মন্ত্রিসভারঅর্থনৈতিকবিষয়সংক্রান্তকমিটি

গুয়াহাটি, লক্ষ্ণৌ এবং চেন্নাই বিমানবন্দরের পরিকাঠামোগত উন্নয়নও প্রসারের কাজে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

Posted On: 03 MAY 2018 11:17AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২ মে, ২০১৮

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গুয়াহাটি সহ দেশের আরও দুটি বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও প্রসারের এক প্রস্তাবে আজ সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে যে ২,৪৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চেন্নাই এবং ১,২৩২ কোটি টাকা বিনিয়োগে লক্ষ্ণৌ বিমানবন্দর দুটির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রসারের কাজ হাতে নেওয়া হবে। গুয়াহাটি বিমানবন্দরের পরিকাঠামোগত কর্মসূচি রূপায়ণে ব্যয়ের মাত্রা ধরা হয়েছে ১,৩৮৩ কোটি টাকা।

লক্ষ্ণৌ বিমানবন্দরে ৮৮ হাজার বর্গ মিটার একটি নতুন সুসংবদ্ধ টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এই টার্মিনালটি হবে বর্তমানের ১৬,২৯২ বর্গ মিটার এলাকার টার্মিনাল ভবনের অতিরিক্ত। এই দুটি টার্মিনাল একযোগে ২.৬ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক এবং ১১ মিলিয়ন অভ্যন্তরীণ যাত্রীর ভিড় সামাল দিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, চেন্নাই বিমানবন্দরে বর্তমানে যে ১,৯৭,০০০ বর্গ মিটার আয়তনের টার্মিনাল ভবন রয়েছে, তার ক্ষমতা বাড়াতে ৩৩,৬০০ বর্গ মিটার এলাকার আরেকটি নতুন টার্মিনাল ভবন গড়ে তোলা হবে। এর ফলে, প্রতি বছর ৩৫ মিলিয়ন যাত্রীর চাপ সামাল দেওয়া যাবে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গুয়াহাটিতে যে নতুন টার্মিনালটি নির্মাণ করা হবে তার আয়তন হবে ১,০২,৫০০ বর্গ মিটার। বর্তমানের পুরনো টার্মিনালের সঙ্গে নতুন টার্মিনালটি যোগ করা হলে যাত্রী ভিড় সামাল দেওয়ার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বছরে ৯ মিলিয়ন যাত্রী এই দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে বিমান পরিষেবার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। ‘পুবের জন্য কাজ কর’ নীতি রূপায়ণের একটি অঙ্গ হিসাবে এর ফলে উৎসাহিত হবে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর্যটন ব্যবস্থাও

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চেন্নাই, গুয়াহাটি, লক্ষ্ণৌ, আগরতলা, পাটনা, শ্রীনগর, পুণে, ত্রিচি, বিজয়ওয়াড়া, পোর্ট ব্লেয়ার, জয়পুর, ম্যাঙ্গালোর, দেরাদুন, জব্বলপুর, কোলহাপুর, গোয়া, রুপসি, লেহ, কালিকট, ইম্ফল, বারাণসী এবং ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নের চিন্তাভাবনা করছে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াকরণের কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। মোটামুটিভাবে আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ২০,১৭৮কোটি টাকা বিনিয়োগে এই বিমানবন্দরগুলিরপ্রসার ও উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি রূপায়িত হবে। এর মধ্যে, নতুন অত্যাধুনিক টার্মিনাল গড়ে তোলার জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে আগরতলা, কালিকট এবং পোর্ট ব্লেয়ার বিমানবন্দরের জন্য।

নতুন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর নীতির আওতায় আরও অনেক বড় বড় শহরকে বিমানবন্দর উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মোপা (গোয়া) ও পুরন্দর (পুণে) বিমানবন্দরের উন্নয়নের কাজে। এছাড়াও, বিশাখাপত্তনমের ভোগাপুরম, আমেদাবাদের ঢোলেরা এবং রাজকোটের হীরাসার বিমানবন্দরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণকর্মসূচিতেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বেসরকারি পর্যায়ে দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ বিমানবন্দরগুলির উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়িত হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই এর রূপায়ণের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

CG/SKD/DM/…



(Release ID: 1531137) Visitor Counter : 143


Read this release in: English