জলসম্পদমন্ত্রক
গঙ্গা সফাই অভিযানের কাজ ২০১৯ সালের মার্চ মাস নাগাদ ৭০-৮০ শতাংশ শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা : নীতিন গড়করি
Posted On:
15 MAY 2018 2:06PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১১ মে, ২০১৮
গঙ্গা সাফাই অভিযানের কাজ আগামী ২০১৯ সালের মার্চ মাস নাগাদ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সাধারণভাবে ধারণা রয়েছে যে, নমামি গঙ্গে কর্মসূচির আওতায় উল্লেখযোগ্য কোনও কাজই হচ্ছে না। কিন্তু, এই ধারণা ঠিক নয়। ব্যাপক দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্প সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দূষণবিধি অমান্যকারী শিল্প সংস্থাগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন ও গঙ্গা পুনরুজ্জীবন বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি। তিনি জানান, দূষণজনিত ৯৩৮টি শিল্প সংস্থার ওপর নিরবচ্ছিন্ন নজর রাখা হচ্ছে। গঙ্গায় দূশহ্ণের জন্য ২১১টি প্রধান নালা বা খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। এই নালাগুলির দূষিত জল পরিশোধনের জন্য ২০টি বর্জ্য পরিশোধন যন্ত্র বসানো হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের আধিকারিক, ঠিকাদার, পরামর্শদাতাদের সঙ্গে নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক করা হচ্ছে। গঙ্গা পরিশুদ্ধিকরণের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য যে সমস্ত বাধাবিপত্তি রয়েছে, তা অবিলম্বে দূর করার জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে বলেও শ্রী গড়করি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে পানীয় জল ও স্বচ্ছতা বিধান মন্ত্রী শ্রীমতী ঊমা ভারতী বলেন, গঙ্গা তীরবর্তী ৪ হাজার ৪৭০টি গ্রামের সবকটিই প্রকাশ্য স্থানে শৌচকর্ম বর্জিত জনপদ হয়ে উঠেছে। গঙ্গা দূষণ রোধে কঠিন-তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বৃক্ষরোপণ, প্লাস্টিক মুক্ত গ্রাম ও শহর গড়ে তোলা ও সার্বিক সচেতনতা প্রসারের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। গঙ্গা তীরবর্তী গ্রামগুলির সক্রিয় সহযোগিতায় সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রক ‘গঙ্গা গ্রাম’ প্রকল্প রূপায়ণের কাজ করছে।
গঙ্গা সংরক্ষণ মিশনের একটি অভিন্ন কর্মসূচি হিসাবে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। গঙ্গা নদীর দূষণমুক্তি ঘটিয়ে তার পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। আগামী ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা রয়েছে।
নমামি গঙ্গে কর্মসূচিতে মোট ১৯৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এগুলির মধ্যে রয়েছে – বর্জ্য পরিকাঠামো ব্যবস্থা গড়ে তোলা, স্নানঘাট ও শ্মশানঘাটগুলির সার্বিক উন্নয়ন, নদীতলের পলি পরিশকার, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বনসৃজন, গ্রামীণ স্বচ্ছতা প্রভৃতি।
প্রকল্পগুলির কাজ উত্তরাখন্ড, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে ‘নমামি গঙ্গে’ কর্মসূচির আওতায় মোট ১৫টি প্রকল্প চিহ্নিত হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। চারটি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। অন্য চারটি প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়া চলছে। বাকি, পাঁচটি প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র চাওয়া হয়েছে।
CG/BD/SB…
(Release ID: 1532119)