভায় লিখিতভাবে আন্তঃসরকারি পর্যায়ের যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে, তা যথাযথ রূপায়ণের ওপরেও গুরুত্ব আরোপ করেন। ভারত ও জাপান উভয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তাদের প্রতিনিধিদের স্থায়ী সদস্য পদের জন্য একে অপরকে সমর্থন জানায়।
- স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন দুই প্রধানমন্ত্রী। পরিবেশ দূষণ, বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পয়ঃপ্রণালীর জল নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলিতে অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করতে হবে বলে তাঁদের অভিমত। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলায় রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু চুক্তির অন্তর্গত আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন বলেও শ্রী মোদী এবং শ্রী আবে মনে করেন।
- শক্তি ক্ষেত্রে সুস্থিত সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর তাঁদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই নেতা। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সবরকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে হবে বলেও তাঁদের মত। পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলএনজি সরবরাহে ভারত – জাপান শক্তি সরবরাহ সহযোগিতা প্রকল্পকে স্বাগত জানানো হয়। শক্তি ক্ষেত্রে ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তি সংরক্ষণের বিষয়ে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে। ভারত ও জাপান পরিবেশ-বান্ধন যানবাহন তৈরির বিষয়েও সম্মত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সৌর জোটে জাপানের যোগদানের বিষয়টিকে ভারত স্বাগত জানায়।
- উভয় নেতা বিপর্যয়ের সম্ভাবনা কম করতে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কর্মশালা আয়োজন ও সহযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা কম করার জন্য সেন্দাই কাঠামো কার্যকর করার ওপর গুরুত্ব দেন তাঁরা।
- অবাধ ও মুক্ত বাণিজ্যের জন্য ডব্লুউটিও-র পুনর্গঠনে জোর দেন তাঁরা। অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে ও এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত ও জাপান একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক স্তরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি কার্যকর করার বিষয়েও দুই প্রধানমন্ত্রী সম্মত হন।
- উভয় নেতা আঞ্চলিক স্তরে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। স্থায়ী উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়েও আলোচনা হয়। অর্থনৈতিক সুস্থিতি, খাদ্য ও জল নিরাপত্তা, পরিবেশ সংরক্ষণ, বিপর্যয় মোকাবিলা, সন্ত্রাস মোকাবিলা, সাইবার নিরাপত্তা, ক্লিন এনার্জি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নয়নে ভারত ও জাপান একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে স্বীকার করে নেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ভারত – জাপান বিশেষ কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব, পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে বলে তাঁদের অভিমত। বিশ্বে আরও উন্নত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তুলতে ভবিষ্যতে ভারত ও জাপান একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
CG/PM/SB…
(Release ID: 1551448)
|