কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা

মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে তুলতে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের কারামুক্তির প্রস্তাবে সম্মতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

Posted On: 19 JUL 2018 12:08PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৮ জুলাই, ২০১৮

মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকীটি স্মরণীয় করে তুলতে কয়েকটি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দণ্ডপ্রাপ্ত জেল বন্দীদের কারামুক্তির একটি প্রস্তাবে আজ (১৮ই জুলাই, ২০১৮) সম্মতি জানাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে যে তিনটি পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট জেল বন্দীদের প্রতি এই উদারতা দেখানো হবে। প্রথম পর্যায়ে বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে মহাত্মা গান্ধীর এ বছরের জন্মবার্ষিকীর দিনটিতে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মুক্তির দিন স্থির হয়েছে চম্পারণ সত্যাগ্রহ দিনটির স্মরণে আগামী বছরের ১০ই এপ্রিল। তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ে বন্দী মুক্তির তারিখ মহাত্মা গান্ধীর আগামী বছরের জন্মবার্ষিকী অর্থাৎ, ২০১৯-এর ২ অক্টোবর।

যে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বন্দীদের ক্ষমা ও কারামুক্তির বিষয়গুলি বিবেচনা করা হবে তার মধ্যে রয়েছে – ৫৫ বছর ও তার ঊর্ধ্ব বয়সী মহিলা বন্দী যারা তাদের কারাবাসের মেয়াদের অর্ধেক সম্পূর্ণ করেছে; প্রকৃত কারাবাসের অর্ধেক উত্তীর্ণ করা ৫৫ ও তার ঊর্ধ্ব বয়সী রূপান্তরকামী জেলবন্দী; প্রকৃত কারাবাসের অর্ধেক সময় জেলে কাটিয়েছে, এ ধরণের ৬০ ও তার ঊর্ধ্ব বয়সী পুরুষ বন্দী; দৈহিক দিক থেকে ৭০ শতাংশ বা তার বেশি পঙ্গুত্বের শিকার এবং প্রকৃত কারাবাসের অর্ধেক উত্তীর্ণ করা শারীরিক প্রতিবন্ধী; অসুস্থতার কারণে মরণাপন্ন জেল অপরাধী এবং যে সমস্ত অপরাধী তাদের প্রকৃত কারাবাসের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ, ৬৬ শতাংশ সময়কাল উত্তীর্ণ করে এসেছে।

তবে যে সমস্ত বন্দীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাদের কোনভাবেই এই ক্ষমা প্রদর্শন করা হবে না। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে সমস্ত অপরাধীকে পরবর্তীকালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও কোনরকম অনুগ্রহ করা হবে না। পণের দাবিতে হত্যা, ধর্ষণ, মানবপাচার এবং পোটা, ইউএপিএ, টিএডিএ, এফআইসিএন, পক্সো আইন, আর্থিক তছরূপ, ফেমা, এনডিপিএস, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ইত্যাদির আওতায় যারা অপরাধী বলে সাব্যস্ত হয়েছে ও কারাদণ্ড ভোগ করছে তাদের ক্ষেত্রেও কোনরকম ক্ষমা বা উদারতা দেখানো হবে না।

যোগ্য কারাবন্দীদের মুক্তির বিষয়ে নির্দেশ পাঠানো হবে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনের কাছে। বন্দীমুক্তির বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার জন্য তাদের একটি করে কমিটি গঠন করারও পরামর্শ দেওয়া হবে। কমিটির সুপারিশগুলি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তা রাজ্য সরকারগুলির পক্ষ থেকে পেশ করা হবে রাজ্যপালদের কাছে।

 

CG/SKD/DM/….



(Release ID: 1539208) Visitor Counter : 86


Read this release in: English