কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা

জাতীয় জৈব জ্বালানি নীতি, ২০১৮ অনুমোদিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে

Posted On: 17 MAY 2018 12:58PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৬ মে, ২০১৮

জাতীয় জৈব জ্বালানি নীতি, ২০১৮ অনুমোদন লাভ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাবে আজ সম্মতি দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট নীতিতে জৈব জ্বালানিকে একটি প্রাথমিক জৈব জ্বালানি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই নীতি রূপায়ণের ফলে জৈব জ্বালানির ক্ষেত্রে আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই হ্রাস পাবে। এক প্রাথমিক সমীক্ষায় জানা গেছে যে জৈব জ্বালানির বর্তমান মূল্য হারে ১ কোটি লিটার ইথানল-১০ জৈব জ্বালানি আমদানি খাতে যে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় হত, এই নীতি রূপায়ণের ফলে তার সাশ্রয় সম্ভব। এছাড়া, জৈব জ্বালানি ব্যবহারের সুবাদে পরিবেশ দূষণের মাত্রাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। ১ কোটি লিটার ইথানল-১০ ব্যবহারের ফলে বাতাসে দূষণ নির্গমনের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে ২০ হাজার টনের মতো। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দূষণের মাত্রা ৩০ লক্ষ টন কম হবে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান।

সমীক্ষায় প্রকাশ যে ডিপ ফ্রাইং-এর কাজে রান্নার তেল যদি ক্রমাগত পুনর্ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা ব্যাপক স্বাস্থ্যহানি এবং নানা ধরণের অসুখ-বিসুখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যবহৃত রান্নার তেল জৈব জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ উপাদান বলে চিহ্নিত হয়েছে। খাদ্যসামগ্রী তৈরির কাজে ব্যবহৃত রান্নার তেলের পুনর্ব্যবহার বন্ধ করে তা যদি জৈব জ্বালানি উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়, তাহলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক। সমীক্ষায় আরও জানা গেছে যে ভারতের শহরাঞ্চলগুলিতে প্রতি বছর গড়ে ৬২ এমএমটি-র মতো কঠিন বর্জ্য পাওয়া যায়। প্রযুক্তির সাহায্যে এই বর্জ্যকে জ্বালানিসম্পদে রূপান্তরিত করা সম্ভব।

জৈব জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহারের আরেকটি ইতিবাচক দিক হল এর ফলে আরও বেশি মাত্রায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি দেশের কৃষক সাধারণের আয় ও উপার্জনও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ, টু-জি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি বর্জ্যকেও পুড়িয়ে জৈব জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে।

 

CG/SKD/DM/…


(Release ID: 1532549) Visitor Counter : 87


Read this release in: English