সংস্কৃতিমন্ত্রক

টেগোর সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষিত

Posted On: 26 OCT 2018 5:45PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের টেগোর সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণাকরা হয়েছে। মণিপুরী নৃত্যের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব শ্রী রাজকুমার সিংহজিৎ সিং ২০১৪ সালের জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন। ২০১৫-র পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’। ভারতের অন্যতম এক শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শ্রী রামভানজি সুতার ২০১৬ সালের জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন। গত ২৪শে অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে গঠিত বিচারকমণ্ডলীর এক বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া বিচারকমণ্ডলীর অন্য সদস্যরা হলেন – ভারতের প্রধান বিচারপতি শ্রী রঞ্জন গগৈ, শ্রী এন গোপালস্বামী এবং ডঃ বিনয় সহস্রবুদ্ধে। সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য টেগোর পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।

মণিপুরী নৃত্য শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা এবং এই নৃত্যের মাধ্যমে সম্প্রীতির প্রসারে বিশেষ অবদানের জন্য শ্রী রাজকুমার সিংহজিৎ সিং-কে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। ২৯৬১-তে স্থাপিত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মের প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতি, সঙ্গীত ও সাহিত্যভাণ্ডারকে বিশ্ব আঙিনায় ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার পাচ্ছে।

ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শ্রী রামভানজি সুতার সুদীর্ঘ চার দশকের কর্মজীবনে ৫০টিরও বেশি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছেন। অজন্তা ও ইলোরার গুহায় পাওয়া প্রাচীন ভাস্কর্য্যগুলির সংরক্ষণেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাঁর অন্যতম সেরা একটি কাজের মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের গান্ধীসাগর বাঁধে ৪৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট চম্বল স্মৃতিসৌধ নির্মাণ। ভারতীয় সংস্কৃতি ও তার শিল্পগত ঐতিহ্য সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপকদের ১ কোটি টাকা, মানপত্র এবং হাতে বোনা ঐতিহ্যবাহী তাঁতবস্ত্র পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।

 

CG/BD/DM/…


(Release ID: 1550897) Visitor Counter : 194
Read this release in: English